সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

ডাবের খোসা ২ ও চিপসের প্যাকেট এক টাকা

যাযাদি রিপোর্ট
  ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
ডাবের খোসা ২ ও চিপসের প্যাকেট এক টাকা

এডিস মশা নিধনে পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি সংগ্রহ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ডিএনসিসি (ডিএনসিসি)। নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে এসব পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি কিনতে প্রচারণা শুরু করেছেন সংস্থাটির কাউন্সিলররা।

ডিএনসিসির প্রত্যাশা, পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি কিনে নিলে নগরে যত্রতত্র চিপসের প্যাকেট, ডাবের খোসা, পস্নাস্টিকের বোতল ফেলা বন্ধ হবে। এতে এডিস মশা বংশবিস্তার করতে পারবে না। আর নগরের রাস্তাঘাটও পরিষ্কার থাকবে। নাগরিকদের মধ্যেও জনসচেতনতা সৃষ্টি হবে।

গত ৪ এপ্রিল ডিএনসিসির দ্বিতীয় পরিষদের ২৬তম করপোরেশন সভায় এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে পরিত্যক্ত পলিথিন, ডাবের খোসা ও অন্য দ্রব্যাদি কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেন সংস্থাটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেন মেয়র। এখন সে নির্দেশনা অনুযায়ী নিজ কার্যালয়ের সামনে ব্যানারে পরিত্যক্ত পলিথিন, ডাবের খোসা ও অন্য দ্রব্যাদির মূল্যতালিকা টাঙাচ্ছেন কাউন্সিলররা।

রোববার মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়া বস্নক-এ, লালমাটিয়া বস্নক-বি, লালমাটিয়া বস্নক-সি, লালমাটিয়া বস্নক-ডি, লালমাটিয়া বস্নক-ই, লালমাটিয়া বস্নক-এফ, লালমাডিয়া বস্নক-জি, স্যার সৈয়দ রোড, হুমায়ুন রোড, বাবার রোড, ইকবাল রোড, আওরঙ্গজেব রোড, খিলজি রোড, মোহাম্মদপুর কলোনি, মোহাম্মদপুর কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি, গজনি রোড ও ২

লালমাটিয়া হাউজিং স্টেট নিউ কলোনি নিয়ে ডিএনসিসির ৩২ নম্বর ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায় এ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনে পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি সংগ্রহে ব্যানার টাঙানো হয়েছে।

বোর্ডে চিপসের প্যাকেট বা সমজাতীয় প্যাকেট (১০০টি) ১০০ টাকা, আইসক্রিমের কাপ, ডিসপোজেবল গস্নাস বা কাপ (১০০টি) ১০০ টাকা, অব্যবহৃত পলিথিন (প্রতি কেজি) ৫০ টাকা, ডাবের খোসা (প্রতিটি) ২ টাকা, মাটি বা পস্নাস্টিক, মেলামাইন বা সিরামিক ইত্যাদির পাত্র (প্রতিটি) ৩ টাকা, পরিত্যক্ত টায়ার (প্রতিটি) ৫০ টাকা, পরিত্যক্ত কমোড বা বেসিন (প্রতিটি) ১০০ টাকা, অন্য পরিত্যক্ত পস্নাস্টিকের দ্রব্যাদি (প্রতি কেজি) ১০ টাকায় কেনা হবে বলে উলেস্নখ রয়েছে।

জানতে চাইলে ডিএনসিসির ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম বলেন, মেয়র আতিকুল ইসলামের নির্দেশে ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমি ব্যানার টাঙানোর পর কয়েকজন পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি নিয়ে এসেছেনও। তাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নাগরিকদের মধ্যে জনসচেতনতা তৈরি করা। যেন কেউ পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি যত্রতত্র না ফেলেন। এতে এডিস মশার বংশবিস্তার নিয়ন্ত্রণ যেমন সহজ হবে, নগরের রাস্তাঘাটও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে