বানিয়ারল এবং উরুননুননাহ খুব ভালো বন্ধু ছিল। তারা একই ক্যাম্পে বাস করত। উরুননুননাহ ছিল কঠোর পরিশ্রমী। সে সব সময় খাবার জোগাড় করে জমা করে রাখত। কারণ কখনো যদি আকাল পড়ে তাহলে যেন খাবারের কষ্ট করতে না হয়। অন্যদিকে, বানিয়ারলের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো চিন্তাভাবনাই ছিল না। সে সব সময় খেলাধুলা করে, অযথা ঘোরাফেরা করে তার সময় নষ্ট করত। দুর্ভিক্ষ হলে কোথায় খাবার পাবে, কী খাবে? এ নিয়ে তার কোনো মাথাব্যথাই ছিল না। একদিন উরুননুননাহ বলল, 'আমার সঙ্গে চল। একসঙ্গে আমরা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করব। কিছুদিনের মধ্যেই শীতের বাতাস বইতে শুরু করবে। সব ফুল ঝরে যাবে। তখন মধু জোগাড় করার কোনো উপায় থাকবে না।' 'না।' বানিয়ারল বলল। 'আমার এখন তোমার সঙ্গে যাওয়ার সময় নেই। আমি এখানে একটি জিনিস দেখার চেষ্টা করছি।' বলেই সে বিভিন্ন হাবিজাবি কাজ করতে লাগল। যা কোনো উপকারে আসবে না। সে উরুননুননাহ'র কথায় কোনো পাত্তাই দিল না। ভেবেও দেখল না, কেন এ কথা বলেছে? উরুননুননাহ একাই মধু সংগ্রহ করতে চলে গেল। বানিয়ারল আড্ডায় মেতে রইল। উরুননুননাহ একা একাই মধু সংগ্রহ করে জমা করতে লাগল। বানিয়ারলের সঙ্গে থাকার জন্য সে আর আগের ক্যাম্পে ফিরে গেল না। যে যার মতো থাকতে লাগল। নিজেদের কাজ নিজেদের মতো করতে লাগল। দিনে দিনে উরুননুননাহ আস্তে আস্তে ছোট বন্য মৌমাছিতে পরিণত হলো। অন্যদিকে, অলস বানিয়ারল পরিণত হলো মাছিতে। অনুবাদক: রাকিবুল রকি (অস্ট্রেলিয়ার লোককাহিনী)