শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৮ শর্তে প্রবেশন সুবিধা পেলেন নারী

আইন ও বিচার ডেস্ক
  ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

কক্সবাজারের চকোরিয়া চৌকি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার দেব গত ২৩ নভেম্বর এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডবিধির ৪২০ ধারায় আদালত আসামিকে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

আদেশে বলা হয়, রায় ঘোষণার ৭ কার্যদিবসের মধ্যে দন্ডিত আসামির ওপর আরোপিত অর্থদন্ডের অর্ধেক অর্থাৎ ৫ হাজার টাকা ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪৫ ধারা অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাদীকে পরিশোধ করে বাদীর স্বাক্ষরিত 'প্রাপ্তি স্বীকারপত্র'র মূল কপি আদালতে দাখিল করতে হবে।

আদেশে আরও বলা হয়, আসামিকে শাস্তির (অর্থদন্ড ব্যতীত) পরিবর্তে দি প্রবেশন অব অফেন্ডারস অর্ডিন্যান্স, ১৯৬০-এর ৫ ধারা অনুসারে প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধায়নে এক বছরের জন্য ৮টি শর্ত এবং ধারা ৬ অনুসারে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০ হাজার টাকা এবং খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা ১৫ দিনের মধ্যে পরিশোধ

করতে হবে।

প্রবেশনকালীন সময়ে আসামিকে যে সব শর্ত মানতে হবে-

১. নিজ দায়িত্বে ও নিজ খরচে ২০২১ সালের ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার দুদিন আগে বাদী ও তার পরিবারের সবাইকে একটি করে কোরআন শরিফ এবং ঈদের পোশাক উপহারসামগ্রী হিসেবে কিনে দিতে হবে। ২. নিজ দায়িত্বে ও নিজ খরচে ২০২১ সালের রমজান মাসের ১ম, ১০ম, ১৫তম, ২০তম, ২৫তম ও ২৮তম রোজায় আসামি নিজের বাসায় বাদীর পরিবারের সবাইকে ইফতার করাবেন এবং একদিন আগে দাওয়াত নিশ্চিত করে ঈদের দিন দুপুরে সবাইকে খাওয়াতে হবে। ৩. নিজ দায়িত্বে ও নিজ খরচে ২০২১ সালের ঈদুল আজহার পরের দিন আসামি নিজ বাসায় বাদীকে সপরিবারে দাওয়াত করে দুপুরের খাবার খাওয়াতে হবে। ৪. নিজ দায়িত্বে ও নিজ খরচে ২০২১ সালের মার্চ মাসের মধ্যে বাদীর বাড়িতে মানসম্মত জায়গায় পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ শৌচাগার নির্মাণ করে দিতে হবে। ৫. নিজ দায়িত্বে ও নিজ খরচে ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারির মধ্যে বাদীর সন্তানরা যে যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত আছে, তাদের প্রত্যকের পুরো বছরের অর্থাৎ ১২ মাসের বেতন বাদীকে নগদ পরিশোধ করতে হবে। পাশাপাশি বাদীর সন্তানদের (সরকারি বই ব্যতীত) ৩০টি কলম, ২০টি খাতা, ১টি স্কুল ব্যাগ, ১টি জ্যামিতি বক্স, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পোশাক প্রদান করতে হবে। ৬. নিজ দায়িত্বে ও নিজ খরচে পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল হিসেবে বাদীর বসতবাড়িতে উপযুক্ত স্থানে ২০টি গাছ (১০টি বনজ ও ১০টি ফলজ) রোপণ করতে হবে। ৭. নিজ দায়িত্বে ও নিজ খরচে ২০২১ সালের ফসলি সময়ে বাদীর লিখিত চাহিদা মতে বাদির নামীয় একক খতিয়ানভুক্ত ও সর্বশেষ ১৪২৬ বাংলা পর্যন্ত খাজনাদি আদায়কৃত চাষাবাদযোগ্য জমিতে (যদি থাকে) ফসল উৎপাদনের জন্য চারা (ধান ইত্যাদি) সরবরাহ করতে হবে। ৮. নিজ দায়িত্বে ও নিজ খরচে ২০২১ সালের ২২ অক্টোবর জুমার নামাজ শেষে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারের উপস্থিতিতে বাদীর নামীয় একক খতিয়ানভুক্ত ও সর্বশেষ ১৪২৬ বাংলা পর্যন্ত খাজনাদি আদায়কৃত মৎস্যচাষযোগ্য পুকুরে অথবা যদি তার একক নামে না থাকে তবে বাদী নিয়মিত যে মসজিদে নামাজ আদায় করেন সেই মসজিদের পুকুরে অথবা বাদীর বসতভিটার নিকটস্থ মসজিদের পুকুরে চকরিয়ার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার থেকে পরামর্শ নিয়ে মৎস্যচাষের উদ্দেশ্যে ৫ কেজি রুই, ৫ কেজি তেলাপিয়া, ৫ কেজি কাতলা মাছের পোনা সরবরাহ করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে