দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থীরা । এ সময় ২ জন স্থায়ী শিক্ষক ও ১৭ জন অতিথি শিক্ষক নিয়ে তাদের দূর্বিষহ পথচলার কথাও তারা জানান ।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) দুপুর দেড়টায় জাবি উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানের নিকট স্মারকলিপিটি প্রদান করা হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিভাগের ১১জন শিক্ষকের ৯জনই আছেন শিক্ষাছুটিতে। এমতাবস্থায়, ১৭জন অতিথি শিক্ষকের মাধ্যমে চলছে দায়সারা গোছের শিক্ষা কার্যক্রম। অতিথি শিক্ষকগণ সপ্তাহে একদিন ক্লাস নেন এবং প্রয়োজনে তাঁদের পাশে পাওয়া যায় না। পাঠদানও সন্তুষ্টজনক নয়। ফলে, শিক্ষার্থীরা একাডেমিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে, যা পেশাগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলার আশঙ্কা রয়েছে। প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে বারবার আবেদন-নিবেদন করেও এসবের কোন সুরাহা হচ্ছেনা।
এ বিষয়ে বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল কাদের বলেন, "আমরা মিনিমাম একাডেমিক অধিকারের দাবিতে একটানা ৯০দিন ক্লাস বর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচীতে আন্দোলন করেছি। কিন্তু, নতুন প্রশাসনেও প্রাপ্তি নেই। অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলাম। বিভাগের অচলাবস্থা প্রতিনিয়ত আমাকে হতাশ করে।"
আরেক শিক্ষার্থী কাউসার আলম কাজল বলেন, "আমরা এ বিভাগে এসে হতাশা বঞ্চনা ছাড়া কিছুই পাইনি। নতুন প্রশাসন যেন তার পূর্বসূরীদেরই অনুসরণ করছে। মাত্র ২জন শিক্ষক দিয়ে একটি বিভাগ কিভাবে চলে?"
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, "ইউজিসি উক্ত বিভাগের জন্য ৪জন শিক্ষক নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়াও ছুটিতে থাকা শিক্ষকের সমানসংখ্যক নিয়োগ দেওয়া যাবে। তবুও, রাজনৈতিক চাপ এড়াতে এবং নিজ অবস্থান ঝুঁকিমুক্ত রাখতে শিক্ষক নিয়োগে গড়িমসি করা হচ্ছে।"
এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, "খুব দ্রুত নিয়োগ শিক্ষক দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ শুরু হলে আইন ও বিচার বিভাগে সবার আগে নিয়োগ হবে। আমি শিক্ষার্থীদের কষ্ট বুঝি। কিন্তু নানাবিধ ব্যস্ততায় কুলিয়ে ওঠা যায়না। সামনে জাকসু নির্বাচনের ব্যস্ততা রয়েছে।”