আজকের যায়যায়দিন

সারাদেশে জ্বালানি তেল ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে নাটোরের গুরুদাসপুরে রোপা আমন চাষে কৃষকের খরচ বেড়ে গিয়েছে। রোববার সকালে উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের পিপলা এলাকার মাঠে গিয়ে দেখা যায় প্রতি বিঘা জমি চাষে নেওয়া হচ্ছে ৪৫০ টাকা। ৩ থেকে ৪ দিন আগে যেখানে প্রতি বিঘায় নেওয়া হতো ৩৫০ টাকা। আর এখন তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বিঘাপ্রতি ১৫০ টাকা বৃদ্ধি হয়েছে।

জানা যায়, এক বিঘা জমিতে রোপা আমনের চারা রোপণের জন্য উপযোগী করতে কৃষকের হালচাষের খরচ হতো ১৪শ' টাকা। আর এখন ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির পরে প্রতি বিঘায় খরচ হচ্ছে ১৮শ' টাকা। প্রতি বিঘা জমি চাষের জন্য প্রস্তুত করতে চারবার হালচাষ দিতে হয়। প্রতিটি হালচাষে খরচ হয় ৪৫০ টাকা।

পিপলা গ্রামের কৃষক মনির হোসেন বলেন, আজ (রোববার) সকালে এক বিঘা জমি হালচাষের জন্য প্রস্তুত করতে খরচ হলো ১৮শ' টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে হালচাষের জন্য খরচ বেড়েছে ৪শ' টাকা। এছাড়া এখনো সেচ খরচ, শ্রমিক খরচসহ আরও অনেক খরচ তো আছেই। বিয়াঘাট মাঠের চাষি সোহেল রানা বলেন, ডিজেলের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় প্রতি বিঘা জমিতে চাষ দিতে এখন অতিরিক্ত ৪শ' টাকা খরচ হচ্ছে। এমন অবস্থায় জমি চাষ করে লাভবান হওয়ার আশঙ্কাও কমে যাচ্ছে।

হালচাষ দেওয়া পাওয়ার টিলার চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগেও ডিজেল ৮০ টাকা লিটার কিনে হালচাষ দিয়েছেন। কিন্তু দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন প্রতি লিটার ১১৪ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। এক বিঘা জমি প্রস্তুত করতে চারবার হালচাষ দিতে হয়। প্রতিবার হালচাষের জন্য আগে ৩৫০ টাকা নেওয়া হতো। কিন্তু তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন জমির শ্রেণিভেদে ৪৫০ টাকা প্রতি হালচাষ নেওয়া হচ্ছে। এখন প্রতি বিঘা জমি প্রস্তুত করতে ১৮শ' টাকা নিচ্ছেন।

প্রখর রোদে কাজের পর 'কৃষক সেডেই' শান্তি

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশিদ বলেন, সারাদেশে তেলের দাম বৃদ্ধি হওয়ার কারণে ডিজেলচালিত পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি হালচাষের জন্য প্রস্তুত করতে হলে কৃষকের বাড়তি টাকা খরচ করতে হবে। গুরুদাসপুরে এই মৌসুমে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬০০২ হেক্টর। এ পর্যন্ত ৪৯৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছে।