সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় 'হানুন' এগোচ্ছে বাংলাদেশের দিকে

চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত হ ঢাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হ পর্যটকদের সেন্ট মার্টিন ছাড়ার নির্দেশ হ প্রস্তুত হচ্ছে আশ্রয় কেন্দ্র
যাযাদি ডেস্ক
  ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনিভূত হয়ে সোমবার রাতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ জন্য দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এতে বড় দুর্যোগের শঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড় 'হানুন' বুধবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তবে ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের এক বুলেটিনে বলা হয়ে, 'ঘূর্ণিঝড় হলে এটি বুধবার পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে। অবশ্য সোমবার ঢাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরেছে। অন্যদিকে ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কায় দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া পর্যটকদের সেন্ট মার্টিন ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ থেকে বন্ধ থাকবে জাহাজ চলাচলও। প্রস্তুত হচ্ছে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মলিস্নক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, 'গভীর নিম্নচাপটি শক্তি অর্জন করতে করতে ক্রমশ উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে তার গতিবেগ বৃদ্ধি পাবে এবং গতিপথ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।'

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী দুই-তিন দিন চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালের উপকূলীয় এলাকা এবং ঢাকা ও দেশের অন্যান্য অঞ্চলে টানা বৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে সাগরে সতর্ক সংকেত দেওয়ার পরপরই উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকিং করে স্থানীয়দের

\হসতর্ক করছেন কোস্টগার্ড সদস্যরা। কোস্টগার্ড সদস্যরা নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের আশপাশের আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে চলে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন।

অন্যদিকে, কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদের বৈরী আবহাওয়ার কারণে সোমবার বেলা তিনটার মধ্যে ফিরে আসার নির্দেশনা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। নির্দেশনার কথা জানিয়ে দ্বীপে মাইকিং করা হয়েছে। পাশাপাশি আজ মঙ্গলবার থেকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন পথে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় মঙ্গলবার থেকে সেন্ট মার্টিনগামী জাহাজ, স্পিড বোট, কাঠের বোট বা যে কোনো জলযান চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেন্ট মার্টিন দ্বীপে অবস্থানরত সব পর্যটকদের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সেন্ট মার্টিনে মাইকিং করে দ্বীপের সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে