রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

আমড়া উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব

আমড়া সারাদেশেই চাষ করা যায়। তবে বরিশালের আমড়া সারাদেশে নামকরা। দক্ষিণাঞ্চলের মাটি ও পানির জন্য এর ফলন ও গুণগতমান কাঙ্ক্ষিত হয়। আমড়া ল্যাটিন আমেরিকার স্থানীয় ফল হলেও বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চাষাবাদ বেশি হচ্ছে। প্রসিদ্ধ হিসেবে সবাই বরিশালের আমড়া বললেও আসলে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিকে (নেছারাবাদ) আমড়ার রাজধানী বলা যায়। কারণ, ওখানকার ফলন হয় সবচেয়ে বেশি। যদিও ঝালকাঠি সদরে রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ আমড়ার বাগান।
ডক্টর মো. মাহমুদুল হাসান খান
  ২২ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

গেস্নাবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেস্ক-২০১৯ অনুসারে জলবায়ু পরিপর্তনের ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ সপ্তম অবস্থানে আছে- তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চল অন্যান্য অঞ্চল থেকে অপেক্ষাকৃত বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। মাটি ও পানিতে লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ, জোয়ার ও বন্যা দ্বারা ফসলের জমি পস্নাবিত হওয়া, প্রতিকূল আবহাওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন উপকূলীয় জলোছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড় (সিডর, আইলা, মহাসেন, ইয়াস ইত্যাদি) দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ফসল উৎপাদনের প্রধান অন্তরায়।

ইতোপূর্বে পরিচালিত গবেষণার ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাবের ফলে আগামী বছরগুলোতে এ অবস্থার আরও অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর ফলে এ অঞ্চলে বিভিন্ন মৌসুমে ব্যাপক এলাকা পতিত থাকে- যা ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি তথা খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার উন্নয়নের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। এমতাবস্থায়, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সমস্যাকবলিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার উন্নয়নের জন্য গবেষণার মাধ্যমে জলবায়ু অভিযোজনক্ষম স্থানভিত্তিক লাগসই কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ করা আবশ্যক। বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (ঋঅঙ) কর্তৃক প্রণীত দেশের দক্ষিণাঞ্চলে কৃষি উন্নয়নের জন্য মাস্টার পস্ন্যান অনুযায়ী বহুমুখী খাদ্য ও পুষ্টির উৎস্য হিসেবে কম খরচে উচ্চ মূল্যমানের সবজি, ফল যেমন- আমড়াসহ অন্যান্য ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। যেহেতু দেশের দক্ষিণাঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্রমবর্ধমানভাবে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে এবং এ অঞ্চলে সব ধরনের ফসল জন্মানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই এই আবহাওয়া ও পরিবর্তনশীল উপকূলীয় পরিবেশে খাপ খায় এমন ফসলসমূহ বেশি চাষ হয়ে থাকে। চাষকৃত সেইসব সম্ভাবনাময় ফসলসমূহের মধ্যে ফল যেমন- আমড়া, নারিকেল, পেয়ারা, মাল্টা ও ড্রাগনফল ইত্যাদি।

আমড়া একটি ভিটামিনসমৃদ্ধ ফল। আশ্বিন ও কার্তিক মাসে বাংলাদেশে পরিপক্ক আমড়া পাওয়া যায়। তবে আজ কাল বারমাস ফলন দেয় এমন জাতও আছে। ভাল জাতের আমড়া আমাদের দেশে বিলাতী বা বরিশালী আমড়া নামে পরিচিত। এটি মহিলা ও শিশুদের কাছে অতি প্রিয় ফল। আমড়া থেকে উন্নত মানের চাটনি ও আচার তৈরি করা যায়। আমড়া বাঙালির অতি প্রিয় একটি ফলের নাম। টক-মিষ্টি মিশ্রণে ভিন্ন এক স্বাদ। কচি অবস্থায় টক। পরিপক্ব হলে খেতে আরো সুস্বাদু লাগে এবং আমাদের খাদ্যের রুচির অভাব দূর করতে সহায়তা করে। পাকা ফল খুবই মিষ্টি। আমড়ার সিংহভাগ কাঁচা খাওয়া হলেও ভর্তা, আচার, চাটনি আর পরিপক্ব ফল দিয়ে তৈরি করা যায় জুস, জেলি এবং মোরব্বার মতো লোভনীয় খাবার। গ্রামাঞ্চলের কেউ কেউ গোশতের সঙ্গে আমড়া রেঁধে খান। ডালের সঙ্গেও খাওয়া যায়। আমড়ার শাঁস সাদা। পাকলে হলুদ রং ধারণ করে। যে কারণে একে গোল্ডেন আপেল বলে। উৎপাদন খরচ কম পড়ে। অন্য যে কোনো ফলের চেয়ে আমড়া বেশি সময় ধরে সংরক্ষণ করা যায়। এতে কোনো ধরনের রাসায়নিক পদার্থও ব্যবহার করতে হয় না। তাই এ ফল বাস্তবসম্মতও। কৃষকরা আমড়া চাষ করে সহজেই হতে পারেন স্বাবলম্বী।

আমড়া সারাদেশেই চাষ করা যায়। তবে বরিশালের আমড়া সারাদেশে নামকরা। দক্ষিণাঞ্চলের মাটি ও পানির জন্য এর ফলন ও গুণগতমান কাঙ্ক্ষিত হয়। আমড়া ল্যাটিন আমেরিকার স্থানীয় ফল হলেও বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চাষাবাদ বেশি হচ্ছে। প্রসিদ্ধ হিসেবে সবাই বরিশালের আমড়া বললেও আসলে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিকে (নেছারাবাদ) আমড়ার রাজধানী বলা যায়। কারণ, ওখানকার ফলন হয় সবচেয়ে বেশি। যদিও ঝালকাঠি সদরে রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ আমড়ার বাগান। বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং বরগুনায়ও আমড়া ভালো জন্মে। বর্ষা মৌসুমে ওখানকার নিচু জমিগুলো জোয়ারের পানিতে পস্নাবিত হওয়ার কারণে স্থানীয় কৃষকরা উঁচু করে কান্দি বা বেড তৈরি করেন। এ পদ্ধতিকে সর্জান বলে। দুই বেডের মাঝখানে প্রশস্ত নালা থাকে, যাতে ছোট নৌকাযোগে ফল সংগ্রহ করতে সহজ হয়। চাষিরা গাছ থেকে আমড়া সংগ্রহ করে নিয়ে যান ভাসমান হাটে। সেখানে আমড়া কেনার জন্য শত শত ট্রলারসহ পাইকারি ক্রেতারা আসেন দলে দলে। ওখান থেকে সরবরাহ করা হয় সারাদেশে। এসব হাটের মধ্যে ঝালকাঠি সদরের ভিমরুলি, বাউকাঠি, নবগ্রাম এবং নেছারাবাদের আটঘর, কুড়িয়ানা, জিন্দাকাঠি, আদমকাঠি, ধলহার অন্যতম। দেশব্যাপী বিপুল চাহিদা রয়েছে 'বরিশাল অঞ্চলের আমড়া'র। সুস্বাদু এই ফলের চাহিদার বেশির ভাগই পূরণ হচ্ছে ঝালকাঠি ও নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) থেকে। প্রতিদিনই জেলার ভাসমান হাটে বিক্রি হচ্ছে আমড়া। এ হাট থেকে সারাদেশে সরবরাহ করা হয় পুষ্টিকর এ ফল। বিপুল চাহিদা, সেই সঙ্গে লাভজনক হওয়ায় বরিশাল অঞ্চলে বেড়েছে পুষ্টিকর ফল আমড়ার চাষাবাদ। দক্ষিণে আমড়া উৎপাদনের অন্যতম জেলা ঝালকাঠি। এই জেলার বিভিন্ন হাটে এখন চলছে আমড়ার রমরমা বেচাকেনা। এর মধ্যে ভিমরুলী গ্রামের ভাসমান হাটটি সবচেয়ে বড়। এখান থেকে আমড়া কিনে সরবরাহ করা হয় সারাদেশে। ১৮শ' থেকে দুই হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে এ সুস্বাদু আমড়া। এ বছর পানি বাড়ার কারণে ফলন কিছুটা কম হয়েছে বলে জানান আমড়া চাষিরা। ঝালকাঠি জেলায় এ বছর ৬শ' ৫০ হেক্টর জমিতে আমড়ার চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, এ মৌসুমে প্রতিটি আমড়া গাছ থেকে গড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার আমড়া বিক্রি করা সম্ভব।

পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আকারে ছোট হলেও নানা ধরনের পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ ফল আমড়া। পুষ্টিগুণে তিনটি আপেলের চেয়ে বেশি মানসম্পন্ন একটি আমড়া। আপেলের চেয়ে আমড়ায় প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও আয়রনের পরিমাণ বেশি। আমড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, রক্তস্বল্পতা দূর করে, বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। আমড়ায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বক, চুল ও নখের সৌন্দর্য বাড়ায়। আমড়ায় পুষ্টিগুণে টইটম্বুর। ভিটামিন-সি'র পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর পরিমাণ লৌহ। লৌহের অভাবে আমাদের রক্তস্বল্পতার সৃষ্টি হয়। যদিও প্রাথমিক অবস্থায় এ উপসর্গ দেখা দেয় না। অভাব বেশি হলেই কেবল শারীরিক দুর্বলতা, অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া, ঘন ঘন অসুস্থতা এসবের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। তখন বড়দের কর্মক্ষমতা কমে যায়। অপরদিকে, শিশুদের মস্তিষ্ক হয় বাধাপ্রাপ্ত। ফলে স্কুলের পড়া সহজে শিখতে পারে না। অথচ বাচ্চাসহ বড়রা লৌহসমৃদ্ধ অন্য খাবারের পাশাপাশি আমড়া খেলে এসব সমস্যা এড়ানো সম্ভব। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, এর প্রতি ১০০ গ্রাম ফলে (আহারোপযোগী) শর্করা ১৫ গ্রাম, আমিষ ১ দশমিক ১ গ্রাম, চর্বি ০ দশমিক ১ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ০ দশমিক ৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫৫ মিলিগ্রাম, লৌহ ৩ দশমিক ৯ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ৮০০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-'বি১' ১০ দশমিক ২৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-'বি২' ০ দশমিক ০৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-'সি' ৯২ মিলিগ্রাম এবং খাদ্যশক্তি রয়েছে ৬৬ কিলোক্যালরি। কফ ও পিত্ত নিবারণের পাশাপাশি মুখে রুচি আনা এবং কণ্ঠস্বর পরিষ্কারে এর ভূমিকা রয়েছে। জ্বর, সর্দি, কাশি, এমনকি ইনফ্লুয়েঞ্জার জীবাণুকে প্রতিরোধ করে। দাঁতের মাড়ি শক্ত রাখে। দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত ও পুঁজপড়া বাধা দেয়। স্ট্রোক এবং হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ করে। পেকটিনজাতীয় আঁশ থাকায় বদহজম, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্যে দূরীকরণে সহায়তা করে। মুখের রুচি বাড়ায়। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় আমড়া ক্যানসার প্রতিরোধক। ভাইরাল ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করে। ব্রণ, ফুস্কুড়ি কমাতে এবং ত্বক মোলায়েম ও উজ্জ্বল রাখতে এর অবদান বেশ। আমড়ার পাতা, ছাল, শিকড় এবং বীজে ঔষধিগুণ আছে। পাতার তৈরি 'চা' জ্বর ও শরীরের ব্যথা দূর হয়। চা বানানোর জন্য পাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে রোদে শুকানোর পর গুঁড়া করে ব্যবহার করতে হবে। গাছের ছাল ছত্রাকজনিত সংক্রমণ প্রতিহত করার উপাদান রয়েছে। ফলের বীজ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এর শিকড় প্রজননজনিত রোগ নিরাময়ে অবদান রয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীরা কাঁচা আমড়া খেতে পারবেন।

বাংলাদেশে দু'প্রজাতির আমড়া চাষ হয়। দেশি এবং বিলাতি। বিলাতি আমড়ার অপর নাম বরিশালের আমড়া। দেশি আমড়ার আদিস্থান দেশের পূর্বাঞ্চল, ভারতের আসাম এবং মিয়ানমার। আর বিলাতি আমড়ার মাতৃভূমি ফিজি আইল্যান্ড। বিদেশ থেকে আনা হয়, তাই বিলাতি আমড়া। দেশি আমড়া খেতে টক, বিচি বড়। ফলন গাছ প্রতি ২০০-২৫০ কেজি। বিলাতি আমড়া খেতে মিষ্টি, বিচিও ছোট। ফলন হয় গাছপ্রতি ৩০০-৪০০ কেজি। ভালো ফলনের জন্য আমড়ার উচ্চফলনশীল জাত রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি আমড়া-১ এবং বারি আমড়া-২। বারি আমড়া-১ বারোমাসি। গাছ বামনাকৃতির হয়। ফলের আকার ছোট। গড় ওজন ৬০ গ্রামের মতো। স্বাদ হালকা টক। তাই বাড়ির ছাদেও লাগানো যায়। স্বরূপকাঠির চাষিদের থেকে সংগ্রহ করে বারি আমড়া-২ উদ্ভাবন করা হয়েছে। গাছ বড় আকৃতির। খেতে সুস্বাদু। আকারেও বড়। ফল একবার ধরে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় একটি জাত উদ্ভাবন করেছে। নাম এফটিআইপি বাউ আমড়া-১। জাতীয় কৃষি নীতির সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যসমূহের মধ্যে রয়েছে টেকসই ও লাভজনক কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা; গবেষণা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ফসলের উন্নত জাত ও টেকসই চাষাবাদ প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ করা। এছাড়া ঝউএ লক্ষ্য (এড়ধষ-২) অনুযায়ী খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ অতিব গুরুত্বপূর্ণ। সুতারং, দক্ষিণাঞ্চলের আইকনিক ফল যেমন আমড়ার নিরাপদ চাষাবাদের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি করে পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। ঝউএং-এর এড়ধষ-১৩ এর অন্যতম লক্ষ্য পরিবর্তনশীল আবহাওয়া উপযোগী লাগসই কৃষি প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি। তাই দক্ষিণাঞ্চলে আমড়ার নিরাপদ চাষাবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রতি বছর ২০-৩০% ফসল নস্ট হচ্ছে শুধু কৃষক ও বিপণন পর্যায়- যাকে সংগ্রত্তোর ক্ষতি (ঢ়ড়ংঃ-যধৎাবংঃ ষড়ংং) বলে থাকি। সময়োপযোগী ও লাগসই কর্মসূচির মাধ্যমে উদ্ভাবিত উন্নত সংগ্রত্তোর কৌশল (ঢ়ড়ংঃ-যধৎাবংঃ :বপযহড়ষড়মু) আমড়ার বিপণন ও সংগ্রত্তোর ক্ষতি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে