সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
ঢাকেশ্বরী মন্দির ও রামকৃষ্ণ মিশন পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর

আ'লীগ আপনাদের পাশে ছিল, আছে

বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে
যাযাদি রিপোর্ট
  ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭৫ পর বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দাবি করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অনেক অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে। '৯২, ২০০১ ও তার আগে বার বার আঘাত এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় আপনাদের পাশে ছিল, পাশে আছি।

রোববার দুপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পূজামন্ডপে ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জে এল ভৌমিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডক্টর চন্দ্রনাথ পোদ্দার উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশের মানুষ সবসময় উদার মনের, তারাও সব সময় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করে। যে কারণে আজকে আমাদের সেস্নাগান, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সবাই আমরা ঠিকই এভাবে উৎসব পালন করে যাচ্ছি।'

পূজা শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। আমি বলব, আমাদের যতটুকু করার আমি করেছি। এ মাটির সন্তান সবাই। এই মাটিতে নিজ নিজ অধিকার নিয়ে সবাই বাস করবেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে সবাই একই যুদ্ধ করেছেন, এখানে সবার অধিকার রয়েছে। সে অধিকার যাতে সুপ্রতিষ্ঠিত থাকে আমরা সেই চেষ্টাই করি। আমরা চাইব, আপনারও বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ করুন। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা, এখন ঘরে ঘরে খাবার আছে, ঘরে ঘরে বিদু্যৎ আছে, চিকিৎসা সেবা মানুষের কাছে আমরা দিয়ে দিচ্ছি, সারা বাংলাদেশে যে উন্নয়নের ছোঁয়া, এটা মানুষের কল্যাণেই আমাদের কাজ। মানুষের কল্যাণ করাটাই আমাদের একমাত্র দায়িত্ব।'

শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা সবসময় বিশ্বাস করি, সব ধর্ম বর্ণের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে পূজা শেষ করেন,

\হসেটাই আমরা চাই। আইনশৃঙ্খলা কর্মী থেকে শুরু করে আমাদের প্রত্যেক নেতারা থাকবে, যাতে কোনো ধরনের ঘটনা না ঘটে। সেদিকে আমরা সতর্ক থাকব।

গত শনিবার ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয় শারদীয় দুর্গোৎসব। মঙ্গলবার বিজয়া দশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।

এবার সাড়া দেশে প্রায় সাড়ে ৩২ হাজার মন্ডপে পূজা উদযাপন হচ্ছে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। সার্বিকভাবে পরিবেশও শান্তিপূর্ণ।

এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জি এল ভৌমিক ও সাধারণ সম্পাদক ডক্টর চন্দ্রনাথ পোদ্দার উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন শেষে শেখ হাসিনা যান রামকৃষ্ণ মিশনে। সেখানেও তিনি পুণ্যার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

বাংলাদেশ উন্নয়নের

পথে এগিয়ে যাচ্ছে

এদিকে রোববার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের এই সংসদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে।

লক্ষ্ণীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উকিল আব্দুস সাত্তার ও পটুয়াখালী-১ আসনের এম শাহজাহান মিয়ার মৃতু্যতে শোক জানায় জাতীয় সংসদ। স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরীর উত্থাপিত এ সংক্রান্ত শোক প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়। এর আগে শোক প্রস্তাবের ওপর সংসদে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারি ও বিরোধী দলের এমপিরা বক্তব্য রাখেন।

পরে সংসদে এক মিনিট নীরবতা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সরকার দলের এমপি হাফেজ রুহুল আমিন মাদানি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এবারের সংসদ অধিবেশনের প্রথম দিনটা আমাদের শোক প্রস্তাব নিতে নিতেই সময় গেল। এটা সব থেকে দুঃখজনক। একে একে আমরা অনেক সদস্যকে হারিয়েছি। কোভিডকালে তো ছিল আরও বেশি। এবার তিনজন সদস্য আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তাদের বয়স হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ভোট-ভাতের অধিকারসহ গণতান্ত্রিক সংগ্রামে তাদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে এ কে এম শাহজাহান কামাল ও এম শাহজাহান মিয়া যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন। সবাইকে মরতে হবে জানি। তারপরও সংসদের শেষ বেলায় এসে সবাই আমাদের একে একে হারিয়ে যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য সত্যিই কষ্টকর।'

মারা যাওয়া এমপিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শেখ হাসিনা বলেন, 'বাংলাদেশের উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে তাদের ভূমিকার জন্য তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।'

সংসদে এ সময় অন্যদের মধ্যে আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আ স ম ফিরোজ, নূর ?উদ্দিন নয়ন, আনোয়ার হোসেন খান, মুহিবুর রহমান, কাজী কানিজ সুলতানা, মসিউর রহমান রাঙা, পীর ফজলুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে