শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মহাশূন্যে মূলাচাষে নাসা’র সাফল্য!

যাযাদি ডেস্ক
  ০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১৩:৪১

তথ্য প্রযুক্তি

মহাশূন্যে মূলাচাষে নাসা’র সাফল্য!

যাযাদি ডেস্ক

মহাশূন্যে একটি পরিক্ষায় মূলাচাষ করে আশানুরুপ সাফল্য পেয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস) নামের কৃত্রিম উপগ্রহর মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে কাজে লাগায় ওই বিজ্ঞানীরা।

আইএসএস-এর কলম্বাস ল্যাবরেটরি মডিউলের প্লান্ট হ্যাবিটাট-২-তে বীজ থেকে গাছ গজিয়ে ওঠার ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। তাতে চারকোণা আকারের একটি বাক্সে নানা ধরনের তারের মাঝখানে ২০টি সবুজ পাতা সম্বলিত চারাগাছ দেখা গিয়েছে। খুব দ্রুতই সেখান থেকে মূলা সংগ্রহ করা হবে। পরীক্ষার জন্য তার নমুনা পাঠানো হবে পৃথিবীতে!

পৃথিবীতে নানা ধরনের ফসল থাকলেও বিজ্ঞানীরা কেন মুলাচাষ করলো, তারও ব্যাখা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা জানায়, মুলা পুষ্টিকর এবং যেকোন উপায়েই সেটা খাওয়া যায়। এটি স্বল্প সময়ে চাষের উপযোগী, জৈবিকভাবে কার্যকর এবং এই উদ্ভিদটি প্রায়শই ক্ষুদ্র গ্রাভিটিতে বেঁচে থাকতে পারে। আর সেকারনেই পরিক্ষাগারটিতে এই সবজিকেই বেছে নেওয়া হয়।

মাধ্যাকর্ষণ শক্তি না থাকায় সেখানে গাছের শিকড় মাটিতে প্রবেশ করতে পারে না। তাই এই এক্সপ্রেরিমেন্ট করতে গিয়ে বিজ্ঞানীদের বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। তারা প্রথমে মাটির স্তুপ করে সেখানে বীজ পুঁতে দেয়। তা থেকে চারা বেড়ে ওঠে। এই পদ্ধতিতে সমস্ত গাছ সমান পানি ও সারও পায়। বাক্সের মধ্যে এলইডি আলোর ব্যবস্থা রয়েছে। ১৮০-র বেশি সেন্সর বসানো রয়েছে। ফ্লোরিডায় নাসা’র কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে গাছগুলোর বৃদ্ধিতে নজর রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

পৃথিবী থেকে চাঁদ ও মঙ্গলে জনবসতি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। সেখানে তারা যেন প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পান সেজন্য মহাশূন্যে চাষবাসের চেষ্টা চলছিল বহু দিন ধরেই।

আর্টেমিস প্রোগ্রামের অংশ হিসাবে, নাসা দশকের শেষের দিকে চাঁদে এবং তার আশেপাশে টেকসই বসবাস স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে। একই সাথে পৃথিবী থেকে নভচারীদল সরবরাহ করতে সক্ষম হবে। মঙ্গল গ্রহের জন্য আবদ্ধ ভবিষ্যত নভোচারীরা পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তনের আগে প্রায় দুই বছর ভ্রমণ করবে। সেখানে মিশনের সময়কালের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সরবরাহ বহন করতে হবে।

যাযাদি/এমএস/১:২১পিএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে