সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রীলঙ্কাকে ২৮০ রানে থামিয়ে দিল বাংলাদেশ

যাযাদি ডেস্ক
  ২২ মার্চ ২০২৪, ১৭:১০

সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসের প্রথম সেশন বাংলাদেশ শুরু করেছিল চমৎকারভাবে। যদিও দ্বিতীয় সেশনে ঘুরে দাঁড়ায় শ্রীলঙ্কা। উইকেটবিহীন রাখে স্বাগতিকদের। তবে, শেষ সেশনে অভিষিক্ত নাহিদ রানার বোলিংয়ে আরেকবার ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। এতে, প্রথম টেস্টের ইনিংসে প্রথম দিনেই অলআউট হয় সফররত শ্রীলঙ্কা। ৬৮ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে দলটির সংগ্রহ ২৮০ রান।

দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে আজ শুক্রবার (২২ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন স্বাগতিক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

সাদা পোশাকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছে রঙিন। সকালটা রাঙিয়ে তুলেছেন পেসার খালেদ আহমেদ। প্রথম পাঁচ উইকেটের তিনটিই নেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারেই আসে প্রথম সাফল্যের দেখা। লঙ্কান ওপেনার নিশান মাদুষ্কাকে দুই রানে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান। আরেক ওপেনার দিমুথ করুনারতেœ ১৭ রান করে খালেদের বলে বিভ্রান্ত হয়ে বোল্ড হন। ১৬ রান করা কুশল মেন্ডিসকে জাকির হাসানের তালুবন্দি করে সাজঘরের পথ দেখান খালেদ। নাজমুল হোসেন শান্তর থ্রোতে রানআউট হয়ে আসা যাওয়ার মিছিলে সামিল হন পাঁচ রান করা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস।

এরপর দিনেশ চান্দিমালকে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান শরিফুল ইসলাম। ৫৭ রানে পাঁচ উইকেট হারানো লঙ্কানদের চোখ রাঙাচ্ছিল বাজে কিছুই। সেখান থেকে বিপদ সামাল দিয়ে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ নেন। পুরো দ্বিতীয় সেশন কোনো উইকেট না হারিয়ে নির্বিঘেœ কাটিয়ে দেন লঙ্কান দুই ব্যাটার। বাংলাদেশি ফিল্ডারদের ক্যাচ মিস ও বোলিংয়ে লাইন হারানোর সুযোগে স্বাগতিকদের ওপর চেপে বসেন সফররতরা। প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের দ্বিতীয় সেশনে ২৭ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে লঙ্কানরা জমা করে ১২৫ রান। দুই সেশন শেষে দলটির সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৯ ওভারে পাঁচ উইকেটে ২১৭ রান।

তৃতীয় সেশনে এসে সেঞ্চুরি তুলে নেন ধনঞ্জয়-কামিন্দু দুজনই। দুজনের ব্যাট থেকেই আসে ১০২ রান। দুজনকেই ফেরান অভিষিক্ত নাহিদ রানা। দলীয় ২৫৯ রানে এ জুটি ভাঙলে বাকিরা বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। শেষ ২১ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা।

বাংলাদেশের পক্ষে খালেদ ও নাহিদ পান তিনটি করে উইকেট। তাইজুল ও শরিফুল পান একটি করে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে