শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র মুক্তিযুদ্ধকে সাংবিধানিক ও আইনি ভিত্তি দিয়েছে: প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ

যাযাদি ডেস্ক
  ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:৫৮

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার ধারাবাহিকতায় ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র (প্রোক্লেমেশন অব ইনডিপেনডেন্স) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সাংবিধানিক ও আইনি ভিত্তি দিয়েছে।’ মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর ক্যাম্পাসে সিনেট হলে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজিত ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস’বিষয়ে বিশেষ শিক্ষক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য। সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।

জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু প্রফেসরিয়াল ফেলো ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ‘প্রোক্লেমেশন অব ইনডিপেনডেন্স’ ঘোষণা করা হয়। এটি ঐতিহাসিক সত্য। ওই সময় তো বিএনপির জন্ম হয়নি। জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব ঘটেনি। এই দলের জন্ম ১৯৭৮ সালে। তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেয়ার সুযোগ কোথায়? সুতরাং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে যে তথ্য সন্নিবেশন করা হয়েছে সেটিকেই বলে ইতিহাসের সঠিক তথ্য-উপাত্ত। বাংলাদেশ কীভাবে সৃষ্টি হয়েছে, কার নেতৃত্বে সৃষ্টি হয়েছে- তার ইতিহাস জানার জন্য এই একটি তথ্যই যথেষ্ট।’

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘মানচিত্রসম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার আছে। এই প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়। এর শিক্ষা বিস্তৃতির যে অঙ্গীকার তার মধ্যে রয়েছে প্রিয় স্বদেশ, আলাদা আত্মপরিচয়, শেকড়ের অনুসন্ধান। একইসঙ্গে বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির বাংলাদেশ বিনির্মাণ। এর মধ্য দিয়ে যেমন আমরা আলাদা আত্মপরিচয় নিশ্চিত করতে চাই। একইসঙ্গে অগ্রসরমান আধুনিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’

দেশের প্রথিতযশা সমাজবিজ্ঞানী ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। আমাদের অনেক কিছু না থাকার আছে। কিন্তু যা আছে সেটি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অদম্য শক্তি আমাদের আছে। ৩০ লক্ষ শহীদের প্রতি আমাদের প্রবল ঋণবোধ আছে। ইতিহাস শেখা মানে আত্মমর্যাদাবোধ জাগ্রতা রাখা। ইতিহাস শেখা মানে শুধু অতীত অনুসন্ধান, তা নয়। সঠিকভাবে উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে ইতিহাস শেখা অত্যাবশ্যক।’

প্রশিক্ষণ সমাপানী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার তানিয়া আমির, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মো. মনিরুজ্জামান শাহীন। অনুষ্ঠান শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের সনদ ও বই প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন কলেজের ৭৯ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।

গত ১০ জানুয়ারি এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়। ১৫ দিনব্যাপী চলে বিশেষ এই শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। প্রশিক্ষণের আজকের সমাপনী দিনে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম ও ব্যারিস্টার তানিয়া আমির।

এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে