আজকের যায়যায়দিন

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে নবনির্বাচিত এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ ঝাঁটা মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। সোমবার বিকালে খামারমুন্দিয়া গাজেম আলী দাখিল মাদরাসার সামনে উপজেলার ৭নং রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপুর বিরুদ্ধে এই ঝাঁটা মিছিল ও বিক্ষোভ করে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাসুদুর রহমান, যুবলীগ নেতা হাবিবুর রহমান, জাকির হোসেন ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলামসহ অনেকে।

মারপিটের শিকার তুহিন রেজা জানান, 'রোববার সন্ধ্যায় তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে উপজেলার ৭নং রায়গ্রাম ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পুরুষ মেম্বার পদে ভোটের ফলাফলে টিউবয়েল প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম পরাজিত হন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লোকজন নিয়ে রাতে বিজয়ী ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী ইসমাইল হোসেনের কর্মীদের উপর হামলা চালান। এ সময় আমিসহ আমাদের কয়েকজনকে মারপিট ও দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।'

ওইদিন রাতেই এলাকাবাসী এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়েই পুলিশ ও কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিচারের আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নেয়।

প্রখর রোদে কাজের পর 'কৃষক সেডেই' শান্তি

চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু জানান, 'ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। তবে আমার ছেলেরা একজনকে একটি চড় মারাকে কেন্দ্র করে সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সংবাদ পেয়ে আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি ঠান্ডা করে সবাইকে বাড়ি পাঠিয়ে দিই। এরপর রাতেই আমার প্রতিপক্ষের কয়েকজনের প্ররোচনায় তারা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করে। আজ আবার তারা সমাবেশ করেছে। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।'

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, ভোট-পরবর্তী হামলার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।