গাজীপুর মহানগরের সালনার টেকিবাড়ি এলাকায় মাঠে খেলতে গিয়ে চার বছর বয়সী দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। খাদ্যে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা। রাতে তাদের মরদেহ পাশাপাশি কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

গত রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের সালনার টেকিবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মোছাঃ জান্নাতুল (৪) গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের সালনার টেকিবাড়ি গ্রামের মো: শাহজাহানের মেয়ে ও মাহিম (৪) গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার হরিচন্ডী গ্রামের শাহ্ আলমের ছেলে। তিনি ওই সালনার টেকিবাড়ি গ্রামের বুলবুল আহমেদের ভাড়া বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করে গাজীপুরের ইপসা এলাকার একটি সোয়েটার কারখানায় চাকুরি করেন।

নিহত শিশু মাহিমের মামা মাসুদ রানা জানান, রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সালনার টেকিবাড়ি এলাকার ভাড়া বাড়ি পাশে খেলছিল শিশু মাহিম ও জান্নাতুল। এসময় তারা হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের মাথায় পানি ঠেলে হয়। অবস্থার উন্নতি না হলে তাৎক্ষণিক ভাবে তাদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

২১ জন শিক্ষকের অধীনে ২১ জন শিক্ষাথী ফেল

নিহত শিশু জান্নাতুলের বাবা শাহজাহান জানান, বাড়ির পাশে খেলতে যায় জান্নাতুল। পরে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আমি বাসায় বসে ছিলাম। হঠাৎ জান্নাতুল দৌড়ে এসে জানায় কুকুরে তাদের দৌড়িয়ে দিয়েছে বলে হাঁপিয়ে উঠে। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই জান্নাতুল জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে জান্নাতুলকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের পর তাদের মরদেহ রাত ১টার দিকে দাফন করা হয়েছে।

গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আর.এম.ও) হাসনীন জাহান জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছি খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মাহিম ও জান্নাতুলের মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ রাফিউর করিম জানান, আমরা দুই শিশুর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। চিকিৎসক প্রাথমিক ভাবে বিষক্রিয়ায় কথা জানিয়েছেন। ওরা কিছু খেয়েছিল কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এবিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

যাযাদি/ এসএম