সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের সুযোগ নেই

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী
স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল
  ১৩ জুন ২০২৩, ০০:০০

সরকারের সাম্প্রতিক নির্বাচন ব্যবস্থা অনেকটা ভালো উলেস্নখ করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, 'দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইসু্যতে বিদ্যমান আইনে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ত্যাগ করার কোনো সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইচ্ছে করলে সব মন্ত্রী বাদ দিয়ে আরও ১০০ জনকে মন্ত্রী বানাতে পারেন। একজন পাগলকেও মন্ত্রী বানাতে পারেন। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী পদত্যাগ করার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শুধু রুটিন ওয়ার্ক

\হকরবেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবেন। সরকারের সব কর্মকর্তা ইসির অধীন থাকবে।'

সোমবার দুপুরে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম তার টাঙ্গাইলের বাসভবন 'সোনার বাংলা'য় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো জোটে যাব কি না জানি না। তবে বিএনপির সঙ্গে কোনো নির্বাচনী জোটে যাব না।

তিনি বলেন, 'আমি সব সময় গণমানুষের পক্ষে বা ন্যায়সঙ্গত কারণের পক্ষে কথা বলে থাকি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলে পৃথিবীর কোথাও কোনো সরকার নেই। কিন্তু বাংলাদেশে হয়েছিল। এখন সংবিধানে নাই। এরশাদকে বাধ্য করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার করা হয়েছিল। রাজনীতিতে আন্দোলনের মাধ্যমে বাধ্য করতে পারলে সেখানে সবই আইন আর না পারলে সবটাই বেআইনি। এখন দেখতে হবে বিএনপি যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনতে পারে তাহলে দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আবার হতে পারে। আর না হলে আমার বোনের (প্রধানমন্ত্রী) অধীনেই নির্বাচন হবে- এর কোনো বিকল্প আপাতত নেই।'

মহান মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত কিংবদন্তি বঙ্গবীর বলেন, একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে তাচ্ছিল্য করে কথা বলা সমীচীন নয়- এটা কোনো সভ্যতা নয়। আবার একজন বয়স্ক নেতাকে তাচ্ছিল্য করে কথা বলাও ভালো নয়। আমাদের স্বাভাবিক হওয়া উচিত। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে আমরা অস্বাভাবিক হচ্ছি এবং আমাদের মান মর্যাদা নিজেরাই ক্ষুণ্ন করছি।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, 'আমেরিকার কোনোমতেই এই ভিসা নীতি এই মুহূর্তে করার কোনো মানে হয় না। কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দরকার পড়লে যাব না সাত সাগরের ওপার। অনেকে এ কথার সমালোচনা করেছেন। যে কোনো সরকার তার ইচ্ছেমতো ভিসা দেয়। আমাদের প্রতিবেশী ভারত দুইজনে দরখাস্ত করলে রোগীকে ভিসা দেয় আর তার সঙ্গে যে থাকেন তাকে দেয় না। এটা তাদের ইচ্ছেমতো এবং পৃথিবীর সব দেশই নিজেদের ইচ্ছেমতোই ভিসা দেয়। বাইরের লোকরা যে আমাদের দেশে আসে, আমাদের অ্যাম্বেসিগুলোও ওই একই কাজই করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এই ভিসা নীতি নিয়ে কোনো কথা থাকত না। ভিসা নিয়ে কথা আসছে রাজনীতির কারণে। আমি মনে করি এই ভিসার যে কড়াকড়ি বা জাতীয় নির্বাচনে কেউ বাধা দিলে ভিসা দেওয়া হবে না, তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। এটা আমাদের অপমান করা ছাড়া আর কিছুই না।'

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীরপ্রতীক, টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ এবং জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে