বাংলাদেশ ঋতুপ্রধান দেশ। এখানে প্রতিটি ঋতুই বৈচিত্র্যময়। আর প্রতিটি ঋতুর বৈচিত্র্যে প্রকৃতি ভরপুর থাকে। যার অপরূপ প্রকৃতি উপভোগ করার কোনো বিকল্প মাধ্যম নেই। কারণ, সবুজ-শ্যামলে ভরপুর গ্রামের সোনালি রোদ্দুর ফসলের মাঠ। নদ-নদীর চরাঞ্চলে অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর কাশফুল। আধুনিকতায় হারিয়ে না যাওয়া এ দেশের সোনালি স্মৃতি। যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সব প্রকৃতিপ্রেমীই মুগ্ধ-বিমুগ্ধ। আর আমাদের দেশের নদ-নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলগুলোকেও বলা যায় সৌন্দর্যের পটভূমি বা আঁধার। কারণ, সেখানে শরতের আকাশে ভেসে বেড়ানো মেঘমালাকে খুব ভালোভাবেই উপভোগ করা যায়। নদ-নদীর জলরাশিতে অনেক বেশি দৃষ্টিগোচর হয় নীলাদ্রির মুগ্ধ করা প্রতিচ্ছবি। যতদূর চোখ যায় দৃষ্টিসীমানায় শুধু নীলাকাশ-নীলাদ্রির মনকাড়া দৃশ্যই পড়ে চোখে। নদীরপাড়গুলো থাকে সবুজ গালিচায় মোড়ানো ও ফুল-ফল আর হাজারো বৃক্ষে নিপুণভাবে সাজানো। যেই নদ-নদীগুলো গায়ের বুকে চলে গেছে এঁকেবেঁকে দূর বহুদূর। দু'পাড়ে যার উঁচু-নিচু মেঠোপথ। দু'পাশে নদীরপাড়ের পথঘাটে ফুটে থাকা রং-বেরঙের নানা ফুল। কোথাও বা নদীর বুকের চিকচিকে বালুচর ও কাশফুলে ভরপুর মাঠঘাট! সত্যি তা প্রকৃতিপ্রেমীদের হৃদয়টা প্রশান্ত করে দেয়। আর সেখানে শরতের আকাশটার সৌন্দর্যের সঙ্গে ধবধবে কাশফুল আরও একধাপ সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। আর যদি আকাশটা হয় সূর্যের আলোয় ঝলমলে ও মনকাড়া নীলের সঙ্গে সঙ্গে শুভ্র আভা ও খন্ড খন্ড মেঘমালায় সাজানো। তাহলে পরিবেশটা কেমন হতে পারে, কতটা সুন্দর হতে পারে! একটু কল্পনা করুন! এককথায় অসাধারণ, অতুলনীয় ও অবর্ণনীয়। যা পরিপূর্ণভাবে অনুভব করা কখনোই সম্ভব নয়, যতক্ষণ না তা সরাসরি উপভোগ করা হবে। আর মনের রঙিন ভাবনাগুলোকেও মনোরম আকর্ষণীয় করে রাঙানো সম্ভব নয়। তবে তার কিছুটা অনুভব করা যেতে পারে।
অতএব, প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্যকে কখনো কখনো উপলব্ধি করুন। শরতের আকাশ ও কাশফুলগুলোকে মন দিয়ে দেখুন। মনটাকে নতুনভাবে, নতুন সাঝে রাঙিয়ে তুলুন। হৃদয়ে নতুন কিছুর উপলব্ধি ও ভাবনার উদয় করুন। আর দেখুন! শরতের শুভ্রতায় প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য। কেননা, বর্ষা বাদল শেষে শরৎ এলো প্রকৃতির মাঝে হেসে।
তাই কেউ যদি স্বপ্নের মতো করে বর্ষা বাদল শেষে শরতের এই সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে চায়। তাহলে তাকে অবশ্যই প্রকৃতির সৌন্দর্যকে উপভোগ করার ও ভালোবাসার মনমানসিকতা তৈরি করতে হবে। কখনো সুযোগ হলে প্রকৃতির এই সৌন্দর্যকে কাছ থেকে উপভোগও করতে হবে। কেননা শরতের এই প্রকৃতি থেকেই লাভ করা যায় হৃদয়ের প্রশান্তি, চোখের শীতলতা ও সর্বোপরি মহান সৃষ্টিকর্তার পরিচয়। যিনি অত্যন্ত নিখুঁত, নিপুণভাবে ও আকর্ষণীয় করে তা সৃষ্টি করেছেন, সাজিয়েছেন। তাই আপনিও প্রকৃতিকে ভালোবাসুন, প্রকৃতির ছোঁয়া অনুভব করুন। আর মহান রবের শুকরিয়া আদায় করুন।