শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আখাউড়ায় সেতু নির্মাণে কচ্ছপগতি, জনদুর্ভোগ

হান্নান খাদেম, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
  ১৯ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এক বছরেও সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে ধীরগতিতে -যাযাদি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায়-বনগজ এলাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে ধীরগতিতে। নির্মাণ সময় এক বছর নির্ধারিত থাকলেও গত সাড়ে চার বছর ধরে এর নির্মাণ কাজ চলছে। সেতুটি নির্মাণ না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষ। সেতু না থাকায় প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে উপজেলা সদরে যেতে হয়।

জানা গেছে, আখাউড়া বড় বাজার থেকে ধরখার পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার একটি সড়ক রয়েছে। উপজেলার পশ্চিমাঞ্চল ধরখার ইউনিয়নের ১৫-১৬টি গ্রামে ২০ হাজারের মানুষ এ সড়কটি দিয়ে চলাচল করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স, রেলওয়ে স্টেশন, স্কুল-কলেজ, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসসহ বিভিন্ন অফিসে আসা-যাওয়াসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষ এ সড়কটি ব্যবহার করে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ২০১৮ সালের ২৩ ফেব্রম্নয়ারি কুড়ের উপর একটি সেতু নির্মাণের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন। যার দৈর্ঘ্য ৯৬.১০ মিটার দীর্ঘ ও প্রস্থ সাড়ে ৫ মিটার। সেতুর দরপত্র মুল্য ৫ কোটি ৫৭ লাখ ৪১ হাজার ৯২৭ টাকা। নির্মাণ সময় ধরা হয় এক বছর।

সেতুর কাজে নিয়োজিত নির্মাণ শ্রমিক সোহেল রানা বলেন, সেতুর মূল কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন গাডার ঢালাইয়ের কাজ চলছে। ৩টি গাডার ঢালাই হয়ে গেছে। এখন গাডারের উপরে ছাদ ঢালাই দেওয়া হবে। আরও ৬টি গাডার বাকি আছে। এভাবে মোট ৯টি গাডারের উপর ৩টি ছাদ দেওয়া হবে। তাহলেই সেতুর কাজ শেষ হবে। সেতুর ঠিকাদার মো. খাইরুল হাসান বলেন, ডিজাইনে ত্রম্নটির কারণে প্রথমে কাজ করতে অসুবিধা হয়। পরে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি চালাচালি করতে অনেক সময় চলে যায়। ডিজাইন পরিবর্তন করার পর কাজ শুরু করি। আশা করি ৫/৬ মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।

আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, দুই বার সেতুর ডিজাইন পরিবর্তন করা হয়। প্রথমে যে গভীরতা হিসাব করে ডিজাইন করা হয়। পরে বর্ষার কারণে নদীর গভীরতা বেড়ে যাওয়ায় ডিজাইন পরিবর্তন করতে হয়। এ জন্য সেতুটি নির্মাণে দেরি হচ্ছে। আশা করি দ্রম্নত কাজ শেষ হয়ে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে