বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাইকেল যদি হারাতে চাও, ওসমানী হলে রেখে যাও

বুটেক্স প্রতিনিধি
  ০২ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:৪৯

অবাধে বহিরাগতদের প্রবেশে চরম নিরাপত্তা শংকায় রয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের(বুটেক্স) জি.এম..জি ওসমানী হল। ঘটছে একের পর এক সাইকেল-সহ অন্যান্য জিনিস চুরির ঘটনা। গত চার মাসে খোয়া গেছে টি সাইকেল।

গত ২৮ ডিসেম্বর দুপুরে যোহরের নামাজের সময় হলের ১০১২ নাম্বার রুমের সামনে থেকে বুটেক্সের ৪৫তম ব্যাচের পিয়াস নামের এক শিক্ষার্থীর সাইকেলটি চুরি হয়। এর আগে ৫ই ডিসেম্বর ৪৫তম ব্যাচের হাসিবের সাইকেলটিও ১০১৩ নাম্বার রুমের সামনে থেকে নিয়ে যায়। তারও আগে ২১ নভেম্বর হলের সাইকেলের গ্যারেজ থেকে ৪৩তম ব্যাচের রফিক নামের আরেক শিক্ষার্থীর সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। এর আগে, রাসেল, অনুপম, মোস্তাফিজের সাইকেল চুরি হয়। এসব শুধুমাত্র গত মাসের তথ্যচিত্র।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পিয়াসের অভিযোগ একটা সিন্ডিকেট এই চুরির ঘটনার সাথে জড়িত। হলের ভেতরে টং দোকান এবং ক্যান্টিনে খাওয়ার অযুহাত দিয়ে তারা হলের ভেতরে প্রবেশ করে এবং ওয়াশরুমে ব্যবহারের জন্য ১০১১-১০১৪ নাম্বার রুমের ব্লকে গেলে সেখান থেকেই সাইকেল নিয়ে যায়। তাছাড়া মাস কয়েক আগে ১০১২ নাম্বার রুম থেকে একটি আইফোন খোয়া যায়।

ভুক্তভোগী আরেক শিক্ষার্থী হাসিবের মতে," হলের নিরাপত্তা রক্ষীরা অবৈধ প্রবেশে বাধা দেয় না। একদিন বহিরাগত এক ব্যাক্তি হলে প্রবেশ করলে আমরা বাধা দেয়, পরে হারেস নামের নিরাপত্তা রক্ষী তার পরিচিত বলে ঢুকতে দেয়। এভাবেই কতো পরিচিত অপরিচিত লোক প্রবেশ করছে তা হিসেবের বাইরে।

হলের একাধিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলের ভেতরে টং দোকান এবং ক্যান্টিনে এবং মাঠে দিনে শত রকমের বহিরাগত প্রবেশ করে। বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে হল প্রশাসন অনেকবার উদ্যোগ নিলেও সফল হয়নি। যার ফলস্বরূপ চুরির মতো ঘটনা হরহামেশা ঘটেই চলছে।

এই বিষয়ে হল প্রভোস্ট, . মোঃ সামিউল ইসলাম চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, হলে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে হলে হলের ভেতরের টং দোকান, বহিরাগতদের মাঠে খেলা ক্যান্টিনে অবৈধ প্রবেশ রোধ করতে হবে। তাহলেই চুরি ঠেকানো সম্ভব।" নিরাপত্তা রক্ষী হারেসের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, হারেসের দায়িত্বে অবহেলার কারণে তাকে পরিবর্তন করে ইউনিভার্সিটিতে দেওয়া হয়েছিল। কোনো এক অজানা কারণে সে আবার হলে চলে আসে। কঠোরভাবে চুরি ঠেকাতে হলে যাদের সাইকেল আছে সবাইকে কার্ড বানিয়ে গ্যারেজে সাইকেল রাখার অনুরোধ জানান।

হল ম্যানেজার আইয়ুব বলেন,হারেস আমাদের কথা শুনে না। সে দৈনিক ঘন্টার জায়গায় ১৬ ঘন্টা ডিউটি করে বেশি টাকা পাওয়ার লক্ষ্যে। কিন্তু সেখানে সে অতিরিক্ত দায়িত্বের বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে কাটায়।

সাইকেল চুরি সম্পর্কে নিরাপত্তা রক্ষী হারিসের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন ভেতরে টং দোকানে দিনে কত শত লোক আসে, সব গুলোকে দেখে রাখা আসলে কি সম্ভব? আমরা চাইলেও পারি না। দেখা যায় যে, হুটহাট করে হাটতে হাটতে ভেতরে চলে গেলো। যদি টং দোকান বাইরে নেওয়া যায় তাহলে আমরা বহিরাগতের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পারবো।

যাযাদি/সাইফুল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে