সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

কোরবানির মাংস সংরক্ষণের উপায়

যাযাদি ডেস্ক
  ২৫ জুন ২০২৩, ১৪:১৫

ত্যাগের মহিমায় আসছে ঈদ-উল-আজহা। পশু কোরবানির মাধ্যমে ত্যাগ স্বীকার করা হয়। আল্লাহর নামে জবাইকৃত পশুর মাংসের ৩ ভাগের এক গরীব-মিসকিন, একভাগ আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে বিলিয়ে দিতে হয়। চাইলে পুরোটাই বিলিয়ে দেওয়া যায়।

মাংস বিলিয়ে দেওয়ার পর এগুলো দ্রæত সংরক্ষণ করা উচিত। কেননা, দ্রæত মাংস সংরক্ষণ না করেল পচে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কোরবানির মাংস সংরক্ষণ করার আছে নানা পদ্ধতি। মাংস সংরক্ষণ করার পদ্ধতিগুলো জানুন।

পূর্ব প্রস্তুতি

কোরবানির মাংস সংরক্ষণ করার জন্য প্রয়োজন কিছু পূর্ব প্রস্তুতির। কোরবানির দিন তাড়াহুড়ার মধ্যে যাতে কাজের ঝামেলা কিছুটা কম থাকে সেজন্যই প্রয়োজন কিছুটা পূর্ব প্রস্তুতির। আগেই ডিপ ফ্রিজের পুরানো খাবার সরিয়ে ফেলুন। ফ্রিজ একদম খালি করে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে ফেলাই ভালো।

আগে থেকে জমে থাকা রক্ত ও ময়লা থেকে জীবাণু মাংসের কোয়ালিটি নষ্ট করে দিতে পারে। তাই ফ্রিজের পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত জরুরী। সেই সঙ্গে আগেই জমিয়ে রাখুন বড় বড় আকৃতির অনেকগুলো পলিথিন ব্যাগ। কারণ ঈদের দিন পলিব্যাগে করেই মাংসগুলো ফ্রিজে রাখতে হবে আপনার।

পরিচ্ছন্নতা

কোরবানির মাংস সংরক্ষণ করার আগেই প্রয়োজন পরিচ্ছন্নতার। খেয়াল রাখুন কসাইয়ের মাংস কাটার স্থানটি যেন পরিচ্ছন্ন হয়। ধুলাবালিযুক্ত স্থানে মাংস কাটলে রান্নার সময়ে খাবার বালি বালি লাগতে পারে। মাংস কাটা হয়ে গেলে সেগুলোর রক্ত পরিষ্কার করে পানি ভালো করে ঝরিয়ে নিন। এরপর প্যাকেটে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন অথবা রান্না করুন।

সংরক্ষণ পদ্ধতি

গরুর মাংস সংরক্ষণ করার আছে নানান পদ্ধতি। প্রচলিত পদ্ধতিগুলো হলো-

একসঙ্গে অনেক মাংস রান্না পরে প্রতিদিন জ্বাল দিয়ে রাখা।

কাঁচা মাংস প্যাকেট করে ফ্রিজে ভরে রাখা।

কড়া রোদে মাংস শুকিয়ে আর্দ্রতা কমিয়ে ফেলা। এটাকে মাংসের শুঁটকি বলা হয়ে থাকে আমাদের দেশে।

মাংসে লবণ, ভিনেগার, মসলা মাখিয়ে রেফ্রিজারেটরে রাখলেও ২ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।

সতর্কতা

মাংস সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। জেনে নিন সতর্কতাগুলো সম্পর্কে।

মাংস রান্না করে রাখলে প্রতিদিনই জ্বাল দিতে হবে। এক্ষেত্রে গরমকালে মাংস ১২ ঘন্টা পর একবার এবং শীত কালে ২৪ ঘন্টা পর একবার জ্বাল দিলেই মাংস ভালো থাকবে।

কাঁচা মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে চাইলে ফ্রিজের তাপমাত্রা ১৮ থেকে ২২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড করে রাখতে হবে। এভাবে গরুর মাংস ১২ মাস ভালো থাকবে। খাসীর মাংস এবং গরু ও খাসীর কলিজা ৬ মাস পর্যন্ত ভালো থাকে এই পদ্ধতিতে।

মাংস ফ্রিজে রাখার আগে প্যাকেটের গায়ে তারিখ লিখে দিন। এতে মাংসগুলো কতদিন সংরক্ষণ করা হয়েছে সেটা সহজেই বোঝা যাবে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে