সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

পঞ্চম শ্রেণির বাংলা

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
  ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

ফেব্রম্নয়ারির গান

একুশে ফেব্রম্নয়ারি সম্বন্ধে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করি।

উত্তর : একুশে ফেব্রম্নয়ারি

১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রম্নয়ারি বাঙালি জাতির জীবনে একটি স্মরণীয় দিন। মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ছাত্রসমাজ এই দিনে আন্দোলন শুরু করে। পাকিস্তানি সরকার ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালায়। এতে শহিদ হন রফিক, সালাম, জব্বার, বরকতসহ অনেকে। অবশেষে বাংলা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা লাভ করে।

প্রশ্নের উত্তর

প্রশ্ন:কবি এই কবিতায় কত ধরনের সুরের কথা বলেছেন?

উত্তর :কবি এই কবিতায় চার ধরনের সুরের কথা বলেছেন। নিচে এগুলোর নাম লেখা হলো-

১। পাখির সুর, ২। সাগর নদীর ঊর্মিমালার সুর, ৩। পাহাড়ের সুর ও ৪। প্রজাপতির সুর।

প্রশ্ন:পাতা আর স্বর্ণলতা কিসে মুগ্ধ হচ্ছে?

উত্তর :পাতা ও স্বর্ণলতা গাছের গানে মুগ্ধ হচ্ছে।

প্রশ্ন: প্রজাপতি ফুলের সাথে কীভাবে কথা বলে?

উত্তর : প্রজাপতি ছন্দ আর সুরের মাধ্যমে ফুলের সাথে কথা বলে।

প্রশ্ন: আমরা কোন ভাষাতে আমাদের মনের কথা বলি?

উত্তর : আমরা মায়ের মুখের মধুর ভাষা- বাংলায় মনের কথা বলি।

প্রশ্ন: 'শহিদ ছেলের দান' হিসেবে আমরা কী পেয়েছি?

উত্তর :শহিদ ছেলের দান হিসেবে আমরা পেয়েছি মায়ের ভাষা- বাংলা।

প্রশ্ন: পাহাড় কী ছড়ায়?

উত্তর : পাহাড় সুরের বাহার ছড়ায়।

প্রশ্ন: ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রম্নয়ারি আমাদের জন্য স্মরণীয় দিন কেন?

উত্তর : ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রম্নয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে এ দেশের ছাত্র-জনতা আন্দোলন শুরু করে। পুলিশ ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালালে অনেকে শহিদ হন। তাদের প্রাণের বিনিময়েই আমরা বাংলায় কথা বলার অধিকার পেয়েছি। এ কারণেই ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রম্নয়ারি আমাদের জন্য স্মরণীয় দিন।

প্রশ্ন: কয়েকজন ভাষা শহিদের নাম বল।

উত্তর : কয়েকজন ভাষা শহিদ হলেন : ১. সালাম, ২. বরকত, ৩. শফিক, ৪. জব্বার।

প্রশ্ন: আমরা কোন ভাষায় মনের কথা বলি?

উত্তর : আমরা মাতৃভাষা বাংলায় মনের কথা বলি।

প্রশ্ন: পাহাড় কী ছড়ায়? বাতাসে কখন তার প্রতিধ্বনি শোনা যায়?

উত্তর : পাহাড় সুরের বাহার ছড়ায়। গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীতে বাতাসে তার প্রতিধ্বনি শোনা যায়।

প্রশ্ন: কাকে, কেন শহিদ ছেলের দান বলা হয়েছে?

উত্তর : বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে এ দেশের দামাল ছেলেরা প্রাণ দিয়েছিল। এ কারণে বাংলা ভাষাকে শহিদ ছেলের দান বলা হয়েছে।

প্রশ্নবোধক বাক্য তৈরি

১. নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে কে, কী, কোথায়, কীভাবে, কেন, কখন শব্দগুলোর যে কোনো পাঁচটি একবার ব্যবহার করে পাঁচটি প্রশ্নবোধক বাক্য তৈরি করো:

১. আমরা সবাই মিলে মামার বাড়ি আনন্দপুরে গেলাম। আমরা ছিলাম চারজন। আমি, মামাতো বোন বৃষ্টি, সাহানা আর ছোট ভাই তাজিন। মামা আমাদের সব ঘুরিয়ে দেখালেন। সেখানে আমরা বৈশাখী মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। মেলায় আমরা বিভিন্নরকম জিনিস দেখলাম। পুতুল, জিলাপি, মুড়ি, মুড়কি কিনলাম। সারাদিন আমরা খুব মজা করলাম।

উত্তর :

ক. মামার বাড়ি কোথায়?

খ. মামাতো বোনের নাম কী?

গ. সারাদিন খুব মজা হলো কেন?

ঘ. সব ঘুরিয়ে দেখালেন কে?

ঙ. কীভাবে বৈশাখী মেলা দেখা হলো?

২. ঘোর বর্ষায় বৃষ্টির তোড়ে ডুবে যায় মাঠঘাট। রাহেলা বানু শুকনো মুখে বারান্দায় বসে থাকে। দুই বোন ধানের ক্ষেতে আলের পাশ দিয়ে গড়িয়ে যাওয়া পানি থেকে কুচো চিংড়ি ধরে আনে। ঘরে চাল না থাকায় ওদের মা অন্যের বাড়ি থেকে আনা চালে ভাত রান্না করে।

উত্তর :

ক. বৃষ্টির তোড়ে কী ডুবে যায়?

খ. শুকনো মুখে বারান্দায় কে বসে আছে?

গ. কখন মাঠঘাট ডুবে যায়?

ঘ. রাহেলা বানু কোথায় বসে থাকে?

ঙ. ওদের মা অন্যের বাড়ি থেকে আনা চালে ভাত রান্না করে কেন?

৩. বাংলাদেশের দক্ষিণে রয়েছে প্রকৃতির অপার সম্ভার সুন্দরবন। সমুদ্রের কোলঘেঁষে গড়ে উঠেছে এই বিশাল বন। রয়েল বেঙ্গল টাইগার বাংলাদেশের জাতীয় পশু। এ বাঘ সুন্দরবনে থাকে। এ বাঘ দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি আবার ভয়ংকর। এর চালচলনও রাজার মতো। সুন্দরবনের ভেজা সঁ্যাতসেঁতে গোলপাতার বনে এ বাঘ ঘুরে বেড়ায়।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে