রোববার, ১১ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২
স্মরণীয়-বরণীয়

জেমস জয়েস

  ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
জেমস জয়েস
জেমস জয়েস

ইংরেজি ভাষার যেসব সাহিত্যিক সমাজের সব স্তরের মানুষের কথা বলেছেন লেখায়, তাদের মধ্যে অন্যতম আইরিশ সাহিত্যিক জেমস জয়েস। জীবনকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। সমাজের বাস্তব ছবি দেখার জন্য ঘুরেছেন পথে-প্রান্তরে, দেশে দেশে। জীবন মানুষ আর বাস্তবতা দেখতে দেখতে তিনি শেষ পর্যন্ত উপন্যাসে আবিষ্কারই করে ফেলেন এক বিচিত্র ভাষা শৈলীর। ২ ফেব্রম্নয়ারি, ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দে ডাবলিনে জন্মগ্রহণ করেন জেমন জয়েস। জীবনের প্রথম ২০ বছর তিনি জন্মভূমি ডাবলিনেই কাটিয়েছেন। এ সময় তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন পথে-প্রান্তরে। পরবর্তী সময়ে ইউরোপের বিভিন্ন শহর হয়ে ওঠে তার অস্থায়ী সব ঠিকানা। দীর্ঘ তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি লিখেছেন। এগুলোর মধ্যে আছে দুটি কবিতার বই, একটি ছোটগল্পের সংকলন, একটি নাটক এবং তিনটি উপন্যাস। 'মাত্রা ও পটভূমি'তে ভিন্ন ভিন্ন হলেও প্রিয় শহর ডাবলিনের প্রভাব ছিল তার সব লেখাতেই। ডাবলিন এমনই এক শহর ছিল তার কাছে, যে শহরকে তিনি একইসঙ্গে পাগলের মতো ভালোবাসতেন এবং ঘৃণাও করতেন। জেমস জয়েস যখন ডাবলিনের ইউনিভার্সিটি কলেজের ছাত্র, তখন থেকেই তিনি পুরোদমে বই রিভিউ, কবিতা, ছোটগল্প লেখা শুরু করেন। এরপর প্যারিসে চলে যান চিকিৎসা বিজ্ঞানে পড়াশোনা করার জন্য। ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দে জয়েসের জীবনে আসে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। ২২ বার নাকচ হওয়া ছোটগল্পের বইটি ছাপাতে রাজি হন লন্ডনের এক প্রকাশক। পরবর্তী সময়ে প্রথিতযশা মার্কিন কবি এজরা পাউন্ড তার বিখ্যাত উপন্যাস 'অ চড়ৎঃৎধরঃ ড়ভ :যব অৎঃরংঃ'-এর সম্পাদনার কাজ করেন। ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত টষুংংবং করে তোলে তাকে সবার কাছে পরিচিত। ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন জেমস জয়েস। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি জুরিখে মৃতু্যবরণ করেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে