সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

গ্যাস সংকটে দুর্ভোগ বাড়ছে

চট্টগ্রাম মহানগরীতে এ সমস্যা থাকবে আরও এক মাস
চট্টগ্রাম অফিস
  ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় চলছে তীব্র গ্যাস সংকট। গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া গ্যাস সংকটে চরম ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই গ্যাস সংকট থাকবে আরও এক মাস।

চট্টগ্রামে গ্যাস সাপস্নাই দেয় কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)। দুটি টার্মিনাল থেকে গ্যাস নেয় তারা। এর মধ্যে সামিটের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় প্রায় ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস কম পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে একটি লাইনও বন্ধ হয়ে যায়। তাই চট্টগ্রামে তৈরি হয়েছে গ্যাস সংকট।

গ্যাস না থাকায় চকবাজার, বহদ্দারহাট, নাসিরাবাদ, নিউমুরিং, দেওয়ানবাজার, জামালখান, বাকলিয়া, ডিসি রোড, চন্দনপুরা, আসকারদিঘীর পাড়, হালিশহর, রহমতগঞ্জ, আগ্রাবাদ, অলঙ্কার, বন্দর এলাকা, বিবিরহাট, দুই নম্বর গেট, পাঁচলাইশ, মুরাদপুর, খুলশি, অক্সিজেন, বালুচরাসহ নগরের বিভিন্ন এলাকার বেশিরভাগ বাসাবাড়িতে জ্বলছে না চুলা। তবে যেসব বাসায় তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) আছে সেখানে রান্নার সমস্যা হয়নি। শনিবার বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা ধরে চলে গ্যাস সংকট। রোববার বিকাল ৩টার পর একটু একটু করে আসতে শুরু করে গ্যাস। গ্যাস না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাহকরা। কেউ কেউ বৈদু্যতিক চুলায় রান্না করছেন আবার কেউ নতুন করে সিলিন্ডার কিনে রান্না সেরেছেন। আর বস্তিবাসীরা বেছে নিয়েছেন মাটির চুলা।

এদিকে, গ্যাস সংকটে সোমবার দুপুরের রান্না করতে পারেননি বহদ্দারহাট এলাকার বাসিন্দা ইলিয়াছ হোসেন। তিনি বলেন, হঠাৎ করে গ্যাস সংকট দেখা দেয়। বেলা ১১টা থেকে ২

চেষ্টা করেও দুপুরের রান্না করা সম্ভব হয়নি। একটু করে আসে আবার চলে যায়। পরে হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতে হয়েছে।

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মোট গ্রাহক ও সংযোগ আছে ৬ লাখ ১ হাজার ৯১৪টি। এর মধ্যে গৃহস্থালি সংযোগ ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬১টি। চট্টগ্রামে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুট। মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল থেকে পাওয়া যায় ২৭০ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট। বাকি গ্যাস পাওয়া যেত আরেকটি টার্মিনাল থেকে। কিন্তু এখন ওই টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে সংকট তৈরি হয়েছে। যে গ্যাস পাচ্ছে তার অর্ধেক চলে যায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সার এবং বিদু্যৎকেন্দ্রে। বাকি গ্যাস দিয়েই আবাসিকসহ অন্যান্য জায়গায় চাহিদা মেটাতে হচ্ছে। এক মাস ধরে এই সংকট থাকবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।

কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) আমিনুর রহমান বলেন, 'কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড দুটি টার্মিনাল থেকে গ্যাস পেয়ে থাকে। এর মধ্যে সামিটের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় প্রায় ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এখন পাওয়া যাচ্ছে না। একটা লাইন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মূলত গ্যাস সংকট শুরু হয়েছে। ধারণা করছি, এক মাস ধরে এই সংকট চলমান থাকবে।'

তিনি আরও বলেন, দিনের বেলায় যেহেতু শিল্প কারখানা চলে, তাই এই সময়ে একটু সমস্যা থাকবে। তবে রাতে তেমন একটা সংকট থাকবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে