সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রতিরক্ষা খাতে বড় পরিবর্তন

চীনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সামরিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় এবং যে কোনো দেশের তুলনায় অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করেছে চীন
যাযাদি ডেস্ক
  ২৫ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০

চীন থেকে ক্রমবর্ধমান হারে যে হুমকি আসছে, তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে দূরপালস্নার ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে অস্ট্রেলিয়া। এই উদ্যোগ খুব দ্রম্নতগতিতে নেওয়া হচ্ছে। প্রতিরক্ষা বিষয়ক বড় ধরনের এক পর্যালোচনায় এ কথা বলা হয়েছে। এতে অস্ট্রেলিয়াকে সতর্ক করা হয়েছে, 'ক্ষেপণাস্ত্র যুগে' ভূ-রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন থাকলে অস্ট্রেলিয়া নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবে না। ফলে সুপারিশের ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে সরকার খরচ করবে প্রায় ১২০০ কোটি ডলার। ১১০ পৃষ্ঠার ওই পর্যালোচনায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা খাতে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন বলে বর্ণনা করা হয়েছে। সংবাদসূত্র : বিবিসি

ওই পর্যালোচনার নাম দেওয়া হয়েছে 'দ্য ডিফেন্স স্ট্র্যাটেজিক রিভিউ' (ডিএসএর)। তাইওয়ান ইসু্যতে চীনের মনোভাব নিয়ে আঞ্চলিক পর্যায়ে যখন উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছেই, তখন এই পর্যালোচনা সামনে এলো। উলেস্নখ্য, নিজেদের সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে তাইওয়ান। তবে চীন তা অস্বীকার করে। তাদের দাবি, তাইওয়ান হলো চীনের অন্তর্গত। তাইওয়ান তাদের ভূখন্ড। তাই বারবার জোর দিয়ে চীন বলেছে, প্রয়োজন পড়লে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও তাইওয়ান দখল করে নেবে তারা। এরই মধ্যে তারা দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের বড় রকমের উপস্থিতি জাহির করেছে। আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এমন দাবি করে তারা ওই অঞ্চল তাদের বলে দাবি করছে।

ডিএসএ'তে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় এবং যে কোনো দেশের তুলনায় অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করেছে চীন। এ ক্ষেত্রে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্বচ্ছতা অনুসরণ করা হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিএসএ'র রিভিউ সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছেন, ভবিষ্যৎ কেমন হবে তার জন্য অপেক্ষা না করে, এই পর্যালোচনা ভবিষ্যৎকে রূপ দেবে। এতে যে সুপারিশ করা হয়েছে, তা অস্ট্রেলিয়ায় অধিক পরিমাণে আত্মনির্ভরশীল, অধিক প্রস্তুত এবং অধিক নিরাপদ করবে। সুপারিশে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার সেনাবাহিনী স্থল সামরিক অস্ত্র থেকে দূরপালস্নার হামলার সক্ষমতা অর্জন করবে। এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে অস্ট্রেলিয়ায় তৈরি অস্ত্রশস্ত্র। এ কথা বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মারলেস। তিনি আরও বলেন, 'আমাদের এমন একটি প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রয়োজন, যার প্রভাবমূলক অভিক্ষেপে যুক্ত হওয়ার সক্ষমতা আছে।' তিনি আরও বলেন, ৫০০ কিলোমিটারের বেশি পালস্নাসহ 'নির্ভুল হামলার ক্ষেপণাস্ত্র' অর্জনের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে ভবিষ্যতে তীব্র শক্তি এবং গতিশীলতা দেবে।

তাইওয়ানের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের মধ্য দিয়ে চীন ওই ভূখন্ডটি দখল করে নেবে, যা অস্ট্রেলিয়ার কাছাকাছি। এমনটা হলে তা অস্ট্রেলিয়ার সেনাবাহিনীর জন্য খুব খারাপ দৃশ্যপট সৃষ্টি করবে বলে ২০২২ সালে একটি 'থিংকট্যাংক' রিপোর্টে সতর্ক করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে