ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে আগামী ৬ ফেব্রম্নয়ারির পর সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বুধবার সকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। এর আগে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, 'ভারতের বড় সুবিধা তাদের ডিউটি কাঠামো আমাদের চেয়ে কম। আমাদের যেখানে ১৮ থেকে ২০ শতাংশ, সেখানে তারা ৫ শতাংশ দেয়। এসব বিবেচনা করে আমাদের দেখতে হবে। এজন্য আমি ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছি একটু সময় দিতে। আমরা আগামী ৬ তারিখ, মানে ১৬ দিন পর বসে দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হলে বাড়াব। কমানোর প্রয়োজন হলে কমাব।
টিপু মুনশি বলেন, 'আজকের আলোচনায় তেমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আমরা বলেছি, এখন তেলের যে দাম আছে তার থেকে কিছুটা হলেও কমাতে চেষ্টা করুন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিভিন্ন
তথ্য সংগ্রহ করব। এজন্য আন্তর্জাতিক মার্কেট, ডিউটি স্ট্রাকচার সব দেখে ১৫ দিন পর বসে সিদ্ধান্ত নেব। সামনে রমজান, রোজার ঈদও আছে। সেজন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছি তারা যেন স্বাভাবিকভাবে এলসি ওপেন করে।'
এর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ার কথা উলেস্নখ করে নতুন দাম কার্যকরের দাবি জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। পরে সেটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ট্যারিফ কমিশনে পাঠায় মন্ত্রণালয়।
চলতি মাসের শুরুতে ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ৮ টাকা করে বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল অ্যাসোসিয়েশন। পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে তখন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।
বর্তমানে সরকার নির্ধারিত দামে খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ১৩৬ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিন প্রতি লিটার ১৬০ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। গত বছরের ১৯ অক্টোবর লিটারে ৭ টাকা করে বাড়ানোর পর এ দর নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে বাজারে তেল বিক্রি হচ্ছে এর চেয়ে বেশি দামে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মেঘনা গ্রম্নপের একজন প্রতিনিধি জানান, যখন সর্বশেষ দাম ঠিক করা হয়েছিল তখন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১২৫০ ডলার থেকে ১৩০০ ডলার। এখন সেটা ১৪০০ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। সে কারণে তারা মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, 'প্রতিবেশী দেশ ভারতও আমাদের মতো করে তেল আমদানি করে। আজকে তাদের মার্কেটে দাম লিটার ১৭০ টাকার কাছাকাছি। ভারতে ফ্রেইট চার্জ কম, ডিউটি স্ট্রাকচারও কম। আমাদের যেখানে ১৮-২০ শতাংশ তাদের সেখানে ডিউটি মাত্র ৫ শতাংশ।
Copyright JaiJaiDin ©2022
Design and developed by Orangebd