সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
সা ক্ষা ৎ কা র

জন্মদিন পালন করি না

জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়- প্রয়োগ শিল্পের বহুমাত্রিক শিল্পী। যেমন অভিনয় শিল্পী হিসেবে বিশিষ্টতা অর্জন করেছেন তেমন বাচনিক শিল্পী হিসেবেও। চলচ্চিত্র, নাটক ও আবৃতি শিল্পের জন্য বেশ সুবিদিত তিনি। কবি ও লেখক হিসেবেও আদৃত। অভিনয় করেন ওটিটি, ছোটপর্দা ও বড়পর্দায়। আবৃতিতে একুশে পদক পাওয়া খ্যাতিমান এই শিল্পীর আজ জন্মদিন। বিশেষ দিনের পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন মাতিয়ার রাফায়েল
নতুনধারা
  ২৮ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

এবারের জন্মদিনে কী করছেন?

প্রথমত এ দিনটিতে আমি ঢাকায় থাকছি না। ঢাকার বাইরে থাকব। তা ছাড়া এ দিনটিতে আমি নিজ থেকে কোনোদিনই জন্মদিন পালন করি না। একবার যে জন্ম নিয়েছি তার যন্ত্রণাতেই কোনো কুল পাচ্ছি না তার ওপর প্রতি বছর এই যন্ত্রণাকে স্মরণ করতে টেনে আনি কী করে। জন্মদিনের যন্ত্রণা আমি নিতে চাই না। তবে জন্মদিন এলে শুভাকাঙ্ক্ষীরা শুভেচ্ছা জানায়।

'জন্মই আমার আজন্ম পাপ'- এই যন্ত্রণা সে রকমই!

না- আমি অতদূর পর্যন্ত বলতে চাই না। তবে একটা কথা- এটা পাপ না, কিন্তু একটা জন্ম নিয়েই তো যন্ত্রণা ভোগ করে আসছি সারাজীবন- তাই না! তবে আমি নিজে কেন জন্মদিনকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর এই যন্ত্রণাটি তৈরি করব! আমার কাছে জন্মদিন মানেই যেন আরেক জন্মযন্ত্রণাকে টেনে আনা।

অন্যান্য কর্মব্যস্ততা কেমন যাচ্ছে?

ব্যস্ততা কিছু আছেই। ওয়েব সিরিজ, ওয়েবফিল্ম, চলচ্চিত্র, আবৃত্তিসহ নানা ব্যস্ততার মধ্য দিয়েই তো যাচ্ছে সময়। কাল (আজ) ঢাকার বাইরে যাচ্ছি একটি জেলা শহরের সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। সেখানে আবৃত্তি করব। আবৃত্তি তো নিয়মিতই করি।

নতুন কোনো চলচ্চিত্রে যুক্ত হয়েছেন?

এর মধ্যে হাবিবুল ইসলামের একটি সিনেমার কাজ শেষ করলাম। বেশ কয়টি সরকারি অনুদানের সিনেমায় অভিনয় করলাম। এর মধ্যে আছে পিকলু চৌধুরীর 'দাওয়াল', অভিনেতা আফজাল হোসেনের 'ছোট কাকু' সিরিজ। হৃদি হকের '১৯৭১ সেইসব দিন-- এর মুক্তির তারিখ তো ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে।

ওটিটি এবং চলচ্চিত্রের নতুন কাজ কেমন মনে করছেন?

এগুলো তো সবই করছে তরুণ পরিচালকরা। অনেক ভালো কাজ করছে তারা। এফডিসির বাইরেও অনেক ভালো ভালো কাজ হচ্ছে। ওরা অত্যন্ত ট্যালেন্ট, অত্যন্ত শিক্ষিত এবং অত্যন্ত রুচিশীল। হাউ টু মেইক অ্যা ফিল্ম- কীভাবে চলচ্চিত্র বানাতে হয়- এটা তারা জানে। এরা জেনেশুনেই চলচ্চিত্র বানাতে এসেছে। আগের পরিচালকদের মতো না জেনে অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতে-করতে টুকটাক শিখে সিনেমার পরিচালক হয়নি। নতুনরা সিনেমা সম্পর্কে যে রকম ভালো করে ম্যাথডিক্যালি এবং টেকনিক্যালি পড়াশোনা করে সিনেমা বানাতে এসেছে- আগের পরিচালকরা তো সে রকম ছিল না।

যদি আগের সিনেমার সঙ্গে তুলনা করেন, কী বলবেন?

আসলে এখনকার তরুণ পরিচালকরা যা করছে এগুলোই ফিল্ম। এখন যেসব সিনেমা বাইরে যাচ্ছে, প্রশংসিত হচ্ছে- সবই তো তরুণ পরিচালকদের। আগের মেইন স্টিমেরগুলো কোনো চলচ্চিত্র ছিল না- ওগুলো গতানুগতিক ট্র্যাডিশনাল কমার্শিয়াল কাজ। এখন তো অনেক সুন্দর সুন্দর সিনেমা হচ্ছে। দেশের বাইরেও যাচ্ছে। ওরা বানাচ্ছেও অনেক যত্ন করে। এগুলোই ফিল্ম। আগের ওগুলো তো ফিল্ম না। ওগুলোর দিন চলে গেছে। ওগুলো এখন কেউ দেখেও না- ওগুলো দিয়ে কিছু হবেও না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে