শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণে কমিটি গঠন :বাণিজ্যমন্ত্রী

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৫ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে ভোজ্যতেলের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হবে। এজন্য তারিখ ভেদে দাম নির্ধারণ করা হবে। তাই কোন তারিখে কত দাম হওয়া উচিত, তা ঠিক করতে একটি কমিটি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

রোববার মন্ত্রণালয়ে দ্রব্যমূল্য মনিটরিং সেলের সাপ্তাহিক বৈঠকে ভোজ্যতেল আমদানিকারদের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। এ সময় বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেল ৯০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। যখন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যায়, তখন সেই প্রভাব পড়ে। জুলাই মাসে প্রতিটন ৭০০ ডলার ছিল, তা এখন ১১০০ ডলারের ওপরে উঠেছে, মাঝখানে ১১৯০ ডলারও হয়েছিল। তার মানে অলমোস্ট ৭৫ শতাংশের ওপরে দাম বেড়েছে। আমাদের দেশেও এই দামের প্রভাব পড়েছে।

তিনি বলেন, সারা বছর বাজারে ৭০ থেকে ৭২ শতাংশ খোলা ভোজ্যতেল আর বাকিটা প্যাকেটজাত তেল বিক্রি হয়। তেলের

মান ও সরবরাহ ব্যবস্থা শৃঙ্খলায় রাখতে আরও বেশি পরিমাণ বোতলজাত তেল বাজারজাত করার চেষ্টা চলছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আরও বেশি বোতলজাত করা গেলে দামের হেরফের কম হবে। শুধু দামের জন্য না, কোয়ালিটির জন্যও বোতলজাত হওয়া জরুরি। শিল্প মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে চেষ্টা করছে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে ৭০ শতাংশ যেন বোতলজাত করা যায়। এতে নকল মাল থেকেও মানুষ রেহাই পাবে বলে মনে করেন তিনি।

উলেস্নখ্য, বাজারে এখন প্রতিকেজি খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৩০ টাকা, যা তিনমাস আগে ছিল ৯০ টাকা (দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ)। প্রতিলিটার ৯৫ টাকার সয়াবিন তেল এখন বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়। সাম্প্রতিক সময়ে ভোজ্যতেলের যে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে তা কখনো হয়নি।

মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে কী দাম হওয়া উচিত তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। বৈঠকের রেজাল্ট হলো, কী দাম হলে যৌক্তিক হয়, তার একটা ওয়েআউট করব। দেশীয় বাজার ও আন্তর্জাতিক বাজারের মধ্যে নজরদারি রাখার জন্য একটা কমিটি করা হয়েছে। ট্যারিফ কমিশন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে একটা চুলচেরা বিশ্লেষণ করার জন্য এই কমিটি কাজ করবে। এই মিটিং থেকে এই বিষয়ে কমিটি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে তিনি জানান।

বৈঠকে ব্যবসায়ীরা মন্ত্রীকে জানান, আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তেল কেনার পর তা ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছাতে তিনমাস সময় লেগে যায়। দাম নির্ধারণে এই সময়কে বিবেচনায় নিতে হয়।

এছাড়াও ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানান, ভোজ্যতেল আমদানিতে আগে এক স্তরে ডিউটি থাকলেও চলতি অর্থবছরে তা চার স্তর করা হয়েছে। হয়রানি ও ঝামেলা এড়ানোর জন্য ডিউটি আবার এক স্তরে নিয়ে আসতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছেন তারা।

এই বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এই বিষয়ে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, উত্তর আসেনি। আবার চিঠি দেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে