শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গাংনীতে কলা চাষে ঝুঁকছেন চাষি

ম গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
  ২৬ মে ২০২২, ০০:০০

একবার চারা রোপণ করে ২৪ মাসে ৩ বার ফলন পাওয়া যায় কলা চাষে। কম খরচে লাভ বেশি, উর্বর মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মেহেরপুরের গাংনীর চাষিরা ঝুঁকছে কলা চাষে। এই কলা চাষ, ব্যবসা ও পরিবহণের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। জেলার চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে কলা চাষ করে।

উপজেলার বিভিন্ন মাঠে পর্যাপ্ত পরিমাণ কলার চাষ হচ্ছে। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় কলা চাষ হয়েছে এক হাজার হেক্টর জমিতে। জয়েন্ট গভর্নর, মেহের সাগর, বাইশছড়ি, দুধসর, সবরি, চাপা, চিনিচাঁপাসহ বিভিন্ন ধরনের পাকা কলার চাষ হচ্ছে।

উপজেলার কুঞ্জনগর গ্রামের চাষি রবিউল ইসলাম জানান, তিন বিঘা জমিতে সবরি কলা চাষ করেছেন। জমি থেকেই ব্যবসায়ীরা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দামে কাদি হিসেবে কিনে নেন। প্রতি কাদিতে গড়ে ১০ ছড়ি কলা থাকে। আনুমানিক ১১০-১২০টি কলা থাকে। এসব কলার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে জেলা থেকে প্রতিদিন ছোট-বড় মিলিয়ে কমপক্ষে ৩০ ট্রাক কলা বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। তবে বেশিরভাগই কুষ্টিয়া, খুলনা ও ঢাকায় যায়। একই কথা জানালেন কলাচাষি আকতারুজ্জামানসহ অনেকেই।

কলার দাম ও চাহিদা কেমন জানতে চাইলে কলা ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলী জানান, তিনি ৮-১০ বছর ধরে কলার চাষ করেছেন। সবরি কলা ১২০টি কলার কাদির দাম ৩৫০ টাকার বেশি। সবরি কলা প্রতি হালি বাগানে কেনা পড়ে ১২ টাকার মতো। এবং বাইশছড়ি কলার কাদিতে গড়ে ২৪০টি কলা পাওয়া যায়। এ কলার দাম ৫০০-৬০০ টাকা এবং হালি ১০ টাকা দাম পড়ে। এরপর পরিবহণ খরচ যা পড়ে।

কলা চাষিদের তথ্যমতে, এক বিঘা জমিতে কলার চাষ করতে প্রথম বছরে সর্বোচ্চ ১ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতিবিঘা জমিতে প্রতি বছর প্রায় ৪শ' কাঁদি কলা পাওয়া যায়। যা ক্ষেত থেকে পাইকারি বিক্রি করলে এক লাখ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এভাবে ২ বছরে মোট ৩ বার কলা পাওয়া যাবে। পরের ২ বার সার-বিষ ও পানি সেচ বাবদ সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা করে খরচ করলে যথেষ্ট। এতে বাকি ২ বার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এক লাখ টাকা করে মোট ২ লাখ টাকার কলা বিক্রি করা যায়। মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সামসুল আলম বলেন, কলা এখন বারোমাসের ফসল। কলা চাষিদের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সারাদিন মাঠে থাকছেন। কৃষকদের কলাতে কার্বাইড ও বিষ স্প্রে না করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে