মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২

ফেব্রম্নয়ারির শেষ সপ্তাহেও সব বই হাতে পায়নি শিক্ষার্থীরা

যাযাদি ডেস্ক
  ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
ফেব্রম্নয়ারির শেষ সপ্তাহেও সব বই হাতে পায়নি শিক্ষার্থীরা
ফেব্রম্নয়ারির শেষ সপ্তাহেও সব বই হাতে পায়নি শিক্ষার্থীরা

চলতি শিক্ষাবর্ষের দ্বিতীয় মাসের শেষ সপ্তাহ শুরু হয়ে গেলেও সব বই হাতে পায়নি স্কুল শিক্ষার্থীরা। অষ্টম ও নবম শ্রেণির এবং এবতেদায়ী পর্যায়ের কিছু বই এখনো ছাপার অপেক্ষায়। প্রাক-প্রাথমিক আর প্রাথমিকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির কিছু বইয়ের অপেক্ষা কাটছে না শিক্ষার্থীদের।

পাঠ্যবই মুদ্রণ ও বিতরণের তদারককারী প্রতিষ্ঠান জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) হিসাব অনুযায়ী, রোববার (২৩ ফেব্রম্নয়ারি) পর্যন্ত মাধ্যমিক পর্যায়ের ১০ কোটি কপির বেশি বই বিতরণ বাকি আছে। ছাপা বাকি আছে সাড়ে ৫ কোটি কপি। মাধ্যমিক পর্যায়ের মোট বইয়ের দুই-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছেছে।

আর প্রাথমিক পর্যায়ের ১৪ লাখ কপি বই ছাপা বাকি আছে। আর এ পর্যন্ত প্রাথমিকের মোট বইয়ের ৯৬ শতাংশের বেশি বিতরণের ছাড়পত্র পেয়েছে।

এদিকে আগামী ২৭ ফেব্রম্নয়ারি ক্লাস হওয়ার পর মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক স্কুলগুলোতে শুরু হতে যাচ্ছে রোজার ছুটি। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ হয়ে যাবে ২৫ ফেব্রম্নয়ারি ক্লাসের পর।

ছুটি শেষে ৭ এপ্রিল প্রাথমিক পর্যায়ের এবং ৯ এপ্রিল মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলগুলোতে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এমন বাস্তবতায় ছুটি শুরুর আগে শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই পৌঁছানো সম্ভব কি না- তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ নাগাদ সব বই ছাপা শেষ হবে বলে প্রকাশকরা দাবি করছেন। যদিও এনসিটিবি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে বলা হচ্ছে, ফেব্রম্নয়ারিতেই 'প্রয়োজনীয়' সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাবে।

গণঅভু্যত্থানে সরকার পরিবর্তনের পর পাঠ্যক্রম বদলে বই পরিমার্জন করে ছাপার কাজ শুরু করতে সময় লাগায় বছরের শুরুতে বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া যায়নি বলে ভাষ্য এনসিটিবির।

৫ কোটি ৬৪ লাখ কপি বই ছাপানো এখনও বাকি

ফেব্রম্নয়ারির শেষ সপ্তাহে এসে এখনও ৫ কোটি ৬৪ লাখ কপি বই ছাপানো বাকি রয়েছে। এনসিটিবির হিসাব বলছে, এর মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাপা বাকি সাড়ে ৫ কোটি কপি বই। আর প্রাথমিক পর্যায়ে এই সংখ্যা ১৪ লাখ।

এনসিটিবির বিতরণ নিয়ন্ত্রক হাফিজুর রহমান বলেন, 'মাধ্যমিক, দাখিল ও এবতেদায়ী পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মোট বইয়ের চাহিদা ৩০ কোটি ৪৮ লাখ কপির বেশি। এর মধ্যে ২৪ কোটি ৯৮ লাখ ৪৫ হাজার ৯৪৫ কপি বই ছাপা হয়েছে। আর বিতরণের ছাড়পত্র পেয়েছে ২০ কোটি ১৩ লাখ ৪২ হাজার ৮৮৩ কপি বই। মাধ্যমিকের মোট বইয়ের ৬৬.২১ শতাংশ বিতরণের ছাড়পত্র পেয়ে গেছে। আর ছাপা হয়েছে ৮২.১৬ শতাংশ। আমাদের ক্লাস এইট ও নাইনের কিছু এবং এবতেদায়ী পর্যায়ের কিছু বই ছাপা বাকি আছে। আশা করছি, যেসব বিষয়ে পরীক্ষা হবে, ফেব্রম্নয়ারি মাসেই ওই বিষয়গুলোর সব বই মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাবে।'

হাফিজুর বলেন, 'মোট ১১৬টি দেশি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান বই ছাপানোর কাজ করছে। এগুলোর মধ্যে ৩৫টি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করেছে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলো শতভাগ বই বিতরণের ছাড়পত্র পেয়েছে। যে প্রতিষ্ঠানগুলো শতভাগ কাজ শেষ করেছে তাদের সংবর্ধিত করা হয়েছে। তবে দু-একটি প্রতিষ্ঠানের কাজের গতি কম।'

এনসিটিবির উৎপাদন নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আবু নাসের টুকু বলেন, 'প্রাথমিক পর্যায়ে ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার কপি বইয়ের মধ্যে ৯ কোটি ৫ লাখ ৪৫ হাজার কপি ছাপানো শেষ হয়েছে। আর শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণের ছাড়পত্র পেয়েছে ৮ কোটি ৮৭ লাখ ১৬ হাজার কপি বই। মোট বইয়ের ৯৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ বিতরণের ছাড়পত্র পেয়েছে। আমাদের চতুর্থ, পঞ্চম ও প্রাক-প্রাথমিকের কিছু বই ছাপানো বাকি আছে। চলতি ফেব্রম্নয়ারি মাসেই শতভাগ বইয়ের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।'

ছাপাখানাতেই লাগবে অন্তত 'মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ'

শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছানো নিয়ে এনসিটিবি আশার বাণী শোনালেও ভিন্ন বাস্তবতার কথা বলছেন ছাপাখানার মালিকরা। বইয়ের সব কাজ শেষ করতে তাদের অন্তত মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ লেগে যাবে।

প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বই ছাপানোর কাজ পেয়েছে রুপালি প্রিন্টিং প্রেস। এর কর্ণধার তোফায়েল খান বলেন, 'এনসিটিবির মধ্যস্থতায় কাগজ আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। গত শুক্রবার ওই কাগজের প্রথম চালান প্রেসগুলোতে চলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রোববার পর্যন্ত তা যায়নি। ওই কাগজ হাতে পেলে আমাদের সব কাজ শেষ করতে আরও ১০ দিন সময় লাগবে। ফেব্রম্নয়ারির শেষ দিকে ওই কাগজ প্রেসগুলোতে পৌঁছালেও সব বইয়ের কাজ শেষ করতে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ হয়ে যাবে।'

বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি এবং পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিপণন সমিতির সাবেক এই সভাপতি বলেন, 'মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে ওই কাগজের দাম আংশিক পরিশোধ করেছে। কাগজের দাম বাবদ বেশ কিছু টাকা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে। তাই ওই কাগজ না এসে পৌঁছালে আমরা কাজ শেষ করতে পারব না। আমরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বইয়ের কাজ করে থাকি। কাগজের বিপরীতে ব্যাংক লোন তুলে নিয়ে আমদানিকারককে টাকা দেওয়া হয়েছে। তাই নতুন করে প্রকাশকরা কাগজের জন্য ব্যাংক লোন পাবেন না। তাই ওই কাগজ হাতে এসে পৌঁছানোর অপেক্ষা করছি। তবে স্থানীয় বাজার থেকে কিছু কাগজ সংগ্রহ করে কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে।'

তোফায়েল খান বলেন, 'আগামী বছর কোন মানের কাগজে বই ছাপার কাজ হবে, তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। আর দীর্ঘদিন কাগজ ফেলে রাখলেও নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তাই যে কাগজ আমদানি হচ্ছে, সেগুলো ব্যবহার করেই কাজ শেষ করতে হবে।'

বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দোহার প্রিন্টিং প্রেসের স্বত্বাধিকারী আনোয়ার হোসাইন বলেন, 'মূলত এনসিটিবির তত্ত্বাবধানে আমদানি করা কাগজ এসে পৌঁছালেও আমাদের ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগবে। কবে নাগাদ বইয়ের কাজ শেষ হবে তা নির্ভর করছে কাগজ প্রেসগুলোতে পৌঁছানোর ওপর। আমাদের প্রতিষ্ঠানে যে পরিমাণ কাজ বাকি আছে, তাতে ২৫০ মেট্রিক টন কাগজ প্রয়োজন। এর মধ্যে আমদানির অপেক্ষায় আছে ১০০ মেট্রিক টন। আর বাকি ১৫০ টন কাগজ স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করে কাজ চালাচ্ছি।'

ছুটির আগে মাধ্যমিকের বই পাওয়া নিয়ে শঙ্কা

ঢাকার নীলক্ষেত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল নাইমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, 'আমাদের প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের কিছু অনুশীলন খাতা আসা বাকি ছিল, যা গত সপ্তাহের শেষ দিকে স্কুলে চলে এসেছে।'

তবে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলগুলোতে সব বই পৌঁছায়নি। রোজা আর ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগে শিক্ষার্থীদের হাতে বই না পৌঁছালে যে তার প্রভাব অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষায় পড়বে তা ভেবেই উদ্বিগ্ন শিক্ষকরা।

কুড়িগ্রামের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুল আলম বলেন, 'আমাদের জেলার কোনো কোনো উপজেলায় সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির সব বই এখনো এসে পৌঁছায়নি। আর তা ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের বই পেয়েছি।'

ঢাকার মগবাজার এলাকার বিটিসিএল আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান বলেন, "আমাদের ষষ্ঠ ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে সব বই এবং সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের বইগুলো পেয়েছে। তবে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা মাত্র তিনটি বই পেয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও সব বই পেয়ে যাবে।'

সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে না পৌঁছালেও বিটিসিএল আইডিয়াল স্কুলে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পাঠদান চলছে বলে জানালেন প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন, 'আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য বিষয়ভিত্তিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রম্নপ করেছি। যেসব বিষয়ের বই এখনও আসেনি, ওইসব বিষয়ের ক্ষেত্রে শিক্ষকরা পিডিএফ কপি থেকে সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ের স্ক্রিনশট নিয়ে ওই গ্রম্নপে দিয়ে দিচ্ছেন। ফলে যে শিক্ষার্থীরা এখনও ওইসব বই পায়নি, তারা সেখান থেকে দিনের পড়া শেষ করতে পারছে। যদি কোনো কারণে ছুটির মধ্যে শিক্ষার্থীদের বই এসে পৌঁছায়, সেক্ষেত্রে আমরা তখনই তা শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে পারব।'

পাবনার সুজানগরের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোলায়মান হোসেন বলেন, 'আমাদের উপজেলায় সপ্তম ও দশম শ্রেণির সব বই চলে এসেছে। ষষ্ঠ, অষ্টম ও নবম শ্রেণির কিছু বই এখনও এসে পৌঁছায়নি।'

ওই উপজেলার খলিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাবিবুলস্নাহ রাজু বলেন, 'সব বই না আসায় সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ক্লাসে উপস্থিতি কম। ফেব্রম্নয়ারির শেষাংশে এসেও এ পরিস্থিতি। আর ছুটির আগে শিক্ষার্থীদের হাতে যেন সব বই তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, সে আহ্বান থাকবে এনসিটিবির প্রতি। ছুটির মধ্যে স্কুলে বই এসে পৌঁছালে তা শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে বেগ পেতে হবে।'

বাংলাদেশ শিক্ষক ফোরাম (বাশিফ) নামে একটি শিক্ষক সংগঠনের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন এই শিক্ষক। হাবিবুলস্নাহ রাজু বলেন, 'ছুটির আগে শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই পৌঁছানো সম্ভব না হলে এর নেতিবাচক প্রভাব অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষায় পড়বে। তাই ছুটির আগেই যেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়, সে অনুরোধ থাকবে সরকারের প্রতি।'

ঢাকার বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহির শাহরিয়ার শীর্ষ বলে, 'সহজ আরবি পাঠ বইটি ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের বই পেয়ে গেছি। বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই দেওয়া হয়েছিল বছরের শুরুতে। আরবি ছাড়া অন্যান্য বিষয়গুলোর বই চলতি সপ্তাহেই হাতে পেয়েছি।'

ঢাকার এক চিকিৎসক নাজনিন মহলের দুই ছেলে-মেয়ে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে। তিনি বলেন, 'বছরের শুরুতে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বসুন্ধরা শাখায় পড়া মেয়ে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই এবং আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের পড়া ছেলে শুধু বাংলা বই পেয়েছিল। নতুন করে আর কোনো বই পাইনি। পরিচিত কয়েকজন বই পিডিএফ থেকে প্রিন্ট করিয়েছিলেন, তাদের কাছ থেকে ফটোকপি করে কাজ চালাচ্ছি।'

তবু আশার বাণী এনসিটিবির

দুই-তিন দিনের মধ্যে 'প্রয়োজনীয়' বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাবে বলে আশা করছেন এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান।

তিনি বলেন, 'আমাদের সাড়ে ৫ কোটি বই ছাপানো এখনও বাকি। আর ৩ থেকে ৪ কোটি বই ছাপা হয়ে গেছে, বাইন্ডিংয়ের অপেক্ষায় আছে। যদিও কয়েক কোটি কপি বইয়ের অতিরিক্ত চাহিদা দেওয়া আছে। যেসব বিষয়ে অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা হবে, ওইসব বিষয়ের সব বই ছুটির আগেই শিক্ষার্থীদের বই পৌঁছানো যাবে বলে আশা করছি। এনসিটিবির মধ্যস্থতায় ৭ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন কাগজ আমদানি করা হচ্ছে। যার প্রথম চালান চলতি সপ্তাহেই প্রেসগুলোতে পৌঁছে যাবে।' সূত্র:বিডিনিউজ ##

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে