বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

দখলে অস্তিত্ব সংকটে পুরনো কাশখালী খাল

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
  ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

চট্টগ্রামে রাউজানে স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে অস্তিত্ব সংকটে পুরনো কাশখালী খাল। কাগজ-কলমে ৩৫ ফুট হলেও বাস্তবে প্রশস্ততায় কোথাও কোথাও পাঁচ ফুটেরও নিচে পাওয়া যায় এই খালটি। এলাকার লোকজন বলেছেন, পুরনো কাশখালী খাল নামে পরিচিত এই খালে পৌর এলাকার ফকিরহাটসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের বর্ষার পানি নামে। খালের জায়গা অবৈধ দখলে যাওয়ায় এখন পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, পানি নিষ্কাশনের এই খালের মুখ ২৫-৩৫ ফুট প্রসস্থ থাকলেও মাঝখানে অবৈধ দখলদারিত্বের কারণে এই খালটি পাঁচ ফুটের নালায় পরিবর্তন হয়েছে। এই স্থানে এক প্রভাবশালী ছয়তলা ভবন করে করেছেন। তৈয়ব নামের অপর এক ব্যক্তি আরও একটি বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ করছেন। খালের জায়গায় ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে কিনা, তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'যতটুকু জায়গা তিনি কিনে নিয়েছেন, ততটুকু জায়গায় ভবন করছেন।'

ফকিরহাট বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বাজারের ওপর দিয়ে বর্ষার সময় পাহাড় থেকে নেমে আসা পানি তীব্র স্রোত হয়ে পুরনো কাশখালী হয়ে নিচের দিকে নেমে যায়। পানি প্রবাহের এই খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ার পর থেকে বাজারসহ শাহনগরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, গত বছর পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ খালটির কিছু অংশ সংস্কার করে দিলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা কিছুটা বাধামুক্ত হয়। এখন অবৈধ দখলদারদের কারণে আবারও জলাবদ্ধতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পৌরসভার কর্মচারী পরিতোষ দে দীর্ঘ সময় থেকে এই এলাকার জায়গা-জমি পরিমাপ করে আসছেন। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পুরনো কাশখালী খালটি ভূমি নকশায় (সিট) অনুসারে একেক স্থানে একেক ধরনের প্রশস্থ রয়েছে। তিনি বলেন, খালের জায়গা কোনো কোনো স্থানে ২০ ফুট থাকলেও আবার কোনো স্থানে রয়েছে ৩৫ ফুট। এ বিষয়ে পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, 'যারা খাল পাড়ে অবকাঠামো নির্মাণ করছেন, তাদের ডাকা হয়েছে। অবৈধ দখলদারিত্বের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে