শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
পাঠক মত

মাদক আগ্রাসন রুখতে হবে

নতুনধারা
  ০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

মাদকের করালগ্রাসে ক্ষত-বিক্ষত বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। এখনি যদি রুখে না দাঁড়ানো যায় তাহলে অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। দেশে প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী শিশু, কিশোর ও তরুণ। এরাই আগামী দিনের জাতীর কর্ণধার। মাদক নামক এক ভয়াল আগ্রাসী নেশা ধীরে ধীরে খেয়ে ফেলছে আমাদের প্রজন্মকে। মাদকের ভয়ানক আসক্তি সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে দীর্ঘমেয়াদে নৈতিক অবক্ষয় ঘটাচ্ছে কিংবা ভবিষ্যতেও ঘটাবে। সাধারণত ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন, প্যাথেডিন, আফিম, মদ, গাঁজা ও ভাংসহ বিভিন্ন নামে বিভিন্নরূপে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলছে। দার্শনিক রবার্ট ওয়েনের একটি বক্তব্য ছিল- 'মানুষ হয় তেমনি যেমনটা তাকে গড়ে তোলে পরিবেশ। মানুষকে উন্নত করতে হলে সে যেখানে গড়ে ওঠে সেই পরিবেশ বদলানো চাই।' আসলে আমাদের বিশ্ব-গ্রামের পরিবেশ বদলানো দরকার। বিশ্ব-গ্রামের পরিবেশ বদলানো গেলে আমাদের বাংলাদেশও বদলে যাবে। নেশাখোর দিন দিন শীর্ণকায় হয়ে যায়, হাত-পা দুর্বল, খিদে কম, কাজকর্ম করার মতো শারীরিক ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। কিডনি, লিভার, হার্ট বিনষ্ট হয়ে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে তারুণ্য জীবনের মাঝপথেই। গাঁজা, ভাং, ইয়াবা ধরনের মাদক জীবন নিঃশেষ করে দেয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন মারাত্মক নেশাজাতীয় দ্রব্য। ফলে মাদকবিরোধী সচেতনতা তৈরি করতে হবে। শিশুদের সুন্দর শৈশব উপহার দেওয়া, চিত্রাঙ্কনে, নাটকে, বিতর্কে, বৃক্ষরোপণে, গল্প-কবিতা লেখার প্রতিযোগিতায়, রচনা প্রতিযোগিতায়, গল্পের বই পড়ায় উৎসাহ দিতে হবে। নিরানন্দ, একঘেয়ে লেখাপড়ার হাত থেকে তাদের মুক্তি দিয়ে সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখা খুবই জরুরি। এছাড়া পরিবার থেকে সচেতনতা শুরু করা অপরিহার্য। সন্তানদের সঙ্গে পারিবারিক বন্ধন বাড়াতেই হবে। দেশব্যাপী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মাদকের অভিশাপ থেকে তরুণ প্রজন্মকে বাঁচাতে সরকারের পাশাপশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে প্রজন্ম বাঁচলে জাতি বাঁচবে। অন্যথায় অন্ধকার গহিন অরণ্যে হারিয়ে যাবে জাতীর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।

আনোয়ারুল হক নিজামী

মীরসরাই, চট্টগ্রাম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে