সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
বিশ্বখ্যাত হলিউড তারকা উইল স্মিথ। তবে নাম পুরো নাম উইলার্ড ক্যারোল উইল স্মিথ জুনিয়র। হলিউডের এই শক্তিমান অভিনেতা আজ পা রাখলেন জীবনের ৫৬তম বছরে। ১৯৬৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর পেনিসেলভানিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় জন্মগ্রহন করেন এই তারকা। সময়ের হিসাবে ৫৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এই মানুষটা এখনো দারুণ প্রাণবন্ত, পরিশ্রমী আর উদ্যমী।
উইল স্মিথ অভিনীত 'দ্য পারসু্যইট অব হ্যাপিনেস' সিনেমাটা দেখেননি- এমন সিনেমাপ্রেমী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। যারা সারাজীবনে দুই-চারটি হলিউড সিনেমা দেখেছেন, তাদের লিস্টেও থাকবে এই ছবিচির নাম। শূন্য থেকে শিখর ছোঁয়ার গল্প, আর জীবনের নানামুখী সংকট নিয়ে নির্মিত এই সিনেমা মন জয় করে নিয়েছিল দর্শকদের, অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে হাজারো মানুষকে। দারুণ অভিনয় করে অস্কারে মনোনয়নও পেয়েছিলেন সেবার, তবে পুরস্কারটা ঘরে তোলা হয়নি শেষমেষ। তবে দুই বছর আগে অপেক্ষার পালা শেষ করে বগলদাবা করে নেন অস্কার নামক অধরা স্বপ্ন। কিন্তু অস্কারের আসরে উপস্থাপককে ঘুষি মেরে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন তিনি। পরে অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চান উইল স্মিথ।
এই তারকা অভিনয়ে আসার আগে গায়ক হিসেবে নাম কামিয়েছিলেন। পরিচিত ছিলেন দ্যা ফ্রেশ প্রিন্স এবং দ্য এমসি নামে। ডিজে জ্যাজি জেফের সঙ্গে তার হিপহপ জুটিটা জনপ্রিয় হয়েছিল বেশ।র্ যাপ ক্যাটাগরিতে গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডও জিতেছিলেন দুইজনে মিলে। ম্যান ইন বস্নাকক, হ্যানকসহ বেশ কয়েকটি বক্স অফিস কাঁপানো ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। যার প্রত্যকটি আয় করেছে ১০০ মিলিয়নের বেশি।
অন্যদিকে ফ্লপ ছবিও উপহার দিয়েছেন স্মিথ। তার 'ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড ওয়েস্ট' নামের সিনেমাটি বক্স অফিসে সুপার ফ্লপ হয়। এ বিষয়ে স্মিথের ভাষ্য ছিল, তার জীবনের সবচেয়ে বাজে সিদ্ধান্ত ম্যাট্রিক্সে কাজ করার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড ওয়েস্টে অভিনয় করাটা। ১৯৯৮ সালে বিশ্বের ৫০ সুদর্শন ব্যক্তির তালিকায় পঞ্চম স্থানে ছিলেন তিনি। মিডিয়াতে তার পরিচিতি 'মিস্টার জুলাই' নামে, কারণ তিনি গ্রীষ্মকালীন বস্নকবাস্টারের রেকর্ডগুলোর বেশিরভাগই তার দখলে, জুলাইতেই তার সিনেমা বেশি মুক্তি পায়। ২০০৮ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা ছিলেন উইল স্মিথ। সে সময় তার আয় ছিল প্রায় ৮০ মিলিয়ন ডলার।
Google News ফিড অনসরণ করুন
