সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

সুদানে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত লড়াইরত দুই পক্ষ

যাযাদি ডেস্ক
  ২৬ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০
আফ্রিকার তৃতীয় বৃহত্তম দেশ সুদানে ক্ষমতা নিয়ে লড়াইরত দলগুলো ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে গেলে লোকজন রাজধানী খার্তুম ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় চলে যাচ্ছে। আমেরিকার মধ্যস্থতায় প্রায় ৪৮ ঘণ্টা ধরে আলোচনার পর সেনাবাহিনী ও মিলিশিয়ার্ যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে -ইনডিপেনডেন্ট

সুদানে লড়াইরত দলগুলো ৭২ ঘণ্টার একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিস্নংকেন। স্থানীয় সময় সোমবার মধ্যরাত থেকে এই যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। ক্ষমতার দ্বন্দ্বে লড়াই শুরু হওয়ার পর এটি তৃতীয় দফার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা। এর আগের দুই দফা চেষ্টা কার্যকর করা যায়নি। সংবাদসূত্র : বিবিসি বিস্নংকেন জানিয়েছেন, প্রায় ৪৮ ঘণ্টা ধরে আলোচনার পর সেনাবাহিনী ও মিলিশিয়া র?্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস'র (আরএসএফ) মধ্যে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, যুদ্ধবিরতির ফলে রাজধানী খার্তুমের বাসিন্দারা শহর ছাড়ার সুযোগ পাবে। সেই সঙ্গে বিদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছে বিদেশি সরকারগুলো। খার্তুমে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় কূটনীতিক ও বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ। আফ্রিকার তৃতীয় বৃহত্তম দেশ সুদানে গত ১৫ এপ্রিল লড়াই শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে জাতিসংঘ কর্মীও রয়েছেন বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়েও অনেক বেশি। এরপর তা দেশটির অন্যান্য এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ে। লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকেই খার্তুমের বাসিন্দাদের ঘরের ভেতরে থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সেখানে খাবার ও পানির সরবরাহ অনেক সীমিত হয়ে পড়েছে। এমনকি অনেক মানুষ নাইল নদীর পানি খেতে বাধ্য হচ্ছে। দেশটির বেশিরভাগ হাসপাতাল বন্ধ। পানি ও বিদু্যতের সরবরাহ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। আটকে পড়া লোকজনের বাড়িতেও খাবারের মজুত দ্রম্নত ফুরিয়ে আসছে। এ কারণে দেশটিতে মানবিক সংকট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সুদানের এই সহিংসতা পুরো এলাকার জন্য বিপর্যয়কর হয়ে উঠতে পারে। বিস্নংকেন বলেছেন, আমেরিকা খার্তুমে কূটনীতিক উপস্থিতি আবার চালু করার কথা ভাবছে, কিন্তু সেখানকার পরিস্থিতি 'খুবই চ্যালেঞ্জিং' বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। সুদানে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের সামরিক অভু্যত্থানের পর থেকে জেনারেলদের একটি কাউন্সিল দেশটি পরিচালনা করছে। এই কাউন্সিলের শীর্ষ দুই সামরিক নেতাকে ঘিরেই এই লড়াই। এরা হলেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ও প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং দেশটির উপ-নেতা ও আরএসএফ কমান্ডার জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে