শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তারাকান্দায় অটোরিকশা চুরির জন্য বন্ধুকে হত্যা

ম তারাকান্দা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  ০৭ জুলাই ২০২২, ০০:০০

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় অটোরিকশা চুরির জন্য বন্ধুকে হত্যা করে সেফটি ট্যাংকিতে মরদেহ ফেলে রাখে। তারাকান্দা থানা পুলিশ জানায় গ্রেপ্তার আসামিরা ১৬৪ ধারায় হত্যার কথা আদালতের কাছে স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।

জানা গেছে, ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কাকনি ইউনিয়নের দাদরা গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে আব্দুস ছামাদ (১৫) গত সোমবার বিকালে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়। তারপর তার বন্ধু দাদরা গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে রবিন (১৯) ও তার বড় ভাই রোহান মিয়া (২৪) তার দুই সহযোগীসহ অটোরিকশা নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন। রাত আটটায় পঙ্গুয়াই উমেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে রাস্তার ওপর অটোরিকশা রেখে গাঁজা সেবনের কথা বলে তাকে ঝোপ জঙ্গলে নিয়ে যান সহোদর দুই ভাই রবিন ও রোহান। ছামাদকে ঝোপের আড়ালে নিয়ে গলায় পস্নাস্টিকের রশি ও জাল পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্কুলের সেফটি ট্যাংকে মরদেহ ফেলে রাখেন। তারপর তারা অটোরিকশা নিতে আসেন। পরে অটোরিকশার পাশে স্থানীয় লোকজনকে দেখে তারা পালিয়ে যান। মঙ্গলবার ছামাদের স্বজনরা সকালে সেফটি ট্যাংকে মরদেহ দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ তা উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা শাজাহান মিয়া মঙ্গলবার তারাকান্দা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলা রুজুর পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তাররা হলেন- কাকনি ইউনিয়নের দাদরা গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে রবিন মিয়া (১৯) ও তার বড় ভাই রোহান মিয়া (২৪) হাটপাড়া গ্রামের শাহজাহানের ওরফে সাজুর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান নাঈম (১৯) ও পঙ্গুয়াই গ্রামের সিরাজ আলীর ছেলে শাহিনুর ইসলাম (২২)। তারাকান্দা থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, জবানবন্দি শেষে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে