সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

চলতি অর্থবছরে ৩.৬ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রতিশ্রম্নতি বিশ্বব্যাংকের

৪০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা দিচ্ছে এডিবি
যাযাদি ডেস্ক
  ১৪ জুন ২০২৩, ০০:০০

সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে হাইয়ার এডুকেশন অ্যাকসিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সমিশন প্রকল্পের জন্য ১৯ দশমিক ১ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে শেক অর্থায়ন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে সংস্থাটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এ প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০২৩ থেকে জুন ২০২৮ মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ পর্যন্ত মোট ৩.৬ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রতিশ্রম্নতি দিল। এটি এক বছরে বাংলাদেশের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের সর্বোচ্চ অর্থায়নের প্রতিশ্রম্নতি।

মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের জন্য সর্ববৃহৎ বহুপাক্ষিক উন্নয়নের অংশীদার। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের উন্নয়নে বিদু্যৎ ও জ্বালানি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা, অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ও

লজিস্টিক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমন্বয় নগরায়নসহ বিভিন্ন খাতে অর্থ জোগান দিয়ে আসছে। বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) থেকে এসডিআরে বর্ণিত ঋণ গ্রহণ করা হবে এবং গৃহীত ঋণ ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এসডিআরে গৃহীতব্য ঋণের অর্থের ওপর বার্ষিক ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং ১ দশমিক ৯৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। অনুত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক ০ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট ফি প্রদেয় হবে। তবে বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থবছরসহ দীর্ঘদিন ধরে কমিটমেন্ট ফি মওকুফ করে আসছে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, গত এক দশকের অধিককাল ধরে বাংলাদেশ অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে তাৎপর্যপূর্ণ উন্নয়ন অর্জন করেছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে শিক্ষা ক্ষেত্রের আকর্ষণীয় ক্ষতি মোকাবিলা এবং উচ্চ শিক্ষিতদের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা। এ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নারীদের উন্নয়নের একটি বিরাট সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষিতদের জন্য চাকরির সুযোগ সৃষ্টি এবং নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধি করার উদ্দেশে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে বাজার চাহিদা ভিত্তিক শিক্ষা কোর্স প্রবর্তন, উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের ডিজিটাল সংযোগ বৃদ্ধি, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও প্রশিক্ষণ একাডেমি প্রতিষ্ঠা, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের জন্য একাডেমিক ভবন নির্মাণ এবং মহিলা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক স্থাপন ইত্যাদি।

৪০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা দিচ্ছে এডিবি

এদিকে, বাংলাদেশকে ৪০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ চার হাজার কোটি টাকার বেশি। মঙ্গলবার ফিলিপাইনে এডিবির প্রধান কার্যালয়ে এ ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে বলে সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এডিবি জানায়, বাংলাদেশের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে এ ঋণ দেওয়া হচ্ছে। কোভিড অতিমারির পর অর্থনীতিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ২০২১ সালের অক্টোবরে চালু হওয়া এডিবির কর্মসূচির অধীন বাংলাদেশ এ সহায়তা পাচ্ছে। রাজস্ব আয় বাড়াতে সংস্কার এগিয়ে নিতে, সরকারি ব্যয় ও কেনাকাটায় স্বচ্ছতা বাড়াতে, রাষ্ট্র মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে সংস্কার ত্বরান্বিত করতে এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায় কম সুদের ঋণের ব্যবস্থা করা এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে