রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

পঞ্চম শ্রেণির বাংলা

রোমানা হাবিব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
  ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

উত্তর :

ক্রিয়াপদ চলিত রূপ

হইয়াছিল - হয়েছিল

উঠিল - উঠল

যাইব - যাব

চড়িয়া - চড়ে

ঘটিতেছে - ঘটছে

বহিতেছে - বইছে

বিপরীত/সমার্থক শব্দ লিখন

নিচের শব্দগুলোর বিপরীত শব্দ লেখো।

ধীরে, পতন, সম্ভব, বৃহৎ, ভিন্ন।

উত্তর :

মূল শব্দ বিপরীত শব্দ

সম্ভব - অসম্ভব

ধীরে - দ্রম্নত

বৃহৎ - ক্ষুদ্র

পতন - উত্থান

ভিন্ন - অভিন্ন

নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ লেখো।

ইচ্ছা, বন্ধু, বিশ্ব, চোখ, জল।

উত্তর :

মূল শব্দ সমার্থক শব্দ

ইচ্ছা - আকাঙ্ক্ষা, বাসনা।

বন্ধু - মিত্র, মিতা।

বিশ্ব - পৃথিবী, ধরণী।

চোখ - নয়ন, আঁখি।

জল -- পানি, নীর।

রৌদ্র লেখে জয়

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।

১) পায়রা কোথায় পাখা মেলে?

উত্তর : পায়রা নীল আকাশে পাখা মেলে।

২) কাল যেখানে মন্দ ছিল আজ সেখানে কী?

উত্তর : কাল যেখানে মন্দ ছিল আজ সেখানে ভালো।

৩) 'কাল যেখানে পরাজয়ের

কালো সন্ধ্যা হয়,

আজ সেখানে নতুন করে

রৌদ্র লেখে জয়।'- কথাটি বুঝিয়ে লেখো।

উত্তর :একসময় বাংলাদেশ ছিল পরাধীনতার শেকলে বন্দি। বিদেশি শত্রম্নরা নানাভাবে আমাদের ওপর শোষণ, নির্যাতন চালিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীন হয়। স্বাধীনতার আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ।

৪) স্বাধীনতা লাভের পর এ দেশের নাম কী হয়?

উত্তর :স্বাধীনতা লাভের পর এ দেশের নাম হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ।

৫) 'বর্গি এলো খাজনা নিতে'- কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর :'বর্গি এলো খাজনা নিতে' কথাটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে, বর্গি অর্থাৎ মারাঠা দসু্যরা লুটতরাজ করে মানুষের ধনসম্পদ কেড়ে নিতে আসত।

৬) বর্গি কারা? তারা কী করেছিল?

উত্তর :মারাঠা দসু্যরা 'বর্গি' হিসেবে পরিচিত। বহু আগে বর্গিরা বাংলার মানুষকে নানাভাবে অত্যাচার করত। তারা অন্যায়ভাবে খাজনা আদায় করত। কখনো বা হানা দিয়ে মানুষ হত্যা করত ও ধনসম্পদ লুট করত।

৭) হানাদারদের কথা মানুষ কেন ভুলবে না?

উত্তর :হানাদাররা এ দেশের মানুষের ওপর অনেক নির্যাতন চালিয়েছিল। তারা আমাদের অধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিল। এ দেশের অসংখ্য নারী-পুরুষ হানাদারদের অত্যাচারে প্রাণ হারিয়েছিল। তাই হানাদারদের কথা এ দেশের মানুষ ভুলবে না।

৮) মুক্তিযোদ্ধাদের কথা মানুষ কখনো ভুলবে না কেন?

উত্তর : মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার পাকিস্তানিদের সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদের দেশ থেকে তাড়িয়েছিলেন। তাই তাদের কথা এ দেশের মানুষ কখনো ভুলবে না।

৯) মুক্তিসেনারা কাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিল এবং কেন?

উত্তর : মুক্তিসেনারা পাকিস্তানি হানাদারদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিল।

পাকিস্তানি সেনারা এ দেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিল। মানুষের ওপর তারা অনেক অত্যাচার চালিয়েছিল। দেশ থেকে তাদের তাড়াতেই মুক্তিসেনারা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল।

১০) 'কাল যেখানে আঁধার ছিল আজ সেখানে আলো।'- কথাটি ব্যাখ্যা করি।

উত্তর : পাকিস্তানিদের অত্যাচার থেকে মুক্তি লাভ করে একসময় এ দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়- এ বিষয়টিই বলা হয়েছে কথাটির মাধ্যমে। বর্গিরা এদেশের মানুষের ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালায়। তারা যাওয়ার পর পাকিস্তানি হানাদারদের অত্যাচার শুরু হয়। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে এ দেশের মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে দেশকে শত্রম্নমুক্ত করে। ফলে এ দেশের বুক থেকে কালো ছায়া সরে গিয়ে আলোকিত দিনের সূচনা ঘটে।

১১) বর্গিরা কী নিতে এলো?

উত্তর : বর্গিরা খাজনা নিতে এলো।

১২) বর্গিরা কীভাবে এ দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার করত?

উত্তর : বর্গিরা নানাভাবে এ দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার চালাত। তারা এ দেশের মানুষকে মেরে, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে, তাদের ধনসম্পদ লুট করে পালিয়ে যেত।

১৩) মুক্তিসেনাদের কথা দেশের মানুষ ভুলবে না কেন?

উত্তর : মুক্তিসেনারা হানাদার পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এদেশকে শত্রম্নমুক্ত করেছেন। তাই তাদের কথা দেশের মানুষ কখনো ভুলবে না।

পাঠ্যবই বহির্ভূত যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন

নিচের অনুচ্ছেদটি প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।

বিজয় দিবস বাঙালি জাতির জীবনে এক গৌরবময় দিন। দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধ শেষে এই দিনে আমরা শত্রম্নমুক্ত স্বদেশ লাভ করি। প্রায় দুইশ বছরের ব্রিটিশ শাসন-শোষণের অবসান হয় ১৯৪৭ সালে। জন্ম হয় পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের। আজকের বাংলাদেশের নাম তখন ছিল পূর্ব পাকিস্তান। ব্রিটিশদের পর আমরা আবার পশ্চিম পাকিস্তানি স্বৈরাচারীদের হাতে নতুন করে পরাধীন হলাম। একই দেশের নাগরিক হয়েও সমান অধিকার পাওয়া তো দূরের কথা বরং আমরা শিকার হই নির্যাতন, নিষ্পেষণের। এমনকি আমাদের রাষ্ট্রভাষা বাংলার ওপরও আঘাত আসে। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে ১৯৫২ সালে আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার লাভ করি। এরপর অনেক ঘাত-প্রতিঘাত ও আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে এসে পৌঁছাই ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের ক্ষণে। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে শত্রম্নমুক্ত করার মরণপণ সংগ্রামে। অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে হানাদার বাহিনী নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে।

নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ করো।

শব্দ অর্থ

অবসান সমাপ্তি।

আহ্বান ডাক।

আত্মসমর্পণ অন্যের বশ্যতা স্বীকার করে নেওয়া।

নিঃশর্ত কোনো রকম শর্ত ছাড়াই।

পরাধীন অপরের অধীন।

স্বৈরাচারী স্বেচ্ছাচারী, উচ্ছৃঙ্খল।

ক) হানাদাররা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ..... করল।

খ) ..... শাসকদের কারণে বাংলাদেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

গ) সূর্য অস্ত গেলে দিনের ..... ঘটে।

ঘ) বাদল স্যার ছাত্রদের .... ক্ষমা করে দিলেন।

ঙ) করিম মিয়ার .... শুনে সবাই নৌকায় উঠল।

উত্তর : ক) আত্মসমর্পণ; খ) স্বৈরাচারী; গ) অবসান; ঘ) নিঃশর্ত; ঙ) আহ্বান।

হ পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে