শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শেবাচিমে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৬ জনের মৃত্যু

বরিশাল অফিস
  ১৫ এপ্রিল ২০২১, ২০:০৬

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৬ জন রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণকারী এ ছয়জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আরটি পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুর রাজ্জাক। এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় হাসপাতালের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় এ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ২৬ জন রোগী ভর্তি হলেও করোনা ওয়ার্ডে কেউ ভর্তি হয়নি। অপরদিকে করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে মোট ২৪ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এ দুটি ওয়ার্ডে রোগী রয়েছেন ১৪৬ জন, যার মধ্যে করোনা ওয়ার্ডে ২৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শেবাচিমে আইসিইউসহ শয্যা বাড়ছে করোনা ওয়ার্ডে

রোগীর চাপ সামাল দিতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাড়ানো হচ্ছে আইসিইউ ও করোনা ওয়ার্ডের শয্যা সংখ্যা। ১০টি আইসিইউ ও ৫০টি সাধারণ বেড বাড়ানোর প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

দক্ষিণাঞ্চলের করোনা ডেটিকেটেড একমাত্র হাসপাতাল হিসেবে খ্যাত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল। করোনায় আক্রান্ত কিংবা উপসর্গ দেখা দেওয়া রোগীদের ভরসাস্থল হিসেবে গড়ে ওঠায় এ হাসপাতালটিতে দিন দিন বাড়ছে রোগীর চাপ। এ অবস্থায় হাসপাতালটিতে সব থেকে বেশি প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে অক্সিজেন ও আইসিইউ সেবার। সেন্ট্রালের পাশাপাশি সিলিন্ডারের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ সম্ভব হলেও করোনা ওয়ার্ডের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) মাত্র ১২টি বেড দিয়ে যথাযথ সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসকদের। সেই সাথে প্রয়োজনীয় জনবলেরও সংকট থাকায় ভোগান্তির প্রভাবটা রোগীদের ওপর গিয়েই পড়ছে। তবে এসব অবস্থা থেকে উত্তরণের চেষ্টা চালাচ্ছে হাসপাতাল প্রশাসন। জানা গেছে, করোনার প্রকোপ দেখা দিলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ হাসপাতালের পূর্ব দিকের নতুন পাঁচতলা ভবনটিতে অনেকটাই তড়িঘড়ি করে করোনা ইউনিট চালু করা হয়। প্রথমদিকে ২০ শয্যা দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও ধীরে ধীরে দেড়শত শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু এখন প্রতিদিন গড়ে দেড়শর অধিক রোগী করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকেন। তাই করোনা ওয়ার্ডে শয্যার সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেখানে ৫০টি সাধারণ শয্যার পাশাপাশি ১০টি আইসিইউ বেড বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে ১০টি আইসিইউ শয্যা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে প্রতিদিনই রোগী বাড়ছে। করোনা ওয়ার্ডের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শয্যার সংখ্যা মাত্র ১২টি। সবগুলো শয্যা রোগীতে পরিপূর্ণ। আইসিইউ ও সাধারণ শয্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে