সভ্যতার অগ্রগতির ধারা যতই বেগবান হচ্ছে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো ততই উন্নততর আসনে অধিষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিযোগিতায় পালস্না দিতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলো। জনসংখ্যার বৃদ্ধি ও জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে সক্ষম না হওয়ায় অনাধিক্যের ভারে নু্যব্জ হয়ে পড়েছে। বেকারত্ব আর হতাশা জীবনকে কুরে কুরে খাচ্ছে। আর সুযোগ গ্রহণ করছে সাম্রাজ্যবাদী, ব্যবসায়ী, পুঁজিবাদীচক্র। সমাজজীবনে নেমে এসেছে অমানিশার অন্ধকার। সবার, জাতি তথা দেশ থেকে দৌড়ে পালাচ্ছে-কল্যাণ, সুন্দর ও ঐশ্বর্য। সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে নিয়েছে অসুন্দর, অকল্যাণ, হতাশা আর ব্যর্থতা। সমাজ তথা জাতির আলোর পথের যাত্রী যুবসমাজ আজ হতাশার চোরাবালিতে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে। শিক্ষা-সংস্কৃতি তলিয়ে যাচ্ছে ঘোর অন্ধকারে।
হতাশা আর ব্যর্থতায় জর্জরিত যুবক শ্রেণি মাদকের নেশায় বুঁদ হয়ে শান্তি খুঁজেছে নেশার ঘোরে। ফলে যুব সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আজ মাদকের থাবা বসেছে। স্কুল-কলেজে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা আজ লেখাপড়া ছেড়ে মাদকের কুপ্রভাবে আসক্ত হয়ে কঙ্কালসার হয়ে পড়েছে। যুবসমাজের মধ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে সন্ত্রাস, চুরি, ডাকাতি। আগামী দিনের সোনালি ফসল আসবে যাদের ছোঁয়ায়, যারা গড়বে আগামীর পৃথিবী তারাই আজ তলিয়ে যাচ্ছে অন্ধকারের অতলে।
আজকের পৃথিবীর সব মানুষকে অনুরোধ করছি একবার স্থির হয়ে একটু দাঁড়িয়ে ভাবুন বিশ্বের প্রতিটি দেশে মাদকদ্রব্য কীভাবে আজ আগ্রাসী থাবা বসিয়েছে। ধ্বংস করে দিচ্ছে আর জাতির তথা দেশের কল্যাণ শক্তির মূর্তপ্রতীক যুবসমাজকে। তাই ধ্বংসের হাত থেকে যুবসমাজকে বাঁচাতে হবে। সর্বস্তরের জনগণকে মাদকবিরোধী আন্দোলনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখতে হবে। সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকে এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
সর্বস্তরের জনসাধারণকে সচেতন করে তুলে মাদকবিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে। প্রতিটি বাবা-মায়ের তাদের সন্তানের প্রতি আরও যত্নশীল হতে হবে, নিয়মিত তাদের খোঁজ রাখতে হবে তারা কোথায় যাচ্ছে, কি করছে, তাদের বন্ধু-বান্ধবরা কেমন এ সব বিষয়ে। তাহলে এই সমাজ, জাতি দেশ তথা পৃথিবীর মাদকমুক্ত হবে।
মো. সাকিবুল ইসলাম
শিক্ষার্থী
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা