নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো:
১) রুমা ও রুবার মধ্যে কেমন টান?
উত্তর :রুমা ও রুবা দুই বোনের মধ্যে ভীষণ টান। তারা একসঙ্গে খেলা করে। ঝগড়া করে খুবই কম।
২) রুমার বয়স কত?
উত্তর :রুমার বয়স বারো বছর।
৩) রুমা ও রুবা বাবা-মায়ের কপালে ফুলের পাপড়ি ছুঁইয়ে কী বলে?
উত্তর :রুমা ও রুবা বাবার কপালে ফুলের পাপড়ি ছুঁইয়ে বলে, বাবা তোমার হাজার বছর আয়ু হোক। আর মায়ের কপালে লাগিয়ে বলে, মা তোমার ভাতের হাঁড়ি ভরা থাকুক।
৪) জসীম মিয়া মেয়েদের ঢাকা পাঠাতে চান কেন?
উত্তর :জসীম মিয়া মেয়েদের লেখাপড়া করানোর জন্য ঢাকা পাঠাতে চান।
৫) পাক মিলিটারিরা গ্রামে এসে কী করে?
উত্তর :পাক মিলিটারিরা গ্রামে এসে বাজারের দোকান আর ঘরবাড়িগুলোতে আগুন লাগিয়ে দেয়। গুলি ছুড়ে মানুষ মারতে মারতে তারা সামনে এগোতে থাকে।
৬) রুমা-রুবাদের বাড়ি আগুনের হাত থেকে বেঁচে যায় কেন?
উত্তর : রুমা-রুবাদের বাড়িতে ছিল বড় একটি আমগাছ। আমগাছটা ঘরের চাল আড়াল করে রেখেছিল বলে আগুন বাড়ি পর্যন্ত পেঁৗঁছতে পারেনি।
৭) জসীমের লাশ দেখে রাহেলা, রুমা ও রুবার কী অবস্থা হয়?
উত্তর :জসীমের লাশ দেখে রাহেলা বারবার জ্ঞান হারাচ্ছিল। রুমা আর রুবা বাবার লাশ দেখে একেবারে নিশ্চুপ হয়ে যায়।
৮) রাহেলা বানু ও তার মেয়েরা মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যের জন্য কী কী জমিয়ে রাখে?
উত্তর :রাহেলা বানু ও তার মেয়েরা মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যের জন্য সামান্য কিছু চাল, শুকনো লাকড়ি ইত্যাদি জমিয়ে রাখে।
৯) ট্রেনিংয়ের সময় জসীম মুক্তিযোদ্ধাদের কী বলেছিলেন?
উত্তর :ট্রেনিংয়ের সময় জসীম মুক্তিযোদ্ধাদের বলেছিলেন- যদি দরকার পড়ে তাহলে মুক্তিযোদ্ধারা যেন রাহেলা বানুর কাছে সাহায্য চাইতে আসে।
১০) রুমা ও রুবা কী কোলে নিয়ে বসে থাকে?
উত্তর : রুমা ও রুবা মুক্তিযোদ্ধা দুজনের রাইফেল দুটি কোলে নিয়ে বসে থাকে।
১১) রাহেলা মুক্তিযোদ্ধা দুজনকে কী খেতে দেন?
উত্তর : রাহেলা মুক্তিযোদ্ধা দুজনকে গরম ভাত ও ডিম আলুর তরকারি খেতে দেন।
১২) মুক্তিযোদ্ধারা গপগপিয়ে খায় কেন?
উত্তর : মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বেশি সময় ছিল না। নদীর ধারে তাদের জন্য অন্য মুক্তিযোদ্ধারা অপেক্ষা করছিলেন। তাই তারা গপগপ করে দ্রম্নত খেয়ে যায়।
১৩. মুক্তিযোদ্ধা দুজন চলে যাওয়ার সময় কী করে?
উত্তর :মুক্তিযোদ্ধা দুজন চলে যাওয়ার সময় রাহেলা বানুকে সালাম করে আর রুমা-রুবার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।
১৩) মুক্তিযোদ্ধারা রুমা-রুবাদের বাড়িতে এসে কী করত?
উত্তর : মুক্তিযোদ্ধারা রুমা-রুবাদের বাড়িতে এসে ভাত খেত। কখনো কখনো একটু বিশ্রাম নিত।
১৪) 'বিবিসি' কী?
উত্তর : বিবিসি হলো যুক্তরাজ্যের একটি বেতার কেন্দ্রের নাম। এর পূর্ণরূপ হচ্ছে- ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন।
১৫) গভীর রাতে রুমা-রুবাদের বাড়িতে কারা আসতেন? তারা কাদের সঙ্গে লড়াই করছিলেন?
উত্তর : গভীর রাতে রুমা ও রুবাদের বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধারা আসতেন। মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দখল থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য তাদের সঙ্গে লড়াই করছিলেন।
১৬) লোকজন গোল হয়ে বসে কী করছিলেন? তারা কী শুনতে পান?
উত্তর : লোকজন গোল হয়ে বসে রেডিওতে বিবিসির খবর শুনছিলেন। তারা শুনতে পেলেন যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকায় গণহত্যা শুরু করেছে।
১৭) রুমার জন্মদিনের গল্পটি কী?
উত্তর : রুমার যেদিন জন্ম হয় সেদিন বাড়ির উঠোনের শিউলিগাছটা ফুলে ফুলে ভরে ছিল। এত ফুল একসঙ্গে ওদের বাড়িতে কখনো ফোটেনি। ফুলের সুগন্ধে চারদিক মেতে উঠেছিল।
১৮) রুবার জন্মদিনের গল্পটি কী?
উত্তর : রুবার যেদিন জন্ম হয় সেদিন বাড়ির বাইরের আমগাছটা বোলে ভরে উঠেছিল। এত বোল এ গাছে আগে কখনো দেখা যায়নি। আমের বোলের সুবাসে চারদিক ভরে উঠেছিল।
১৯) প্রতিদিন দুই মুঠো চাল উঠিয়ে রেখে কী লাভ হয়েছিল?
উত্তর : রাহেলা বানু দুমুঠো চাল কলসিতে জমিয়ে রাখতেন। কোনো মুক্তিযোদ্ধা যদি রাতে হঠাৎ চলে আসেন তখন তাকে যেন ভাত রান্না করে খাওয়াতে পারেন সে জন্যই তিনি এ কাজটি করতেন। মুক্তিযোদ্ধারা প্রায়ই তার বাড়িতে এসে ভাত খেয়ে যেতেন। দুই মুঠো চাল উঠিয়ে রাখায় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করতে পেরেছিলেন।
২০) গভীর রাত পর্যন্ত দুই বোন কেন জেগে থাকত?
উত্তর : রুমা ও রুবা গভীর রাত পর্যন্ত জেগে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অপেক্ষা করত।
মুক্তিযোদ্ধারা মাঝেমধ্যে সাহায্যের জন্য রুমা, রুবাদের বাড়িতে আসত। গভীর রাতে এসে তারা ভাত খেত, নয়তো একটুখানি জিড়িয়ে নিত। রুমা ও রুবা সবসময় অপেক্ষায় থাকত কখন মুক্তিযোদ্ধারা আসবে। মুক্তিযোদ্ধাদের ডাক শোনার প্রতীক্ষায় তাদের চোখে ঘুম আসত না। তাই তারা গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকত।
২১. মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে জসীম মিয়ার পরিবারের সম্পর্কটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর :জসীম মিয়া ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি মিলিটারির গুলিতে প্রাণ হারান। সহযোদ্ধাদের জসীম মিয়া বলে গিয়েছিলেন কোনো সাহায্য লাগলে তার স্ত্রীর কাছে আসতে। মুক্তিযোদ্ধারা তাই জসীমের স্ত্রীর কাছে সাহায্য চায়। জসীমের স্ত্রী রাহেলা বানু ও তার দুই মেয়ে রুমা ও রুবা তাদের নানাভাবে সহযোগিতা করে।
২২) 'আমার মেয়েগুলোর অনেক বুদ্ধি। অনেক বড় হ মা'-'অনেক বুদ্ধি' এবং 'বড় হ' বলতে তুমি কী বোঝ?
উত্তর : কথাগুলো জসীম মিয়া তার দুই মেয়ে রুমা ও রুবা সম্পর্কে বলেছে। রুমা ও রুবা খুব বুদ্ধিমতি। আশপাশের সবকিছু তারা খুব মনোযোগ দিয়ে দেখে ও বুঝতে চেষ্টা করে। এ কারণেই জসীম মিয়া বলেছেন যে তার মেয়েদের মাথায় অনেক বুদ্ধি। জসীম মিয়া আশা করেন তার মেয়েরা মানুষের মতো মানুষ হবে। 'বড় হ' বলে তিনি তাদের আশীর্বাদ করেন।
২৩) একজন মুক্তিযোদ্ধার যুদ্ধ করার জন্য কী কী যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকা দরকার?
উত্তর : একজন মুক্তিযোদ্ধার যুদ্ধ করার জন্য বেশ কিছু যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। যেমন-
ক. দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি গভীর টান
খ. অস্ত্র চালনার কৌশল সম্পর্কে জ্ঞান
গ. কঠিন পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা
ঘ. শারীরিক শক্তি
ঙ. দেশের জন্য প্রাণ দেওয়ার মানসিকতা
চ. প্রখর বুদ্ধিমত্তা
হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়