ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেমে যাওয়ার পরও
হৃদযন্ত্রে প্রসূতি মায়ের দানবীয় চিৎকার
একটি কালো কাক কালো একটি গাভীর পিঠে
সন্ধ্যার দৃষ্টিতে মিলিত একটি অদ্ভুত জন্তুতে পরিণত
অশুভ সময় তাড়িয়ে বেড়ায় কৃষ্ণচূড়া, বেলি কিংবা গাঁদা
আর মানুষের ভেতরে ভেতরে দাপাদাপি
সংকট ঘনীভূত হলে চেতনা বিসর্জিত
কলুষিত রক্ত কিংবা দূষিত পানি মিলেমিশে একাকার
কর্মস্পৃহার আগুন নিভে যাওয়ার পরও
চোখের বর্ষায় ভিজে যেতে থাকে রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, মন্দির-মসজিদ
অফিস-আদালত কিংবা বালিয়াড়ি মাঠ
এমনকি গাঙও ভিজে যায় সমুদ্রের দিকে যেতে যেতে
কোথায় কতটা জল পরিমাপ দুঃসাধ্য ব্যাপার
ঘনকুয়াশা আর বৃষ্টি যেমন এককথা নয়
মাঠের ইটা আর ভাটার ইটা যেমন এককথা নয়
তেমনি দর্পণ আর চোখ এক নয়
দর্পণে নিজেকে দেখা যায় কিন্তু নিজের চোখে নিজেকে যায় না
এরকমই উলটপালট ব্যাপার-স্যাপার
এরকমই লন্ডভন্ড, অবিন্যস্ত, বিশৃঙ্খল, বিপ্রতীপ বহিঃপ্রকাশ
আগ্নেয়গিরি, ধ্বংসস্তূপ, জ্বালাময় লাভা
সবকিছু শীতল হয়ে গেলেও হৃৎপিন্ড জ্বলতে থাকে অহর্নিশ
এর নাম জীবন বাজি রেখে বেঁচে থাকা
যেমন শুনতে পাই অনুক্ষণ
হৃদযন্ত্রে প্রসূতি মায়ের দানবীয় চিৎকার।