সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

কিয়েভের আকাশে রহস্যময় আলোর ঝলকানি

যাযাদি ডেস্ক
  ২১ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০
কিয়েভের আকাশে আলোর ঝলকানি

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের রাতের আকাশে শক্তিশালী রহস্যময় এক আলোর ঝলকানি দেখা যাওয়ার পর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সাইরেন বাজানো হয়, কিন্তু পরে কিছুই ঘটেনি। কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি পোপকো টেলিগ্রামে বলেছেন, 'ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতা জানানো হলেও এয়ার ডিফেন্স কার্যকর করা হয়নি।' বুধবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ১০টার দিকে ওই উজ্জ্বল আভায় কিয়েভের আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে, এই রহস্যময় আলো প্রথমে আতঙ্ক ছড়ালেও পরে কৌতূহল ও অনেক জল্পনার কারণ হয়। সংবাদসূত্র : বিবিসি, রয়টার্স

সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, যুদ্ধের মধ্যে এমন দৃশ্য সাধারণ মানুষের মধ্যে বেশ ভীতির সৃষ্টি করে। তবে পরবর্তী সময় ইউক্রেনের সামরিক প্রশাসন জানায়, আলোটি ছিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার একটি স্যাটেলাইটের। যেটি মহাকাশে মিশন শেষ করে পৃথিবীর বুকে ফিরে এসেছে। তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য আসার পর নাসা জানিয়েছে, যে উজ্জ্বল আলোটি দেখা গেছে, এটি আসলে তাদের স্যাটেলাইট নয়। নাসার এমন বক্তব্যের পর এই আলো নিয়ে আরও সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

ইউক্রেনের পক্ষ থেকে পরে জানানো হয়, ওই আলোটি তাহলে কোনো উল্কা হতে পারে। তবে রাশিয়ার কোনো বিমান বা আকাশ হামলার কারণে এমনটি হয়নি বলে দাবি করেছে দেশটি। কিয়েভ সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরগি পোপকো টেলিগ্রামে ওই আলোকে মার্কিন স্যাটেলাইট দাবি করে বলেছিলেন, 'প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, উজ্জ্বল আলোটি নাসার স্যাটেলাইট পৃথিবীতে অবনমন হওয়ার ফল।' এ ছাড়া আলো জ্বলে ওঠার পর কিয়েভে বিমান হামলার সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে বলেও জানান তিনি।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে নাসা অবশ্য জানিয়েছিল, তাদের ৩০০ কেজি ওজনের একটি পুরনো স্যাটেলাইট মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বুকে বুধবার ফিরে আসবে। 'আরএইচইএসএসআই' নামের এই স্যাটেলাইট সৌর শিখা পর্যবেক্ষণ করত। এটি ২০০২ সালে পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠানো হয়েছিল। নাসার যোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তা রব মার্গেটা জানিয়েছেন, যখন কিয়েভের আকাশে আলো জ্বলে ওঠে, তখনও তাদের স্যাটেলাইটটি পৃথিবীর বুকে আসেনি। ফলে এই আলোর রহস্যের সুরাহা হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে