সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিজেপির ভয় নেই, লুকানোরও কিছু নেই :অমিত শাহ

হিনডেনবার্গের তোলা জালিয়াতির অভিযোগের তদন্ত শুরু
যাযাদি ডেস্ক
  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
অমিত শাহ

প্রথমবার ধনকুবের গৌতম আদানি প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির অন্যতম ক্ষমতাধর নেতা অমিত শাহ। মঙ্গলবার তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, আদানি প্রসঙ্গে বিজেপির কিছুই লুকানোর নেই। এই বিষয়টি নিয়ে দল ভয় পাচ্ছে না। আপাতত সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন বিষয়ে মুখ খুলতে চান না বলেই জানিয়েছেন আমিত শাহ। তার মতে, অযথা ভিত্তিহীন প্রচার চালাচ্ছে বিরোধী দলগুলো। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যেই রকেটের গতিতে আদানির ব্যবসার উন্নতি হয়েছে, এই দাবি তুলে পার্লামেন্টে সরব হন বিরোধীরা। সংবাদসূত্র : ইনডিয়ান এক্সপ্রেস, বিবিসি

মঙ্গলবার সংবাদসংস্থা 'এএনআই'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমিত শাহ বলেন, 'বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। মন্ত্রী হিসেবে এই নিয়ে আমার কথা বলা উচিত নয়। তবে আদানি প্রসঙ্গে বিজেপি কিছুই লুকাতে চায় না। কোনো কিছুতেই বিজেপির ভয়ের কারণ নেই।'

প্রসঙ্গত, বিরোধীদের দাবি, ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরই ম্যাজিকের মতো আদানির সম্পত্তি বাড়তে থাকে। মোদির সাহায্যেই একের পর এক ব্যবসায় সাফল্য পেয়েছেন গৌতম আদানি, এমনটাই অভিযোগ ওঠে।

আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে বিরোধীদের লাগাতার প্রশ্নের মুখে পড়েও একটি শব্দ বলেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিরোধীদের জবাবে ভাষণে একাধিক বিষয়ে মন্তব্য করলেও আদানি নিয়ে কোনো কথা শোনা যায়নি তার মুখে। পালটা দিয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়, আসলে বন্ধু আদানিকে আড়াল করতে মৌনব্রত গ্রহণ করেছেন মোদি।

শেষ পর্যন্ত আদানি ইসু্যতে মামলা দায়ের হয় ভারতের সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতে আদানি নিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় সরকারকে। শেয়ার বাজারে ধস নামার নেপথ্য কারণ কী, হিনডেনবার্গ রিপোর্ট সামনে আসার পর থেকে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। এমনই বেশ কিছু প্রশ্ন করে শীর্ষ আদালত। তারপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে কেন্দ্র। আগামী শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

হিনডেনবার্গের তোলা জালিয়াতির অভিযোগের তদন্ত শুরু

ভারতের অর্থনৈতিক বাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিশ্চিত করেছে, গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিনডেনবার্গ রিসার্চের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তারা ধনকুবের গৌতম আদানির মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইনডিয়া (সেবি) আরও বলছে, তারা এই রিপোর্টের পর শেয়ার বাজারের কার্যকলাপ পরীক্ষা করে দেখেছে।

বাজার কারসাজি ও আর্থিক জালিয়াতির দাবি ওঠার পর শেয়ার বাজারে আদানির ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের ১০০ বিলিয়ন ডলার লোকসান হয়েছে। তবে আদানি গ্রম্নপ জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

সোমবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টের কাছে এক আবেদনে সেবি বলছে, হিনডেনবার্গ রিসার্চের 'প্রতিবেদন প্রকাশের আগে এবং পরে বাজারের কার্যকলাপ' তারা যাচাই করে দেখছে এবং অভিযোগগুলো বিশ্লেষণ করছে।

সুপ্রিম কোর্টে আবেদনে সেবি উলেস্নখ করেছে, 'সিকিউরিটিজ বাজারের স্থিতিশীল ক্রিয়াকলাপ এবং উন্নয়নের জন্য নিয়ন্ত্রক কাঠামো স্থাপন করার প্রশ্নে সেবি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং পর্যাপ্ত-ভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত।'

গত মাসে আমেরিকা-ভিত্তিক হিনডেনবার্গ রিসার্চের একটি প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, আদানি গ্রম্নপের কোম্পানিগুলো গত কয়েক দশক ধরে শেয়ার বাজারে ফাঁকিবাজি এবং হিসাবপত্র জালিয়াতি করে আসছে। হিনডেনবার্গ রিসার্চ আরও দাবি করেছে, আদানির কোম্পানিগুলোর 'বিশাল ঋণ' রয়েছে যা পুরো গ্রম্নপটির 'অর্থনৈতিক ভিত্তিকে অনিশ্চিত' করে তুলেছে। আদানি গ্রম্নপ স্পষ্টভাবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে