সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

এখনকার নাটক ভালো লাগে না

সব চরিত্রেই সুনাম কুড়িয়েছেন অভিনেতা মাজনুন মিজান। ১৯৯৬ সালে 'মার্চেন্ট অব ভেনিস' নাটকের মধ্য দিয়ে ঢাকা থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত হন। মঞ্চের আলো-আঁধারির পথ মাড়িয়ে পা রাখেন টিভি পর্দায়। তবে আলোচনায় আসেন বাংলাদেশ সরকারের একটি জনসচেতনতামূলক বিজ্ঞাপনচিত্রে অভিনয় করে। ছোটপর্দার দর্শকপ্রিয় এই শিল্পীকে রুপালি পর্দায়ও দেখা যায় মাঝে মাঝে। সর্বশেষ ছিল 'জেকে ১৯৭১'। এ অভিনেতার আসন্ন ঈদ ব্যস্ততাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন মাতিয়ার রাফায়েল
নতুনধারা
  ১৮ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০

এবার ঈদের নাটকে কেমন ব্যস্ত সময় যাচ্ছে আপনার?

ঈদের ব্যস্ততা বলতে এবার আমি খুব বেশি নাটকে কাজ করিনি। এর মধ্যে থেকেই যে দু'চারটি কাজ করেছি তার মধ্যে চ্যানেল আইয়ের জন্য সোশ্যাল কমিটমেন্টের ওপর একটি টেলিফিল্ম করেছি। আরেকটি প্রথম মাতৃত্বকালীন সময় এবং নবজাতকের মৃতু্যর হার কমে যাওয়া নিয়ে যে আধুনিকতা- এর সচেতনতামূলক কাজের অংশ হিসেবে একটি টেলিফিল্মে কাজ করেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে কাজটা করা উচিত। তাই আমি কাজটি করেছি। এছাড়া আমার একটি সিরিয়াল নাটক চলে এনটিভিতে 'আমরা আমরাই'। আরেকটি নাটকে অভিনয় করেছি দীপ্ত টিভির জন্য। তবে এটা ঈদে যাবে কি যাবে না এটা জানি না।

কাজ কমে যাওয়ার কারণ কি?

একটা ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ায় আমাকে এখন এটাতেই বেশি সময় দিতে হচ্ছে। তাছাড়া এখন যে ধরনের নাটক হয়, এ ধরনের কাজ আমার ভালোও লাগে না। আবার এমনও বলব না যে আমি খুব বেশি কাজ পাচ্ছি, নির্মাতাদের অনেকেই আমার জন্য বসে আছেন- আমাকে নিয়ে তারা কাজ করবেনই এরকমও না। সবকিছু মিলিয়েই একটা 'গ্যাপ' এর মধ্যে আছি বলতে পারেন।

ওটিটির মাধ্যমে তো আপনি বেশ মানানসই হতে পারেন

ঠিক বলেছেন। ওটিটির সামনে এখন টিভির কন্টেন্ট আস্তে আস্তে 'জিরো' হচ্ছে। তবে এটা এখনও প্রাইমারি লেভেলে আছে। এটা যদি সাসটেইন করে অন্যান্য পস্ন্যাটফর্মকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। আমি এর মধ্যে চরকির জন্য 'মারকিউলিস' নামে একটা কন্টেন্টে কাজ করেছি। এটা বানিয়েছেন আবু শাহেদ আলী ইমন। এখনও রিলিজ পায়নি। এতে আমার বিপরীতে আছেন জাকিয়া বারী মম। আমার ভূমিকা হচ্ছে আমি এবং জাকিয়া বারী মম একটি এনজিওতে কাজ করি। এর কাজ হচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জনপদে যে 'রেপ' হয় তার বিচার প্রপার নয়। অনেক দীর্ঘ সময় যায়। তাই দ্রম্নত শাস্তি দিতে হবে। তাহলে অপরাধীরা ভয় পাবে। এরকম কমিটমেন্টের একটা কন্টেন্ট।

দ্রম্নত বিচার হলে তো নিরপরাধ ব্যক্তিও ফেঁসে যেতে পারেন?

এ বিষয়ে আমাদেরও একটা অবজেক্ট ছিল। তবে এখানে আইন প্রণেতারা এমন নিয়ম করেই অপরাধের শাস্তির ব্যবস্থা রাখবে যাতে প্রকৃত অপরাধীদেরই দ্রম্নত শাস্তির আওতায় আনা যায়। এখানে আমরা যেটা চাই সেটা হচ্ছে, এই যে একের পর এক রেপের ঘটনা ঘটছে এটা যাতে দ্রম্নত বিচারের আওতায় আনা যায়- মানুষের মাঝে তার একটা অ্যাওয়ারন্যাস তৈরিতে সহায়তা করা।

মুক্তিযুদ্ধের সিনেমায় দর্শক থাকে না কেন?

যে দেশের ম্যাক্সিমাম মানুষ নেগেটিভ গল্প দেখতে পছন্দ করে- চোখ, কান এবং তাদের ভাবনা চলে গেছে নেগেটিভ জায়গায়- সে দেশে মুক্তিযুদ্ধের সিনেমায় অর্থনৈতিক সফলতা আনতে পারবেন এটা ভাবা হবে একেবারেই বোকামি। যদি বলেন তাহলে কেন এ ধরনের সিনেমা করেন? আমি বলব, নিজের একটা দায়বদ্ধতা থেকে করি। বলতে পারেন নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মতো এই ব্যাপারটা। যেখানে হিরো আলমদের মতো পারফর্মারদের জয়জয়কার মানুষ 'হিরো'র পিছনে ছোটে সেখানে আপনি কী দিতে পারবেন। তাই বলে কি মানুষ বসে থাকবে? নো, যে পারবে সে করবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে