রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী

মমতার ফর্মুলা মেনে নিল কংগ্রেস

'ইনডিয়া জোটের' শরিকদের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই এড়াতে চায় কংগ্রেসের হাইকমান্ড
যাযাদি ডেস্ক
  ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
কংগ্রেস প্রধান মলিস্নকার্জুন খাড়্‌গের সঙ্গে রাহুল গান্ধী

বিজেপিকে হারাতে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সেই প্রস্তাবকেই গুরুত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কংগ্রেস। একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রদেশ সভাপতিদের নির্দেশ দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। প্রদেশ জোট জটিলতা কাটাতে ব্যর্থ হলে সে ক্ষেত্র তিনি নিজে হস্তক্ষেপ করবেন। কিন্তু 'ইনডিয়া জোটের' শরিকদের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই এড়াতে হবে বলে কংগ্রেস কর্ম সমিতির বৈঠকের আগেই রাজ্য নেতৃত্বকে বার্তা দিয়েছেন রাহুল। সংবাদসূত্র : ইনডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্প্রতি, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ও তেজস্বী যাদবের সঙ্গে বৈঠকে একই জোট বার্তা দেন সোনিয়া-তনয় বলে সূত্রের খবর। শুক্রবার ইনডিয়া জোট নিয়ে রাহুলের মনোভাব স্পষ্ট করেন দলের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল। জোট প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ঘর থেকেই পদক্ষেপ শুরু করল কংগ্রেস হাইকমান্ড।

দিলিস্ন প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে আম আদমি পার্টির (আপ) সম্পর্ক 'সুমধুর' বলেই পরিচিত। সম্প্রতি, দিলিস্ন আমলা নিয়ন্ত্রণ বিলকে কেন্দ্র করে দুই দলের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক হয়। আপের সঙ্গে নতুন করে বিবাদে জড়াতে নারাজ মলিস্নকার্জুন খাড়্‌গে, সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীরা। তাই দিলিস্ন প্রদেশ কমিটির নতুন সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় আপ-ঘনিষ্ঠ অরবিন্দর সিং লাভলিকে।

শনিবার থেকে হায়দরাবাদে শুরু হয়েছে কংগ্রেসের কর্ম সমিতির দুই দিনের বৈঠক। বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে বর্ধিত কর্ম সমিতির বৈঠকে হাজির থাকবেন সব রাজ্যের সভাপতি ও চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, প্রথমদিন ইনডিয়া জোটে দলের ভূমিকা, অভিন্ন নূ্যনতম কর্মসূচির প্রস্তাব ও জোট প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দলের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হবে। সেই সঙ্গে ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যের দলের রণকৌশল ও প্রচার পদ্ধতি নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

তবে বৈঠকে ইনডিয়া জোট নিয়ে দলের ভূমিকা কী হবে, সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। দলের সাধারণ সম্পাদক বেনুগোপাল শুক্রবার বিজেপি বিরোধী অথচ ইনডিয়া জোটের বাইরে থাকা কে চন্দ্রশেখর রাওকে আক্রমণ করেন। তার অভিযোগ, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে মোদিবিরোধী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরলেও আসলে তিনি বিজেপির বন্ধুর ভূমিকা পালন করেন। সেই কারণেই বিআরএস ইনডিয়া জোটে যোগ দেয়নি। তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বিআরএসের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

বৈঠকের দ্বিতীয় দিন (রোববার) কংগ্রেস হাইকমান্ড ইনডিয়া জোট নিয়ে কী বার্তা দেন, সেদিকে তাকিয়ে দলের শীর্ষ ও প্রদেশ নেতৃত্ব। কারণ, ওইদিন ইনডিয়া জোট নিয়ে দলের ভূমিকা ব্যাখ্যা করবেন সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কারা। জানা গেছে, এরই মধ্যেই ঘনিষ্ঠ মহলে রাহুল গান্ধী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর ফর্মুলাকে গুরুত্ব দিয়ে রাজ্য পর্যায়ে জোট প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। জানিয়েছেন, প্রথমে প্রতিটি রাজ্যে আসন সমঝোতা করার দায়িত্ব প্রদেশ নেতৃত্বের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু সমস্য দেখা দিলে হস্তক্ষেপ করবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে