সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

সঙ্গীকে খুনের পর লাশ ফ্রিজে রেখে বিয়ের পিঁড়িতে যুবক

যাযাদি ডেস্ক
  ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

সময়টা ভালো কাটছিল না দিলিস্নর তরুণী নিক্কি যাদবের। সঙ্গী সাহিল গেহলটের সঙ্গে ঝগড়া, মনোমালিন্য, রাগারাগি লেগেই ছিল। রাগের মাথায় গাড়ির ভেতর ডাটা কেব্‌?ল পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে নিক্কিকে হত্যা করেন সাহিল। পরে ফ্রিজের ভেতর লাশ লুকিয়ে রাখেন। শুধু তা-ই নয়, নিক্কিকে হত্যার দিন আরেকটি মেয়েকে বিয়েও করেন তিনি।

নিক্কিকে হত্যা অভিযোগে গত মঙ্গলবার সাহিলকে আটক করেছে দিলিস্ন পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিক্কির বয়স ২৩ বছর। আর ফার্মেসিতে স্নাতক শেষ করা সাহিলের বয়স ২৪ বছর। ২০১৮ সালে তাদের পরিচয়। এর পর প্রেমের সম্পর্কে জড়ান দু'জনে। দিলিস্নতে লিভ ইন (বিবাহ না করে একসঙ্গে বসবাস) করতেন দু'জনে। সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না তাদের।

গত মে মাসে শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যার শিকার হন। এ ঘটনায় তার লিভ ইন সঙ্গী আফতাব পুনাওয়ালাকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত ১০ ফেব্রম্নয়ারি গাড়িতে বসেই ঝগড়া হচ্ছিল নিক্কি-সাহিলের। একপর্যায়ে রাগের মাথায় পাশে থাকা ডাটা কেবল হাতে তুলে নেন সাহিল। সেটা নিক্কির গলা পেঁচিয়ে ধরেন। এতে শ্বাসরোধ হয়ে নিক্কির মৃতু্য হয়। পরে পশ্চিম দিলিস্নতে নিজেদের ফ্রিজের ভেতর ভরে রাখেন নিক্কির মরদেহ। এরপর সেদিনই এক তরুণীকে বিয়ে করেন সাহিল।

নিক্কির খোঁজ না পেয়ে স্থানীয় থানা-পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান তার পরিবারের সদস্যরা। পরে নিক্কির সন্ধানে নামে দিলিস্ন পুলিশ। সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয় সাহিলকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিক্কিকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি।

জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে পুলিশকে নিক্কির মরদেহের সন্ধান দেন সাহিল। হত্যাকারী সাহিলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিক্কির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, অনেক আগেই সাহিলের বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেটা নিক্কি জানতেন না। পরবর্তী সময়ে তা জানতে পেরে দু'জনের সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয়। ঝগড়া, মনোমালিন্য নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। যার পরিণতি এই হত্যাকান্ড।

গত বছরের গত মে মাসে দিলিস্নতে শ্রদ্ধা ওয়াকার নামে এক নারী হত্যার শিকার হন। এ ঘটনায় তার লিভ ইন সঙ্গী আফতাব পুনাওয়ালাকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনে পুলিশ। শ্রদ্ধা ওয়াকারকে হত্যার পর মরদেহ কেটে ৩৫ খন্ড করে পাশের জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিলেন আফতাব। তিনি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছেন। এই ঘটনা ভারতজুড়ে বেশ শোরগোল ফেলেছিল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে