সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানের 'কালো অধ্যায়' এই রায় :শাহবাজ

যাযাদি ডেস্ক
  ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
শাহবাজ শরিফ

আলোচিত তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দন্ড স্থগিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় একে 'কালো অধ্যায়' বলে মন্তব্য করেছেন শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যানের সাজা স্থগিতে নমনীয় হওয়ায় ইসলামাবাদ আদালত ও প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়ালের প্রতি নিন্দাও জানিয়েছেন তিনি। তার অভিযোগ, প্রধান বিচারপতিকে খুশি রাখতেই সাজা স্থগিতের এই রায় দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। সংবাদসূত্র : জিও নিউজ

মঙ্গলবার সামাজিক যোগযোগমাধ্যম 'এক্সে' (সাবেক টুইটার) শাজবাজ বলেন, 'প্রধান বিচারপতি যে তার প্রিয় ব্যক্তিদের প্রতি সদয়, তা আরও একবার প্রমাণিত হলো। রায়ে কী সিদ্ধান্ত আসবে, তা যদি রায় ঘোষণার আগেই সবাই জেনে যায়, তাহলে তা সত্যিই যে কোনো দেশের বিচার বিভাগের জন্য উদ্বেগজনক।'

নিজের বড় ভাই ও পিএমএলএনের চেয়ারম্যান নওয়াজ শরিফের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিচার বিভাগ কোনো অনুকম্পা প্রদর্শন করেনি অভিযোগ করে শেহবাজ বলেন, 'নওয়াজ শরিফ শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে, সেজন্য একজন বিচারককে মনিটরিং জাজ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। আর এখানে নিজের প্রিয় ব্যক্তিকে বাঁচাতে প্রধান বিচারপতি নিজেই মনিটরিং জাজ সেজে বসে আছেন।' তিনি আরও বলেন, 'আজকের এই রায় পাকিস্তানের ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায় হিসেবে লেখা থাকবে। যে বিচার ব্যবস্থার দাড়িপালস্না একদিকে ঝুঁকে পড়ে এবং ন্যায়বিচারকে দুর্বল করে, সেই বিচার ব্যবস্থা গ্রহণযোগ্য নয়।'

প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত উপহার তোশাখানায় জমা দেওয়ার পর তা কম দামে কিনে বাইরে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। 'তোশাখানা মামলা' নামে পরিচিত সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিন বছর কারাবাস, এক লাখ রুপি জরিমানা ও রাজনীতিতে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন ইমরান খান, যিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে জিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ওয়ার পর মেয়াদ শেষ করতে পারার আগেই ২০২২ সালের এপ্রিলে বিরোধী এমপিদের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচু্যত হন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে