সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
ভারতের আয়কর দপ্তরের হানা

ভয় না পেয়েই নিরপেক্ষ খবর পরিবেশন করবে বিবিসি

যাযাদি ডেস্ক
  ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

গত মঙ্গলবার সকালে বিবিসির দিলিস্ন ও মুম্বাই কার্যালয়ে হানা দিয়েছিলেন ভারতের আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা। সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়েছিল, আয়কর 'সমীক্ষা' করার জন্য ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটির কার্যালয়ে গিয়েছিলেন আয়কর দপ্তরের কর্মীরা। প্রায় ৬০ ঘণ্টা 'সমীক্ষা' চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বিবিসি দপ্তর ছাড়েন 'সমীক্ষক'রা। তারপরই বিবিসির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ভয় না পেয়ে আগের মতোই নিরপেক্ষভাবে খবর পরিবেশন করে যাবে তারা। সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ, এনডিটিভি

ওই বিবৃতিতে অবশ্য এটাও বলা হয়েছে, আয়কর বিভাগের সঙ্গে ভবিষ্যতেও সহযোগিতা করতে প্রস্তুত তারা। তবে বিষয়টি দ্রম্নত নিষ্পত্তি হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে বিবৃতিতে। বিবৃতির শুরুতেই লেখা হয়েছে, 'বিবিসি একটি বিশ্বস্ত ও স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম। আমরা আমাদের সব সহকর্মী এবং সাংবাদিক, যারা ভয় না পেয়ে এবং কোনো পক্ষ না নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের পাশে থাকব।'

সমীক্ষা চলাকালে কর্মীদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, 'আমাদের অনেক কর্মীকেই দীর্ঘ প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। কাউকে রাত জাগতে হয়েছে। তাদের সুরক্ষা দেওয়া আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে।' একই সঙ্গে ভারত এবং সারা বিশ্বে যে তারা নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা দিয়ে যাবে, তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

২০০২ সালে নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় সেই রাজ্যে মুসলমানদের কেমন অবস্থা ছিল, তা নিয়ে দুই পর্বে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। কিন্তু 'ইনডিয়া : দ্য মোদি কোয়েশ্চেন' শীর্ষক তথ্যচিত্রটি বিশেষ তথ্যপ্রযুক্তি আইন প্রয়োগ করে ইউটিউবসহ যাবতীয় সামাজিক মাধ্যম থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তারপরই কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। ওই মামলায় কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট তলব করে ভারতের শীর্ষ আদালত। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে মন্ত্রীরা কোনো মন্তব্য করতে না চাইলেও বিজেপির একাধিক নেতা বিবিসির তীব্র সমালোচনা করে জানান, দেশকে খাটো করার জন্যই মিথ্যা ও বিকৃত তথ্য পরিবেশন করছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি। সরকারের পক্ষ থেকেও জানানো হয়, বিবিসির ওই তথ্যচিত্র ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখন্ডতার আদর্শকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে