শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ফিরে দেখা-২০২৪

শোবিজ অঙ্গনে আমরা যাদের হারিয়েছি

বিনোদন রিপোর্ট
  ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
শোবিজ অঙ্গনে আমরা যাদের হারিয়েছি
শোবিজ অঙ্গনে আমরা যাদের হারিয়েছি

বাংলার শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নে অনেক গুণী ব্যক্তিদের অবদান রয়েছে। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অবদানের ফল আজকে আমাদের এই সাংস্কৃতিক অঙ্গন। তাদের অনেকেই চলে গেছেন আমাদের ছেড়ে। নিয়তির এক অমোঘ নিয়মে তারা পাড়ি জমিয়েছেন না-ফেরার দেশে। কেউ রোগে ভুগে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন, আবার কারও মৃতু্য অন্য সবার কাছে ছিল আকস্মিক খবর। সবার মৃতু্য স্বজনদের যেমন শোকাতুর করেছে, ভাবিয়েছে ও কাঁদিয়েছে, তেমনি সহকর্মী, শুভাকাঙ্খী ও ভক্তদের বিষাদের সাগরে ডুবিয়েছে। তবে তারা বেঁচে থাকবেন কাজে, স্মৃতিতে। ২০২৪-এ শোবিজ অঙ্গন হারিয়েছে যাদের।

আহমেদ রুবেল :বছরের শুরুতেই মিডিয়াপাড়া ও ভক্তরা শোকে কাতর হয়ে পড়ে নন্দিত অভিনেতা আহমেদ রুবেলের মৃতু্যতে। চলতি বছরের ৭ ফেব্রম্নয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। ওইদিন সন্ধ্যায় বসুন্ধরা সিটির বেজমেন্টে গাড়ি রেখে নিজের শেষ সিনেমা 'পেয়ারার সুবাস'-এর প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তিনি। গাড়ি থেকে নামার পর ফ্লোরে পড়ে যান এই অভিনেতা। এরপর তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিজের শেষ সিনেমা মুক্তির একদিন আগে মারা যান এই অভিনেতা। মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র তিন মাধ্যমেই সমান জনপ্রিয় ছিলেন এই গুণী অভিনেতা। সেলিম আল দীনের 'ঢাকা থিয়েটার' থেকে আহমেদ রুবেলের অভিনয় যাত্রা শুরু হয়। তার অভিনীত প্রথম নাটক 'স্বপ্নযাত্রা'। উলেস্নখযোগ্য নাটক হচ্ছে 'বারোটা বাজার আগে', 'প্রতিদান', 'নবাব গুন্ডা', 'এফএনএফ', 'একান্নবর্তী', 'রঙের মানুষ', 'পাথর', 'অতল', 'চেয়ার', 'স্বর্ণকলস', 'আয়েশার ইতিকথা', 'দূরের বাড়ি কাছের মানুষ', 'সৈয়দ বাড়ির বউ' ইত্যাদি। হুমায়ূন আহমেদের নাটক 'পোকা'য় অভিনয় করে দর্শকদের নজর কেড়েছেন এই অভিনেতা। এছাড়া হুমায়ূন আহমেদের 'অতিথি', 'নীল তোয়ালে', 'বিশেষ ঘোষণা', 'সবাই গেছে বনে', 'বৃক্ষমানব', 'যমুনার জল দেখতে কালো' এই নাটকগুলোতে রুবেলের অভিনয় প্রশংসিত হয়। ১৯৯৩ সালে 'আখেরী হামলা' সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় অভিষেক হয় আহমেদ রুবেলের। এরপর অভিনয় করেছেন 'চন্দ্রকথা', 'শ্যামল ছায়া', 'ব্যাচেলর', 'গেরিলা', 'দ্য লাস্ট ঠাকুর', 'অলাতচক্র', 'লাল মোরগের ঝুঁটি'সহ বেশ কয়েকটি সিনেমায়।

1

সাদি মহম্মদ :প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদ ২০২৪ সালের ১৩ মার্চ মারা যান। অজানা এক অভিমানে আত্মহত্যা করেন এই গুণী সংগীতশিল্পী। সাদি মহম্মদের জন্ম ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর। তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুরে বেড়ে ওঠেন। বাবা-মায়ের ইচ্ছায় ১৯৭৩ সালে বুয়েটে ভর্তি হয়েছিলেন সাদি। গানের প্রতি প্রবল টান থাকায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে ১৯৭৬ সালে পাড়ি জমান শান্তিনিকেতনে। এরপর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবীন্দ্র সংগীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৭ সালে 'আমাকে খুঁজে পাবে ভোরের শিশিরে' অ্যালবামের মাধ্যমে সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সাদি মহম্মদ। তার প্রথম অ্যালবাম 'মাঝে মাঝে তব দেখা পাই'। ২০০৯ সালে 'শ্রাবণ আকাশে' ও ২০১২ সালে 'সার্থক জনম আমার' অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। তার প্রকাশিত অ্যালবামের সংখ্যা ষাটের অধিক। সাদি মহম্মদকে ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি 'রবীন্দ্র পুরস্কার' প্রদান করে।

শিল্পী চক্রবর্তী : নির্মাতা শিল্পী চক্রবর্তী রক্তক্ষরণ জনিত কারণে ৭ মার্চ মারা। মৃতু্যকালে নির্মাতার বয়স ছিলো ৭১ বছর। শিল্পী চক্রবর্তী 'বিনি সুতার মালা', 'আমার আদালত', 'তোমার জন্য পাগল', 'সবার অজান্তে', 'চরমপত্র', 'মীমাংসা' সিনেমা নির্মাণ করেছেন।

অলিউল হক রুমি : চলতি বছরের ২২ এপ্রিল আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা অলিউল হল রুমি মারা যান। মৃতু্যর আগে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে সবার কাছে দোয়া চেয়েছিলেন এই অভিনেতা। ক্যানসার জয় করে আগের মতো অভিনয়ে ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফেরা হয়নি তার। ১৯৬৪ সালের ২৪ অক্টোবর বরগুনায় জন্মগ্রহণ করেন রুমি। অভিনয়ে তিন দশকের বেশি সময় পার করেছেন এই অভিনেতা। এই দীর্ঘ সময়ে অভিনয় করেছেন অসংখ্য নাটক ও সিনেমায়। ১৯৮৮ সালে অভিনয়ের শুরু থিয়েটার বেইলি রোডের 'এখনো ক্রীতদাস' নাটকের মধ্য দিয়ে। একই বছর 'কোন কাননের ফুল' নাটকের মাধ্যমে টিভি নাটকে অভিষেক হয় তার।

সীমানা :অভিনেত্রী রিশতা লাবনী সীমানা ৪ জুন সকাল ৬টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শোবিজে সীমানার পথচলা শুরু হয় ২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। এরপর থেকে তিনি নাটক, বিজ্ঞাপনে নিয়মিত কাজ করছিলেন। দেখা গেছে সিনেমায়ও।

শাফিন আহমেদ : জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ চলতি বছর ২৫ জুলাই হার্ট অ্যাটাকে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। শাফিন আহমেদ স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন। কনসার্টে অংশ নিতে ব্যান্ড সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে যান শাফিন। ২০ জুলাই শাফিনের একটা কনসার্ট ছিল ভার্জিনিয়ায়। শোয়ের আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন শাফিন। এ কারণে শো বাতিল করেন তিনি। সেদিনই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তার নানা অর্গান অকার্যকর হতে থাকলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। এরপর তাকে আর ফেরানো যায়নি। শাফিন আহমেদের জন্ম ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রম্নয়ারি। মা কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী ফিরোজা বেগম এবং বাবা সংগীতজ্ঞ কমল দাশগুপ্ত। এই পরিবারে জন্ম নেওয়ার কারণে ছোটবেলা থেকেই শাফিন আহমেদ গানের ভেতরেই বড় হন। শৈশবে বাবার কাছে উচ্চাঙ্গসংগীত শিখেছেন আর মায়ের কাছে শিখেছেন নজরুলসংগীত।

হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল : ১৩ বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। দেশে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলে। শেষ পর্যন্ত ৩০ জুলাই সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। জুয়েলের বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তার জন্ম ১৯৬৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। তিনি স্ত্রী ও এক কন্যাসন্তান রেখে গেছেন। ২০১১ সালে তার লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও ক্যানসার সংক্রমিত হয়। ৩০ জুলাই রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখান থেকেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই সংগীতশিল্পী।

আলাউদ্দিন লাল :চলতি বছর ২৫ সেপ্টেম্বর উত্তরার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আলাউদ্দিন লাল। ২০০৮ সাল থেকে তার অভিনয় জীবনের শুরু। মৃতু্যর আগ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ নাটকে অভিনয় করেছেন আলাউদ্দিন লাল। জানা গেছে, শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিকসহ নানাবিধ জটিলতায় ভুগছিলেন অভিনেতা। হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মৃতু্যর কাছে হেরে গেলেন আলাউদ্দিন লাল।

সুজেয় শ্যাম :স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগীতযোদ্ধা, সুরকার ও সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম মৃতু্যবরণ করেন ১৭ অক্টোবর। ১৯৪৬ সালের ১৪ মার্চ সিলেটে সুজেয় শ্যামের জন্ম। এই গুণী সংগীতশিল্পীর সুর করা গানগুলোর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য 'রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি', 'রক্ত চাই রক্ত চাই', 'আহা ধন্য আমার জন্মভূমি', 'আয় রে চাষি মজুর কুলি', 'মুক্তির একই পথ সংগ্রাম' এবং 'শোন রে তোরা শোন'। সংগীতে অবদানের জন্য তিনি ২০১৮ সালে একুশে পদক এবং এর আগে ২০১৫ সালে পান শিল্পকলা পদক।

মনি কিশোর :চলতি বছর অক্টোবরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ৯০ দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোর। ১৯ অক্টোবর রাজধানীর রামপুরার বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মনি কিশোর পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। রেডিও, টিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী হলেও গান গেয়েছেন অল্প। সিনেমায়ও তেমন গাননি। মূলত অডিওতে চুটিয়ে কাজ করেছেন। তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে 'কী ছিলে আমার', 'সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার', 'তুমি শুধু আমারই জন্য', 'মুখে বলো ভালোবাসি', 'আমি মরে গেলে জানি তুমি' ইত্যাদি উলেস্নখযোগ্য। তার সবচেয়ে শ্রোতাপ্রিয় গান 'কী ছিলে আমার' তারই সুর করা, তারই লেখা। ২০টির মতো গান লিখেছেন ও সুর করেছেন মনি কিশোর।

মাসুদ আলী খান :বরেণ্য অভিনেতা মাসুদ আলী খান মারা যান চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর। মৃতু্যর আগে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন তিনি। এই অভিনেতা ১৯২৯ সালের ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওধা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। দুই বছর পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জগন্নাথ কলেজ) থেকে বিএ পাস করেন। মাসুদ আলী খানের অভিনয়ের শুরুটা হয় মঞ্চ নাটকের মধ্যামে। ১৯৫৬ সালে দেশের প্রথম নাটকের দল 'ড্রামা সার্কেল'-এর সঙ্গে যুক্ত হন মাসুদ আলী খান। ১৯৬৪ নূরুল মোমেনের নাটক 'ভাই ভাই সবাই' নাটকে অভিনয়ে মধ্য দিয়ে ছোট পর্দায় তার অভিষেক হয়। পাঁচশোরও বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।

আফরোজা হোসেন :দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছর ১০ নভেম্বর মারা যান ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী আফরোজা হোসেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। ধীরে ধীরে তা মেরুদন্ড থেকে হাড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আফরোজা বিনোদন অঙ্গনের পরিচিত মুখ। তিনি ক্যারিয়ার শুরু করেন টেলিভিশন নাটক দিয়ে। পরে তিনি চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন। ১৯৯০-এর দশকে তার অভিনীত সিনেমাগুলি দর্শকমহলে বেশ প্রশংসিত হয়েছিল। সর্বশেষ 'আবার বসন্ত' সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন তিনি।

আবু জাফর :বছরের শেষের দিকে আমরা হারাই বিখ্যাত গীতিকার, সুরকার ও শিক্ষক আবু জাফরকে। তিনি মারা যান গত ৫ ডিসেম্বর। আবু জাফর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। আবু জাফর রাজশাহী ও ঢাকা বেতার এবং টেলিভিশনের নিয়মিত সংগীতশিল্পী ও গীতিকার ছিলেন। আবু জাফর ছিলেন একাধারে একজন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক। চুয়াডাঙ্গা কলেজ ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন তিনি। একাধিক কালজয়ী গানের স্রষ্টা তিনি। এর মধ্যে 'এই পদ্মা এই মেঘনা', 'তোমরা ভুলেই গেছো মলিস্নকাদির নাম', 'নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়ে', 'আমি হেলেন কিংবা মমতাজকে দেখিনি', 'তুমি রাত আমি রাতজাগা পাখি' উলেস্নখযোগ্য গান। 'এই পদ্মা এই মেঘনা' এই গানটি বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি গানের মধ্যে স্থান করে নিয়েছিল। তার রচিত দেশাত্মবোধক ও আধুনিক গান বাংলা সংগীতে ভিন্ন মাত্রা যুক্ত করেছে।

পাপিয়া সরোয়ার : বছরের একেবারে শেষপ্রান্তে এসে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান একুশে পদকজয়ী রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার। দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। গত ১২ ডিসেম্বর সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা যান গুণী এই শিল্পী। পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে, ১৯৫২ সালে ২১ নভেম্বর। ছোটবেলা থেকেই রবীন্দ্র অনুরাগী পাপিয়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছায়ানটে ভর্তি হন। পরে তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ভর্তি হন। ১৯৬৭ সাল থেকে বেতার ও টিভিতে তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে গান করেন তিনি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। ২০২১ সালে পেয়েছেন একুশে পদক। পাপিয়া সারোয়ার জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৬ সালে 'গীতসুধা' নামে একটি গানের দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বরেণ্য এই সংগীতশিল্পী।

সি বি জামান :'উজান ভাটি' খ্যাত দেশের বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা সি বি জামান মারা গিয়েছেন ২০ ডিসেম্বর। চলতি মাসে হার্ট অ্যাটাকের পর থেকেই আইসিইউতে ছিলেন তিনি। সি বি জামান তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে 'ঝড়ের পাখি', 'উজান ভাটি', 'পুরস্কার', 'কুসুম কলিসহ বেশ কয়েকটি প্রশংসিত চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। চলচ্চিত্র পরিচালনা ছাড়াও তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে