আজকের যায়যায়দিন

রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রম্নত সমাধান হবে, এমন আশাবাদ জানিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, এ বিষয়ে (রোহিঙ্গা) চীন বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতিশীল। প্রতিবেশী হিসেবে চীন এ সমস্যা সমাধানে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।

মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীনের ভূমিকা কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ইয়াও ওয়েন বলেন, 'এটি একটি জটিল সমস্যা, যা ৬ বছর বছর ধরে ঝুলে আছে। এর সঙ্গে অনেক পক্ষ জড়িত। চীন এক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করছে।'

এদিকে, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্য পূরণ করেছে জানিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, '২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট দেশ গড়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার তা পূরণে

গরমে বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীরা

পাশে থাকবে চীন। বিশেষ করে প্রযুক্তি খাতে সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে।'

পরিকল্পনা মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে চীনা রাষ্ট্রদূত দেশের মধ্যে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আলাপ করেন। এসময় রাষ্ট্রদূত দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে কাজ করবেন বলে জানান।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, 'এ বছর চীনের অর্থায়নে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প শেষ হতে যাচ্ছে। সামনে আরও কয়েকটি মেগা প্রকল্প আসছে।'

এসময় গত বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনকে একটি 'বিস্ময়কর' ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেই ইয়াও ওয়েন জানান, সোনার বাংলা বিনির্মাণে বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী সহায়তা করা হবে। এটা প্রযুক্তি খাত হতে পারে। তাছাড়া খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও কৃষি খাতে আরও বিনিয়োগ করা হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতেও চীন বিনিয়োগে আগ্রহী এবং চীন আরও অর্থনৈতিক জোন স্থাপনে নজর দিতে পারে বলে জানান তিনি।

এদিকে, চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, নতুন এ চীনা রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে বন্ধুত্বকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। চীনের কাছ থেকে প্রযুক্তি খাতসহ অনেক বিষয়ে শিক্ষণীয় আছে বলেও মন্তব্য করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী।