রোববার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২

আস্থা ভঙ্গের অভিযোগেও ক্ষমতা ছাড়বেন না নেতানিয়াহু

যাযাদি ডেস্ক
  ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
আস্থা ভঙ্গের অভিযোগেও ক্ষমতা ছাড়বেন না নেতানিয়াহু
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

ঘুষ, প্রতারণাসহ আস্থাভঙ্গের তিনটি অভিযোগ উঠলেও ক্ষমতা না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এছাড়া তার বিরুদ্ধে 'অভু্যত্থান প্রচেষ্টা'র অভিযোগেরও সমলোচনা করেন তিনি। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, 'আমি দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাব। আইন আমার পক্ষেই রয়েছে।' সংবাদসূত্র : জেরুজালেম পোস্ট, আল-জাজিরা

বৃহস্পতিবার ঘুষ, জালিয়াতি ও আস্থাভঙ্গের তিন মামলায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে অভিযুক্ত করেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল আবিচাই। এর আগে দুটি দুর্নীতির মামলায় গত ফেব্রম্নয়ারিতে তাকে অভিযুক্ত করার সুপারিশ করে পুলিশ। তবে শুরু থেকেই নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

এদিন নেতানিয়াহু বলেন, 'রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে একটি মহল তার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বামপন্থি বিরোধীদের ও সংবাদমাধ্যমের ষড়যন্ত্রের শিকার।' তিনি আরও বলেন, 'আমি মিথ্যাকে জয়ী হতে দেব না। ত্রম্নটিপূর্ণ তদন্তে সত্য বেরিয়ে আসেনি। তারা আমার পেছনে লেগে আছে।'

গত এপ্রিল ও সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার পর জোট সরকার গঠন করতে প্রধানমন্ত্রী ব্যর্থ হওয়ার পর রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে তার বিচারের ঘোষণা দিয়েছে আইন বিভাগ। দুর্নীতি বিষয়ে কোনো ধরনের অন্যায় করেননি বলে দাবি করেছেন নেতানিয়াহু। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, 'আমি পদত্যাগ করব না এবং আইনগতভাবে এটা করতে আমি বাধ্য নই।'

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, 'তিনি ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইন কোনো ডান কিংবা বামের বিষয় নয়, এটা রাজনীতির বিষয়ও নয়।' 'কেস ১০০০' নামের প্রথম তদন্তে বলা হয়, নেতানিয়াহু রাজনৈতিক সুবিধা প্রদানের বিনিময়ে ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উপহার নিয়েছিলেন। 'কেস ২০০০' নামে দ্বিতীয় তদন্তে বলা হয়, পত্রিকার প্রকাশক আরনোন মোজেসকে ঘুষ দিয়ে ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশের চেষ্টা করেছেন তিনি। এছাড়া সংবাদপত্র ইয়েদিয়থ আহরনোথে নিজের পক্ষে ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশের জন্য একটি চুক্তি করারও চেষ্টা করেছিলেন। এর বিনিময়ে সংবাদপত্রটির প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষ ইসরাইল হায়োমকে কোণঠাসা করতে সহায়তা করবেন বলেও প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। আর 'কেস ৪০০০'-এ বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে ঘুষ, প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। নেতানিয়াহুর ইতিবাচক সংবাদ প্রচারের জন্য একটি টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিকে সমর্থন করতে তার নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে চাপ দিয়েছিলেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে