সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাঠক মত

নতুনধারা
  ২৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

'রমজান মাসে ব্যবসায়ীদের সদয় হওয়া উচিত'

মাহে রমজান হলো একটি পবিত্র মাস। প্রত্যেক মুসলিমের জন্য এই মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুরো রমজান মাসজুড়ে মুসলিমরা সারাদিন উপবাসের মাধ্যমে রোজা পালন করে থাকে। ভোরের আগে সেহরি ও সন্ধ্যায় ইফতারের মাধ্যমে সারাদিনের ক্লান্তি দূর করেন; কিন্তু, অধিকাংশই নিজেদের চাহিদা ও তৃপ্তি অনুযায়ী সেহরি ও ইফতারে শামিল হতে পারেন না, কারণ বর্তমান দ্রব্যমূল্য এতই বেশি যে, সবার জন্য তা মোটেই সহনীয় নয়- বিশেষ করে, রমজান মাস এলে ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্য আরও দ্বিগুণ বৃদ্ধি করে থাকে এটা পুরোপুরি অমানবিক। অথচ মাহে রমজানের সম্মানে এবং মুসলিমের সারাদিনের উপবাসের গস্নানি দূর করতে ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বেশি সদয় হওয়া উচিত। দ্রব্যমূল্য হ্রাস করে সর্বত্র মুসলিমের পাশে থাকা প্রত্যেক ব্যবসায়ীদের একান্ত অপরিহার্য। আরব কান্ট্রিতে এই দৃশ্যটা সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান হলেও আমাদের দেশে ঠিক উল্টো চিত্র প্রতীয়মান।

অতএব, প্রত্যেক ব্যবসায়ীরা রোজাদারের প্রতি আন্তরিক হোন এবং রমজান মাসের সম্মানে নিজেদেরও একটু সম্মানিত করুন। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিশেষ আর্জি জানাচ্ছি।

আবদুর রশীদ

সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম

হর্ন না হোক অসুস্থতার কারণ

নিরাপদে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে হর্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলেও আমাদের দেশের গাড়িচালকরা অপ্রয়োজনে একাধিকবার হর্ন বাজানোতে অভ্যস্ত। শহরের রাস্তায় প্রতিনিয়ত দেখা যায় গাড়ি জ্যামে আটকে থাকা সত্ত্বেও চালকরা উচ্চমাত্রায় অবিরত হর্ন বাজায়। যা অতিমাত্রায় শব্দ সৃষ্টি করে, কারণ হয় শব্দদূষণের। এতে অতিষ্ঠ হয়ে যায় যানবাহনে অবস্থানরত যাত্রী থেকে শুরু করে রাস্তা পারাপারকারী, বাসাবাড়িতে অবস্থানরত শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক কিংবা বৃদ্ধ সবাই। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাত্রাতিরিক্ত শব্দ মানুষের কানের উপর অযাচিত চাপ সৃষ্টি করে, শ্রবণশক্তিতে বাধা প্রয়োগ করে, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ এবং ফুসফুসজনিত জটিলতার কারণ হয়। এ ছাড়া এর কারণে মানুষ বিরক্ত হয়, মেজাজ খিটখিটে হয়, মনোযোগ নষ্ট হয়, যা মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি সাধন করে। মাত্রাতিরিক্ত হর্ন শুধু সাধারণ জনগণের ক্ষতির কারণ নয় বরং তা চালকদেরও নিদারুণ ক্ষতির কারণ। যেসব চালক দীর্ঘক্ষণ গাড়ি চালায়, শব্দদূষণের কারণে তাদের উগ্র মেজাজী আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে, যা স্বাভাবিকই বটে। অতিরিক্ত হর্ন বাজানো যে শুধু সাধারণ রাস্তায় হচ্ছে, তা কিন্তু নয়- 'হর্ন নিষিদ্ধ' এলাকায়ও চলছে এর অযাচিত অত্যাচার। সর্বসাধারণের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি ঠেকাতে অপ্রয়োজনে হর্ন বাজানো থেকে চালকদের বিরত থাকতে হবে কিংবা বিরত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য গাড়ির মালিকরা ও ট্রাফিক পুলিশদের সতর্ক হওয়া জরুরি। এ ছাড়া আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমেও হর্ন বাজানোর নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। সড়ক পরিবহণ আইন, ২০১৮-এর ধারা ৮৮ অনুযায়ী উচ্চমাত্রায় হর্ন বাজালে অনধিক ৩ মাসের কারাদন্ড বা দশ হাজার টাকা জরিমানা করতে পারবে কর্তৃপক্ষ। আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে, ঠেকাতে হবে হর্নজনিত শব্দদূষণ, সৃষ্টি করতে হবে নিরাপদ পরিবেশ।

সাজেদা আকতার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

যানবাহন ও পথচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক

ময়মনসিংহের কোতয়ালি থানায় ঢোলাদিয়া গ্রামের মুক্তাগাছা রোড থেকে টাউন হল পর্যন্ত মধ্যবর্তী জেল রোড এবং উত্তরা পুলিশ লাইনের সামান্য পূর্ব পাশে সড়কটি অবস্থিত এই এলাকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। অন্যান্য রোডের সঙ্গে সংযোগকারী এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বাস, সিএনজি, অটোরিকশা, মোটর সাইকেল, প্রাইভেট কার ও অ্যাম্বুলেন্সসহ অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। প্রতিদিন হাজার পথচারী এ সড়কটা ব্যবহার করে। দুই পাশে বিশাল গর্ত এবং ময়লা পানির ড্রেন থাকায় সড়কটা যানবাহন এবং পথচারীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া দুই পাশের বিশাল জঙ্গল এবং গাছপালায় পূর্ণ- সন্ধ্যা হতেই অন্ধকারে ছেয়ে যায় সড়কটা। অথচ, এ সড়ক দিয়ে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা বাজার ও হাসপাতালে যাতায়াত করে অসংখ্য মানুষ। এই অবস্থায় যানবাহনচালক ও পথচারীদের নানান সমস্যায় পড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যে কোনো সময় ঘটতে পারে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। তাই রাস্তাটি প্রশস্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এ অবস্থার পরিত্রাণ কামনা করছি।

মিসবাহুল ইসলাম

শিক্ষার্থী

বারিধারা, ঢাকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে