পোষ্য কোটা বাতিলের প্রতিবাদে ধর্মঘট ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টায় পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভাবনের পশ্চিম পাশে লিচু তলায় ২ ঘণ্টায় এ ধর্মঘট পালন করেন তারা।
শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে, প্রয়োজনে কঠোর আন্দোলন করবেও বলে জানান। এসময় আগামীকাল ৮ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সারা দিনব্যাপী কর্মবিরতি পালন ঘোষণা দেন।
ধর্মঘটে আইন অনুষদের কর্মচারী রফিকুল ইসলাম বলেন, "আমরা ১ পারসেন্ট নয় আমরা আমাদের ৫ পারসেন্ট প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা চাই। আমরা আমাদের সন্তানের অধিকার আদায় করতে জীবন উৎসর্গ করতেও রাজি আছি।"
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোক্তার হোসেন জানান, "ন্যায অধিকার আদায়ে আজকে আমরা ধর্মঘট করছি। আমরা কোটা বিরোধী নই।
জীবন, যৌবন দিয়ে আমরা তাদের সেবা করছি আর ওনারা ওই প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার কে কবর দেয়। তারা বহিরাগত লোক এনেও আন্দোলন করেছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য, বিশ্ববিদ্যালয় শান্তি পরিবেশকে নষ্ট করার জন্য চক্রান্ত চালাচ্ছেন তারা।দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও আমাদের সন্তানদের ভর্তির জন্য সুযোগ দিতে হবে। আমাদের অধিকার যতদিন না আদায় হচ্ছে ততদিন আমরা রাজপথে থাকবেন।"
সমিতির দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় ধর্মঘটে প্রায় ৩০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত এক মাস ধরে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে রাবি প্রশাসন ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সন্তানের কোটা বাতিল করে কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১% কোটা রাখে। তবে শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিল করা হয়।
যাযাদি / এসএম